জার্মানি পেছন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতালিকে হারালো। বৃহস্পতিবার উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে তারা ২-১ গোলে সান সিরোতে জয় উৎসব করেছে। খেলা শেষ হওয়ার ১৪ মিনিট আগে জয়সূচক গোল করেন লিওন গোরেৎকা।
রবিবার ডর্টমুন্ডে হবে দ্বিতীয় লেগ। সেই ম্যাচ শেষে দুই লেগের অগ্রগামিতায় বিজয়ী দল সেমিফাইনালে খেলবে ডেনমার্ক কিংবা পর্তুগালের বিপক্ষে। জুনে হবে ফাইনাল।
শুরু থেকে জার্মানি ইতালির ওপর চাপ দিয়ে খেলতে থাকে। অন্যদিকে কাউন্টারে জার্মানদের মনে ভয় ধরায় ইতালি। প্রথম সুযোগেই নবম মিনিটে গোলমুখ খোলেন তারা।
নিকোলো বারেল্লা বক্সের মধ্যে মাত্তেও পলিতানোকে পাস দেন। তার ব্যাকপাস সতীর্থ মোয়াসে কিনকে পেরিয়ে যায় সান্দ্রো টোনালির পায়ে, তার শটেই গোলপোস্টে কোনা দিয়ে জালে জড়ায় বল।
বল দখলে আধিপত্য ধরে রেখে জার্মানি সুযোগ তৈরি করতে থাকে। গোরেৎকার হেড একবার গোলপোস্টের ওপর দিয়ে যায়। এবং তার আরেকটি প্রচেষ্টায় বল সোজা কিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার হাতে পড়ে। অতিথি কিপার অলিভার বাউমানও দুইবার টোনালি ও কিনের শট ফিরিয়ে দেন।
বিরতির আগে নাদিম আমিরির ফ্রি কিক গোলবারের ওপর দিয়ে যায়। ইতালি লিড ধরে রেখে প্রথমার্ধ শেষ করে।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে জার্মানি সমতা ফেরায়। জোশুয়া কিমিখের বক্সে ভাসানো বলে বদলি খেলোয়াড় টিম ক্লেইনডিয়েনস্ট শক্তিশালী হেডে প্রথম স্পর্শেই দোনারুম্মাকে পরাস্ত করেন।
টোনালির ব্যাক হিল পাসে কিন বারের ওপর দিয়ে শট মারেন। গিয়াকোমো রাসপাডোরি কিপারকে একা পেয়েছিলেন। কিন্তু বাউমান তার পা দিয়ে সেভ করেন। কিমিখের আরেকটি ক্রসে গোরেৎকা গোলবারের পাশ দিয়ে বল মারেন।
কিমিখের কর্নার থেকে জয়সূচক গোলটি আসে। দেখে মনে হচ্ছিল বল সরাসরি জালে ঢুকছে, কিন্তু তা দোনারুম্মাকে পরাস্ত করার আগে আলতো হেড করেন গোরেৎকা।
ইতালি গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। কর্নার থেকে বারেল্লার শট গোলবারের পাশ দেয় যায়। বাউমান রুখে দেন ড্যানিয়েল মালদিনিকে। তাতে এক গোলের লিড নিয়ে ডর্টমুন্ডে ইতালিকে স্বাগত জানাবে জার্মানরা।
২০০৬ সালে ওয়েস্টফলেনস্টাডিওনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার আশায় ইতালি। ওইবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানিকে হারিয়েছিল তারা। পরে ট্রফিও হাতে নেয় ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে।