ট্রাম্প প্রশাসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব লাভ করেছেন বিলিয়নিয়ার এবং মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-এর সহনেতৃত্বে রয়েছেন মাস্ক। মাস্ক সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, স্পেসএক্স-এর উচ্চাভিলাষী ‘আর্থ-টু-আর্থ’ মহাকাশ ভ্রমণ প্রকল্প শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে।
স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট, যার প্রস্তাব করা হয়েছিল প্রায় দশ বছর আগে। বলা হয়েছিল, এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট, যা আগের রকেটের গতি সম্পর্কে সব ধারণাকে বদলে দেবে।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন বলছে, স্টারশিপ প্রতি ট্রিপে ১ হাজার যাত্রী আনা-নেওয়া করতে পারবে। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে টরন্টো যেতে সময় লাগবে মাত্র ২৪ মিনিট। লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়া যাবে ২৯ মিনিটে। দিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকো ৩০ মিনিটে এবং নিউইয়র্ক থেকে সাংহাই যাওয়া যাবে ৩৯ মিনিটে।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে এই প্রকল্পের একটি প্রচারমূলক ভিডিও শেয়ার করার পর স্টারশিপ রকেটের ধারণাটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পোস্টটি করার পর অনুমান করা হচ্ছে যে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে উদ্যোগটিকে দ্রুত সবুজ সংকেত দেবে। ইলন মাস্ক এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, এটি এখন সম্ভব।
এই প্রকল্প সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে দিনদিন। ইলন মাস্কের ‘আল্ট্রা ফাস্ট ট্রাভেল’ বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে- মনে করা হচ্ছে এমনটাই।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি