সান মেমেসে স্বাগতিক দর্শকদের উত্তেজনার কারণে টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছিল ম্যানইউর খেলোয়াড়দের জন্য। প্রথমবার ইউরোপিয়ান ট্রফির স্বপ্ন পূরণের জন্য অ্যাথলেটিক বিলবাও সমর্থকরা চেষ্টা করেছে ম্যানচেস্টার ক্লাবের মনোবল ভেঙে দিতে। কিন্তু ইউরোপা লিগে একমাত্র অপরাজিত দল সব বাধা ডিঙিয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হেসেছে। বৃহস্পতিবার স্পেনে বিলবাওকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে এক পা রেখেছে রুবেন আমোরিমের দল।
৩০ মিনিটে ব্যাকপোস্টের সামনে বল পেয়ে জাল কাঁপান কাসেমিরো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রচণ্ড বাজে সময় কাটানো ম্যানইউ আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বিলবাও পাঁচ মিনিট পর ১০ জনের দল হলে।
পেনাল্টি বক্সের মধ্যে রাসমুস হয়লুন্দকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন অ্যাথলেটিক ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান। স্পট কিক থেকে ৩৭ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেস স্কোর ২-০ করেন।
মেমেসের স্বাগতিক ভক্তরা তখন নিস্তব্ধ। ম্যানইউর দর্শক-সমর্থকদের আরও উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে বিরতির আগেই তৃতীয় গোল করেন ফের্নান্দেস। অধিনায়কের ওই গোলেই জয় সুনিশ্চিত হয়ে যায়, সম্ভবত ফাইনালও।
কাসেমিরো চতুর্থ গোল করতে পারতেন। কিন্তু তার দ্বিতীয়ার্ধের হেড পোস্টে আঘাত করে।
আগামী ২১ মে এই মাঠেই হবে ফাইনাল। সেখানেই ম্যানইউ প্রথম লেগে দারুণ সাফল্য পেলো। ইউনাইটেড ডিফন্ডার হ্যারি মাগুইরে বলেছেন, ‘অবশ্যই এটা ভালো শুরু, এখানে জিতলাম এবং তিন গোল করে আর কোনও গোল না খেয়ে। সব চাপ আমাদের ওপর থাকবে, সবাই আমাদের ফাইনালে ওঠার আশা করবে। আমাদের ঠিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের সুযোগ দিতে পারবো। এক পা ফাইনালে, কিন্তু এখনও তা নিশ্চিত নয়।’
মাগুইরে এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকলেও পরিসংখ্যান বলছে ইউনাইটেড ফাইনাল খেলবে। উয়েফা কাপ বা ইউরোপা লিগের নকআউটের প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে তিন বা তার বেশি গোল করে জেতা ১৩৩ দলের প্রত্যেকেই সফল হয়েছে। সেই তালিকায় এবার হয়তো ম্যানইউও যুক্ত হতে যাচ্ছে।
এদিকে টটেনহাম হটস্পার ৩-১ গোলে উড়ন্ত জয় পেয়েছে ঘরের মাঠে। নরওয়ের বোদো/গ্লিমটকে ৩-১ গোলে তারা হারিয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বাজে মৌসুম কাটানো স্পাররাও ফাইনালের সুবাস পাচ্ছে। মাত্র ৩৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তারা। পেদ্রো পোরোর ক্রসে রিচার্লিসনের হেডে জনসন গোলমুখ খোলেন। ৩৪তম মিনিটে আবারও গোলের কারিগর পোরো। তার ক্রস থেকে ম্যাডিসন কাট করে জাল কাঁপান।
প্রথম নরওয়েজিয়ান দল হিসেবে ইউরোপিয়ান সেমিফাইনালে ওঠা বোদো ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় হাফটাইমের আগে, ওলে ব্লোমবার্গ গোলবারের ওপর দিয়ে বল মারলে। অবশ্য তাদেরকে আরও পেছনে ফেলে টটেনহাম আরেকবার গোল উদযাপন করেছে। ভিএআর রিভিউতে পেনাল্টি পেয়ে সোলাঙ্কে তৃতীয় গোল করেন।
৮৩তম মিনিটে সল্টনেসের শট রদ্রিগো বেন্তানকুরের গায়ে লেগে জালে জড়ালে সেমিফাইনালে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বোদো। আগামী বৃহস্পতিবার তাদের কৃত্রিম পিচে টটেনহামে কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।