ইংলিশ কোচ জেমি ডে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে আছেন প্রায় তিন বছর ধরে। তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আছে আরও বেশ কিছু দিন। কিন্তু বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে শক্তিশালী কাতারের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারের পর থেকে ডে'র ভবিষ্যৎ নতুন করে আলোচনায়। এমনকি তাকে বরখাস্তের গুঞ্জনও উঠেছে। তবে এসবে কান দিচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বরং জেমি ডে-কে বরখাস্তের এমন সম্ভাবনা নেই বলেই নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও জাতীয় টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।
শুক্রবার এই ক্রীড়া সংগঠক বাংলা ট্রিবিউনকে সাফ বলেছেন, ‘কোচের বরখাস্তের বিষয় নিয়ে আমার জানা নেই। কে বলেছে, কেন বলছে, আমার জানা নেই। সভাপতির সঙ্গে চারদিন আগে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার ভিত্তিতে আমরা একমত ছিলাম, কোচ জানুয়ারিতে আসবে, সে লিগের খেলা দেখবে। পরবর্তী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের জন্য এক মাসের জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হবে। সেভাবেই সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে।’
তবে ডে'র কাজের পর্যবেক্ষণ চলছে বলে জানিয়েছেন কাজী নাবিল, ‘কোচ বরখাস্ত হবেন না। তবে কাজের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তার সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করবো। বাফুফে যেভাবে চাইবে সেভাবে কাজ হবে। শিগগিরই আমরা ন্যাশনাল টিমস কমিটির সভা করবো। বিগত কিছু খেলার পর্যবেক্ষণ পেশ করবো সেখানে। আমরা তিনটি ম্যাচ খেলেছি। এর একটিতে জিতেছি, একটিতে ড্র, অন্যটিতে হেরেছি। এমন ফলই প্রত্যাশিত। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
ফল খারাপ হলেও বাংলাদেশ-কাতার ম্যাচ হয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে। করোনার কারণে ঘরোয়া ফুটবল বন্ধ ছিল অনেক দিন। তার পরেও মাত্র ৫ সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে দোহায় খেলতে গেছে বাংলাদেশ। এসব বিষয়কেও সামনে নিয়ে এলেন কাজী নাবিল, ‘খেলা হয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে। যেখানে প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়। তাই আপ টু দ্য মার্ক কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যেখানে লিগই হয়নি দীর্ঘদিন। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই আমাদের খেলতে হবে। ফল যাই আসবে, সেটা গ্রহণ করতে হবে। আমরা শুধু হার-জিতের জন্য খেলিনি। খেলেছি আবারও খেলা শুরু করার জন্য।’
কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশ পুরোটা সময় লড়াই করার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে জামাল-জীবনদের। সেই ম্যাচ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিলের মূল্যায়ন, ‘আমার মতে দল রক্ষণাত্মক খেললেও লড়াই করেছে। এরমধ্যে দুই বা তিনটি গোল তো আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। প্রথম গোলটা দুই ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ডিফ্লেক্টেড হয়েছে। গোলকিপারের কিছু করার ছিল না। একটা গোল হয়েছে পেনাল্টি থেকে। আর একটা গোল হয়েছে খেলার শেষ দিকে। মূল খেলাতে গোল হয়েছে বলতে গেলে দুটি।’
এ অবস্থায় আবাহনী লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ মনে করেন, ‘সামনে ফেডারেশন কাপ ও লিগ আছে। আমার মনে হয় সেখানে খেলতে পারলে খেলোয়াড়রা আবারও আগের ফর্মে ফিরে আসবে।’