আর্চারি বিশ্বকাপ খেলতে আগামীকাল রবিবার চীনের সাংহাইয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। ৬ থেকে ১১ মে হবে স্টেজ টু প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের পাঁচজন খেলোয়াড় বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন। সেখানে প্রাথমিকভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য মার্টিন ফ্রেডরিকের দলের।
বাংলাদেশ দলে রিকার্ভ ডিভিশনে তিনজন ও কম্পাউন্ডে দুইজন আছেন। রিকার্ভের তিনজন আর্চার হচ্ছেন আব্দুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম ও রামকৃষ্ণ সাহা। আর কম্পাউন্ড দলে আছেন হিমু বাছাড় ও বন্যা আক্তার।
বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ও লক্ষ্যের কথা জানাতে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবনে আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান কোচ ফ্রেডরিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল। আর ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসকে সামনে রেখে কম্পাউন্ডে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে চায় বাংলাদেশ।
তবে ওয়ার্ল্ড কাপ থেকে এর আগে পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে আর্চারি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে অ্যাডহক কমিটির এক নাম্বার সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন আহেমদ চপল বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের অনেক সাফল্য আছে। সিলভার মেডেলও আমরা জিতেছি। আবার সাংহাইয়ে কোরিয়ার সঙ্গে আমরা সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে এক পয়েন্টে হেরেছি। আশা করছি সাফল্যের ধারাবাহিকতা আমরা এবারও ধরে রাখতে পারবো। কারণ আমাদের ছেলেদের রিকার্ভ টিম দুর্দান্ত। আমরা দল গঠনের ক্ষেত্রে সবসময় কোচের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছে। কোচের মতের বাইরে আমরা কখনও দল গঠন করিনি।’
এদিকে ওয়ার্ল্ড কাপে আরও বেশি সংখ্যক আর্চার পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন আর্চারি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, ‘দেশে বিদেশে সব জায়গায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের যেন কোনও গ্যাপ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবার আমরা ১৮ জন নিতে পারতাম। সেখানে যাচ্ছে মাত্র পাঁচজন আর্চার। আমরা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করলে এসব খেলায় সম্পন্সর পাওয়া কোনও বিষয় না।’
ওয়ার্ল্ড কাপ শেষে ১২ মে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আর্চারি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মালিক মোহাম্মদ সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ও সদস্য রুবায়েদ আহমেদ।