৪০ বছর বয়সে এখনও ছুটে চলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শুধু কি ছুটে চলা? দলকে শিরোপা জেতাতেও রাখছেন অবদান। নেশন্স লিগের ফাইনালে তারই গোলে নির্ধারিত সময়ে স্পেনের বিপক্ষে ২-২ সমতা ফেরায় পর্তুগাল। তার পর তো দৃঢ়তা দেখিয়ে টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নিয়েছে তার দল। দ্বিতীয় নেশন্স লিগ জেতার পর আনন্দে কেঁদে ফেলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। ম্যাচের পর বলেছেন, দেশের হয়ে শিরোপা জয় ক্লাবের সব অর্জনের চেয়েও বড়।
দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদোর সমতা সূচক গোলটাই নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিয়েছে। পরে শুটআউটে কপাল পুড়ে স্পেনের। অবশ্য শেষ দিকে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান রোনালদো। তখন মাঠে থাকতে পারেননি। তবে দল যখন শিরোপা নিশ্চিত করে তখন সাইডলাইনে থাকা সিআরসেভেন আর চোখের অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার তৃতীয় শিরোপা। তার আগে আরও একবার নেশন্স লিগ ছাড়া জিতেছেন ২০১৬ সালের ইউরো। ম্যাচের পর রোনালদো তাই আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন। স্পোর্ট টিভিকে বলেছেন, ‘কী আনন্দ, এই প্রজন্সের জন্য যারা এমন বড় মাপের শিরোপার যোগ্য, তার পর পরিবারের জন্যও। আমার সন্তানরা এসেছে, আমার স্ত্রী, ভাই, বন্ধু সবাই।’
রোনালদো মনে করেন, ‘পর্তুগালের হয়ে জেতা সবসময় বিশেষ কিছু। আমি ক্লাবের হয়ে অনেক শিরোপা জিতেছি, কিন্তু পর্তুগালের হয়ে জয় পাওয়া থেকে বড় কিছু নেই। এই অশ্রু আনন্দের, এটি দায়িত্ব পালন এবং বিশাল আনন্দের প্রকাশ। যখন পর্তুগালের কথা বলি, সেটা সবসময় বিশেষ এক অনুভূতি। এই প্রজন্মের অধিনায়ক হওয়া গর্বের বিষয়। জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জেতা সবসময় সর্বোচ্চ সাফল্য।’
ক্লাব ফুটবলে রোনালদোর ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। গত সপ্তাহে বলেছিলেন, এই মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবেন না। যদিও টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া কয়েকটি ক্লাব তাকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আপাতত তিনি এই জয়ের উদযাপনেই মনোযোগ দিচ্ছেন। কারণ তার চোট, ‘ওয়ার্মআপের সময় থেকেই আমি কিছুটা অনুভব করছিলাম, আগে থেকেই কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু জাতীয় দলের জন্য যদি পা ভেঙেও যেত, তার পরেও আমি খেলতাম। এটা তো শিরোপার জন্য, খেলতেই হতো, আমি সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি।’