সোনার হাসি হেসেছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। এসএ গেমসের টানা দ্বিতীয় আসরে সোনা জেতায় এই ভারোত্তোলকের আনন্দ একটু বেশিই।
গতবার ভারতের আসরে ৬৩ কেজি ওজন শেণিতে স্ন্যাচ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৪৯ কেজি তুলে লাল-সবুজ পতাকা সবার উঁচুতে তুলেছিলেন মাবিয়া। নেপালের এসএ গেমসে তাই তাকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল অনেক। শেষ পর্যন্ত ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জিতে প্রত্যাশা পূরণ করেছেন মাবিয়া। আজ (শনিবার) তার হাত ধরে এসেছে বাংলাদেশের পঞ্চম সোনা।
টানা দ্বিতীয় আসরে সোনা জেতার অনুভূতি নিঃসন্দেহে অন্যরকম। মাবিয়া এতটাই খুশি যে, ঠিকমতো অনুভূতিই প্রকাশ করতে পারলেন না। নেপাল থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। অনেক দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। সকাল থেকে মনে হচ্ছিল, দেশের মান রাখতে পারবো কিনা।’
শেষ পর্যন্ত সেটা করতে পারায় খুশি তিনি, ‘সবাই আমার ওপর ভরসা রেখেছে। এই ইভেন্টের আগে অনেকে আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছে, সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এখন দ্বিতীয়বারের মতো সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।’
আজ ভারোত্তোলন ইভেন্টে স্ন্যাচে ৮০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৫ কেজি মিলিয়ে মোট ১৮৫ কেজি ওজন তুলেছেন মাবিয়া। তার পরেই জায়গা করে নেন শ্রীলঙ্কার বিসি প্রিয়ান্থি। তিনি ১৮৪ কেজি ওজন তুলে জিতেছেন রুপা। আর স্বাগতিক নেপালের তারা দেবী ১৭২ কেজি তুলে হয়েছেন তৃতীয়।
এ নিয়ে নেপালের এসএ গেমসে পঞ্চম সোনা জিতলো বাংলাদেশ। দিপু চাকমা তায়কোয়ান্দোর ২৯ প্লাস বয়স শ্রেণিতে বাংলাদেশকে এনে দেন প্রথম সোনা। কারাতে থেকে এসেছে সর্বোচ্চ তিনটি সোনা। ছেলেদের ৬০ কেজি কুমিতে আল আমিন, মেয়েদের ৫৫ কেজি কুমিতে মারজান আক্তার প্রিয়া ও ৬১ কেজি কুমিতে সোনার হাসি হেসেছেন হোমায়রা আক্তার অন্তরা।