নির্দিষ্ট সময়ের শেষ দিনে আজ রাতে বাফুফের বিশেষ কমিটি তাদের কাজ শেষ করে সভাপতির দপ্তরে রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
কমিটির প্রধান ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান রিপোর্ট জমা দিয়ে বাফুফে ভবনের নিচে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এখন সিদ্ধান্ত বা বাস্তবায়ন করবেন ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, 'নারী ফুটবলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সেটা নিরসনে সাত সদস্যের কমিটি হয়েছিল। আমরা প্রায় প্রতিদিনই কাজ করেছি। সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। সেই বক্তব্যের আলোকে কিছু সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ এবং সমস্যার প্রতিকার দিয়ে প্রতিবেদন দিয়ে সভাপতির দপ্তরে জমা দিয়েছি।’
কোচ-খেলোয়াড় দ্বন্দ্ব নিরসনে এখন কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়নে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে ফেডারেশনের সভাপতির ওপর। তিনি চাইলে একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, আবার প্রয়োজনে নির্বাহী সভাও ডাকতে পারেন। এ প্রসঙ্গে ইমরুল হাসান বলেছেন, 'যেহেতু আমরা সভাপতি বরাবর রিপোর্ট দিয়েছি। সভাপতি চাইলে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আবার প্রয়োজনে নির্বাহী সভায় সবার মতামতও চাইতে পারেন। সব কিছুই নির্ভর করছে তার ওপর। আবার প্রয়োজনবোধে তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গেও একবার কথা বলতে পারেন।'
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর গতকাল দেশে ফিরেছেন। যদিও আজ ফেডারেশনে আসেননি। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান বলেছেন, 'সভাপতির হাতেই যে প্রতিবেদন দিতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। উনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অনেক কর্মসূচি থাকতে পারে। প্রতিবেদন পরে তিনি আপনাদের জানাবেন।'
বাফুফের বিশেষ কমিটি যখন প্রতিবেদন তৈরি করছিল ঠিক তখনই সরকার নারী ফুটবল দলকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেছে। মন্তব্য করতে গিয়ে ইমরুলের কথা, 'একুশে পদক প্রাপ্তি শুধু ফুটবল নয়, যে কোনও স্পোর্টসের জন্য বড় বিষয়। নারী ফুটবল দলের এই স্বীকৃতি ফুটবলের প্রতি আপামর জনগণের জন্য আগ্রহ বাড়বে। নারীরা সাফল্য এনে দিয়েছে। অস্বীকার করার উপায় নেই। রিপোর্টে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল ডিসিপ্লিন। সেখানে সাফল্য-ব্যর্থতা কোনও প্রভাবক হিসেবে কাজ করেনি।’
কমিটির রিপোর্ট নিয়ে বাফুফের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্তা বলেছেন, 'কমিটিতে যারা ছিলেন সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। আমরা নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার চেষ্টা করেছি।'
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নারী উইংয়ের ব্যর্থতা নিয়েও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে বিশেষ কমিটির প্রধান ইমরুল হাসান বলেছেন, ’আমাদের প্রতিবেদনে নারী উইংয়ের করণীয় কী ছিল সেটাও আলোকপাত করেছি।’
দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আজ এমন ঘটনা ঘটেছে রংপুরে। বিষয়টি বেশ উদ্বেগের মনে করছে বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি, 'আগে জয়পুরহাটে ঘটলো। আজ হলো অন্য জায়গায়। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের। সরকার গুরুত্ব সহকারে দেখছে বিষয়টি।'