সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত-নেপাল কিংবা ভুটানের সঙ্গে প্রায়ই খেলে থাকে বাংলাদেশ। এই দেশগুলোর বিপক্ষে আগেও নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে এবার ভারত-নেপাল কিংবা ভুটান ছাড়াও তাদের নতুন প্রতিপক্ষ রাশিয়া। পুরনো প্রতিপক্ষ সম্পর্কে জ্ঞান থাকায় এবার তাদের ঘিরেই বাংলাদেশ দলের যত আগ্রহ।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার থেকে পাঁচ দল নিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে। এবারের প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান ছাড়াও খেলবে ইউরোপের প্রতিনিধিত্ব করা রাশিয়া।
উদ্বোধনী দিনে ভুটানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২২ মার্চ রাশিয়া, ২৪ মার্চ ভারত ও ২৮ মার্চ প্রতিপক্ষ নেপাল।
শনিবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন প্রতিপক্ষ রাশিয়াকে নিয়েই বাংলাদেশ কোচ ও অধিনায়ককে প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো বেশি। সেখানে নিজেদের পরখ করে নেওয়ার কথাই জানিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় যে স্ট্যান্ডার্ডে খেলি তার তুলনায় ইউরোপের স্ট্যান্ডার্ড তো এক নয়। রাশিয়ার বিপক্ষে খেললে অবশ্যই আমরা কোন স্ট্যান্ডার্ডে আছি, সেটা বেরিয়ে আসবে। তবে এখানে আমাদের ভালো দিক, মেয়েরা যে প্রতিনিয়ত পারফর্ম করছে, আমাদের কোথায় উন্নতি হয়েছে এবং ভালো টিমগুলোর সঙ্গে খেলতে গেলে কোথায় উন্নতি করা উচিৎ, সেটা ভালোভাবে জানতে পারবো। তবে ইউরোপের একটা দলের বিপক্ষে খেলবো-এটা ভেবে মেয়েরা শিহরিত, চাপ অনুভব করছে না।’
রাশিয়ার মতো উন্নত ফুটবল দেশের বিপক্ষে খেলাটা বড় সুযোগ মানছেন ছোটন। তাই আগে থেকেই সতর্ক তিনি, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর সঙ্গে খেলে অভ্যস্ত আমরা। এবার রাশিয়া যোগ হয়েছে, এটা মেয়েদের জন্য বিরাট সুযোগ বলে মনে করি। তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে। বিরাট সুযোগ এই কারণে, আমরা ইউরোপের দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। তারা শক্তিশালী। আমাদের মেয়েরাও প্রস্তুত তাদের বিপক্ষে লড়াই করার জন্য। যেটা লক্ষ্য থাকে ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলা এবং জয় লাভ করা। বিগত টুর্নামেন্টগুলোতে আমরা যেটা করে আসছি, আশা করি সেটা করার জন্য সবাই প্রস্তুত।’
অবশ্য নতুন প্রতিপক্ষ হলেও অধিনায়ক রুমা আক্তার জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘লক্ষ্য আছে ভালো কিছু করার, সবগুলো ম্যাচ জেতার। আপনারা দোয়া করবেন। রাশিয়া ইউরোপের দল। ওদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করছি, ভালো কিছু করবো। যেহেতু ফুটবল, হার-জিত আছেই। আমরা লড়াই করবো, জেতার চেষ্টা করবো।’
বাংলাদেশ দল: সংগীতা রানী দাস, কানম আক্তার, জয়নব বিবি রিতা, অর্পিতা বিশ্বাস, রুমা আক্তার, রিতু আক্তার, মুনকি আক্তার, ঐশি খাতুন, নুসরাত জাহান মিতু, থুইনু মারমা, পূজা দাস, অনন্য মুর্মু বিথী, মুন্নি, তৃষ্ণা রানী, কানন রানী বাহাদুর, সাগরিকা, নাদিয়া আক্তার জুথি, মাহলাথুই মারমা, সুলতানা আক্তার ও সুরভী আখন্দ প্রীতি।