কয়েকদিন আগেই শুরু হয়েছিল এশিয়ান গেমসে প্রতিযোগীদের লড়াই। শনিবার হাংজু অলিম্পিক স্পোর্টস সেন্টারে জাঁকালো আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠলো ১৯তম আসরের। দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে চীনের হাংজু শহরের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব তুলে ধরা হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বিভিন্ন দেশের প্যারেডেও ছিল ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতির ছোঁয়া।
দুই সপ্তাহের মহাদেশীয় ক্রীড়াযজ্ঞের উদ্বোধনী ঘোষণার দিনে উপস্থিত ছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তার স্ত্রী পেং লিইউয়ান। প্যারেড অব নেশন্সে সবার শেষে চীন আসতেই বিগ লোটাস নামের আইকনিক স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে।
প্যারেডে সবার আগে অংশ নেয় আফগানিস্তানের অ্যাথলেটরা। তারপর একে একে পতাকা হাতে প্যারেড করে আরও ৪৪ দেশের অ্যাথলেটরা। বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।
অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনধীর সিং তারপর হাংজু এমিয়ান গেমসের উদ্বোধন ঘোষণার জন্য আমন্ত্রণ জানান প্রেসিডেন্ট শিকে। উদ্বোধনীর ঘোষণা হতেই বৈদ্যুতিক ধোঁয়ামুক্ত আতশবাজির ঝলকানিতে আলোকিত স্টেডিয়াম। সবার শেষে অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার পতাকা টাঙানো হয়।১৯৯০ ও ২০১০ সালে বেইজিং ও গুয়াংজুর পর তৃতীয়বার এশিয়ান গেমস আয়োজিত হচ্ছে চীনে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় শিল্পীদের নাচ দিয়ে। তারপর ছিল রঙ বেরঙয়ের আলোর প্রদর্শনী।
তারপর চীনের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। চীনের পতাকা টাঙানোর পর একটি ঐতিহ্যবাহী চীনা অপেরা পরিচালনা করা হয়। তারপর আসে এশিয়ান গেমসের তিনটি মাসকট কংকং, চেনচেন ও লিয়ানলিয়ান। তারা গানের তালে তালে নেচে দর্শকদের বিনোদন দেয়।
সব মিলিয়ে ৪৫টি এশিয়ান দেশের প্রায় ১২ হাজার অ্যাথলেট ৬১ ডিসিপ্লিন ও ৪৮১ ইভেন্টে অংশ নেবেন। হাংজু গেমসে ৪৮১ স্বর্ণের লড়াই হবে। সবচেয়ে বড় বহর ভারতের। ৯২১ জনের এই দলে অ্যাথলেট ৬৫৫ জন এবং কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ ২৬০ জন।
বাংলাদেশ থেকে ২৪০ খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার দল চীনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশ অংশ নেবে ১৭টি ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে। ক্রিকেট, ফুটবল, আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, কাবাডি, হকি, শুটিং, সাঁতার, ভারোত্তোলন, জিমন্যাস্টিকস, কারাতে, দাবা, ফেন্সিং, ব্রিজ, গলফ ও তায়কোয়ান্দোতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা প্রতিনিধিত্ব করবেন। বাংলাদেশ থেকে ১০৪ জন পুরুষ ও ৭৬ জন নারী অ্যাথলেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। কোচ ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ৫৫ জন পুরুষ ও পাঁচ জন নারী।