আগের ম্যাচে মালয়েশিয়া নারী দলকে ৬ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। ফিফা প্রীতির দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও জয় প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেই ধারাবাহিকতা থাকেনি। মালয়েশিয়ার জমাট রক্ষণের সামনে কিছুতেই গোলমুখ খুলতে পারেননি সাবিনা-কৃষ্ণারা। আজ (রবিবার) দুই দলের ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রতে। যদিও প্রথম ম্যাচ জেতায় দুই ম্যাচের সিরিজটি ১-০-তে জিতেছে বাংলাদেশ।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ আগের একাদশে ভরসা রেখে খেলেছে। বিপরীতে মালয়েশিয়ার একাদশে চারটি পরিবর্তন ছিল। এই ম্যাচে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক খেলে স্বাগতিকদের ভালোভাবে রুখে দিতে পেরেছে অতিথিরা। ম্যাচে একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল বাংলাদেশের। একের পর এক আক্রমণ হেনে প্রতিপক্ষকে রেখেছে তটস্থ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল আসেনি।
র্যাঙ্কিংয়ে ৬১ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশ ৭ মিনিটে গোলের দেখা পেতে পারতো। বক্সের প্রান্ত থেকে আঁখির জোরালো শট গোলকিপার নুরুল আজুরিন কর্নারের বিনিময়ে গোল হতে দেননি। ৪ মিনিট পর মনিকার নিচু ক্রসে ৬ গজ দূরত্বে থেকে মাসুরা পারভীনের প্লেসিং ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে গ্যালারিতে থাকা হাজারো দর্শক হতাশ হয়।।
১৭ মিনিটে মনিকার কাটব্যাক থেকে সাবিনার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট অনেকটা লাফিয়ে উঠে আঙুলের টোকায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে বের করে দেন মালয়েশিয়ার গোলকিপার। ৩৯ মিনিটে বক্সের ভেতরে বল পেয়ে সাবিনার দুর্বল শট গোলকিপার তালুবন্দি করে হতাশা আরও বাড়িয়ে দেন।
বিরতির পর ঋতুপর্ণা চাকমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র মাঠে নামেন। তাতে অবশ্য দলের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। বল অধিকাংশ সময় মালয়েশিয়ার রক্ষণে থাকলেও গোল আসেনি।
৭২ মিনিটে মনিকার কর্নারের পর বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে বল পেয়ে যান মারিয়া মান্দা। এই মিডফিল্ডারের শটে বাইরে যাওয়ার আগে পা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করেও পারেননি মাসুরা পারভীন।
পুরো ম্যাচে মালয়েশিয়া একবারই বাংলাদেশের গোলকিপারের পরীক্ষা নিতে পেয়েছে। ৭৭ মিনিটে মালয়েশিয়ার হেনরিয়েতা জাস্টিনের শট গোলকিপার রুপনা সহজেই তালুবন্দি করেন।
বাংলাদেশ একাদশ: রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র, আঁখি খাতুন, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার (শামসুন্নার জুনিয়র), মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না (ঋতুপর্ণা চাকমা) ও সাবিনা খাতুন।