আফগানিস্তানে দাবা খেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ইসলামী শরিয়ার দৃষ্টিতে এটি জুয়ার উৎস। যা দেশটির নৈতিকতা আইনের অধীনে অবৈধ।
তালেবান সরকারের ক্রীড়া অধিদপ্তরের মুখপাত্র আতাল মাশওয়ানি বলেছেন, ‘শরিয়ায় (ইসলামী আইন) দাবা জুয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। ধর্মীয় বিষয়গুলি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানে দাবা খেলা নিষিদ্ধ থাকবে।’
মাশওয়ানি আরও জানান, জাতীয় দাবা ফেডারেশন প্রায় দুই বছর ধরে কোনও আনুষ্ঠানিক ইভেন্ট আয়োজন করতে পারেনি। তাছাড়া এর নেতৃত্ব নিয়েও সমস্যা ছিল।
কাবুলের একটি ক্যাফের মালিক আজিজুল্লাহ গুলজাদা। সেখানে সম্প্রতি অনানুষ্ঠানিক দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে সেখানে কোনও জুয়া খেলা হয়নি বলে জানান গুলজাদা। বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেও দাবা খেলা হয়ে থাকে, ‘অনেক ইসলামি দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাবা খেলোয়াড় রয়েছে।’ তবে নতুন নিষেধাজ্ঞায় তিনি সেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন বলে জানিয়েছেন। এটাও বলেছেন, এর ফলে তার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার কথা, ‘তরুণদের খুব বেশি কিছু করার সুযোগ নেই এখন। তাই অনেকেই এখানে ক্যাফেতে আসে। তারা এখানে এক কাপ চা পান করে, পাশাপাশি বন্ধুকে দাবায় চ্যালেঞ্জ জানায়। ’
গত বছর, কর্তৃপক্ষ মিক্সড মার্শাল আর্টস (এমএমএ) এর মতো উন্মুক্ত লড়াইয়ের পেশাদার প্রতিযোগিতাও নিষিদ্ধ করে। এটিকে অত্যন্ত ‘হিংস্র’ এবং ‘শরিয়ার দৃষ্টিতে সমস্যা’ বলে উল্লেখ করে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তালেবান সরকার।