টানা দুইবার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ। জয়ের পর এখনও সাবিনা-তহুরা-ঋতুপর্ণা-সানজিদাদের উৎসব চলছে। চারদিক থেকে অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছেন। সবার কাছ থেকে নতুন করে সমীহ আদায় করছেন। ২০২২ সালে প্রথম ট্রফি জয়ে সানজিদা আক্তারের অবদান কম ছিল না। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই শুরু থেকে খেলছেন। তবে এবার ব্যতিক্রম। মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, তাও আবার বদলি হয়ে! এ নিয়ে কলসিন্দুরের মেয়ের চাপা ক্ষোভ কম নয়।
শিরোপা উৎসব নিয়ে কথা বলতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে যাচ্ছিলেন সানজিদাসহ অন্যরা। তখনই ফোনে ধরা হলো তাকে। বিষয়টি মনে করিয়ে দিতে বাংলা ট্রিবিউনকে শুধু বলেছেন, ‘গতবার আমি প্রতিটি ম্যাচ খেলেছিলাম। এবার তেমনটি হয়নি। মাত্র দুটি ম্যাচে বদলি হয়ে খেলার সুযোগ হয়েছিল। এটা কেন, তা আমি নিজেও জানি না। এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। যা বলার পরে বলবো।’
ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার দায়িত্ব নেওয়ার পর থকে ফিটনেস ও পারফরম্যান্সের দিকে জোর দিয়ে আসছিলেন। যার কারণে শুরুর দিকে সিনিয়র খেলোয়াড়রা খেলার সুযোগ পাননি। তবে সানজিদা বলছেন অন্য কথা, ‘আমি কেন সব ম্যাচ খেলতে পারিনি কিংবা একাদশে ছিলাম না তা নিয়ে আগেই বলেছি, এখনই কিছু বলবো না। তবে আমি শতভাগ ফিট ছিলাম। পারফরম্যান্স নিয়ে তো কোনও কথা নেই। তবে খেলতে না পারলেও দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই আনন্দ অন্যরকম। এখনও আমরা সবাই আনন্দের মাঝে আছি।’
সাফে ভারত, পাকিস্তান কিংবা নেপালের মতো দল বাইরে প্রস্তুতি সেরেছে। ম্যাচও খেলেছে অনেক। সেখানে বাংলাদেশ বাটলারের অধীনে চারটি ম্যাচ খেলেছে। এ নিয়ে এখনও আক্ষেপ আছে সানজিদার, ‘দেখুন সাফের অন্য দেশগুলো যেখানে অনেক ম্যাচ খেলেছে, সেখানে আমরা কয়টি ম্যাচ খেলে ট্রফি জিতেছি তা সবাই জানেন। বলতে পারেন নিজেদের একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের হয়ে লড়াই করেছি। আমরা জানি আমাদের শক্তি-সামর্থ্য কতটুকু। যদি ভারতের মতো ইউরোপে খেলার সুযোগ পেতাম, তাহলে এশিয়ান অঞ্চলে লড়াই করার জন্য তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকতো।’
এ বছর আর মেয়েদের সেভাবে ম্যাচ নেই। সামনের দিনগুলো নিয়ে কী ভাবছেন? সানজিদার পরিষ্কার উত্তর, ‘আমরা এখনও নতুন কমিটির সঙ্গে সভা করতে পারিনি। উনারা আমাদের সঙ্গে বসবেন। দেখি উনারা কী বলেন। আমরা তো চাইবো বেশি বেশি ম্যাচ খেলতে। যেন বসে না থাকতে হয়। তাহলে সবাই উন্নতি করতে পারবো। সাফ অঞ্চলে আর পড়ে থাকতে হবে না। এশিয়ান অঞ্চলে লড়াই করার সামর্থ্য হবে।’
প্রথমবার ছাদখোলা বাসের আবদার করে সফল হয়েছিলেন। এবারও তেমনটি হয়েছে। তবে কাঠমান্ডু সফরজুড়ে না খেলার আফসোসটা রয়েই আছে!