বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কাতারের মুখোমুখি হওয়ার আগে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ। ফুটবলে কাতার মহাশক্তিশালী, এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তাই কঠিন পরীক্ষা স্বাগতিক দলের।
বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী তথ্য, গত বছরই একটি ম্যাচে কাতারকে হারিয়ে দিয়েছিল তারা! ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান গেমসে কাতারকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়েছিল লাল-সবুজ পতাকার। যদিও এশিয়াড ফুটবল মূলত অনূর্ধ্ব-২৩ প্রতিযোগিতা। ২৩ বছরের বেশি মাত্র তিনজন খেলোয়াড় রাখতে পারে প্রতিটি দল।
এশিয়াডে শেষ মুহূর্তে গোল করে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক জামাল ভূঁইয়ার মতে, কাতারের সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের তুলনা করাই ঠিক নয়। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘কাতারের এই দলটা অনেক শক্তিশালী। তবে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি নিজে অন্তত ভয় পাচ্ছি না। অন্য ম্যাচের মতোই ম্যাচটা খেলবো, মাঠের লড়াই উপভোগ করবো। আমরা সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
শুধু লড়াই নয়, কাতারের বিপক্ষে আবার গোল করার লক্ষ্য বাংলাদেশ অধিনায়কের, ‘এশিয়ান গেমসে কাতারের বিপক্ষে গোলটার কথা এখনও মনে আছে। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে গোল করেছিলাম। সেই গোলেই ম্যাচটা জিতে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছিলাম আমরা। পরশুর ম্যাচেও গোল করতে চাই। যদিও কাজটা খুব কঠিন হবে নিঃসন্দেহে।’
বাংলাদেশ দলের রণপরিকল্পনার কথাও জানালেন তিনি, ‘কাতারের বিপক্ষে আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবো না। আমরা চেষ্টা করবো পাল্টা আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলতে। তাহলেই গোল করার সুযোগ আসবে।’