X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্বল্পমেয়াদী উদ্ভাবনীর ট্রেন্ড চারটি: গার্টনার

দায়িদ হাসান মিলন
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:২৩আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:২৩

স্বল্পমেয়াদে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক উদ্ভাবনীর চারটি ট্রেন্ড বা ধারা চিহ্নিত করেছে মার্কিন গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান গার্টনার। চারটি ধারার মধ্যে আছে- রেসপনসিবল এআই, স্মল অ্যান্ড ওয়াইড ডাটা, অপারেশনালাইজেশন অব এআই প্ল্যাটফর্মস এবং ইফিশিয়েন্ট ইউজ অব ডাটা, মডেল অ্যান্ড কম্পিউটার রিসোর্সেস। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক সব উদ্যোগ এই চারটি ধারাকে কেন্দ্র করেই গৃহীত হবে বলে মনে করে গার্টনার।

মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র প্রিন্সিপাল রিসার্চ অ্যানালিস্ট শুভাঙ্গী ভাসিস্তা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক উদ্ভাবন খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। মানুষ ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে উদ্ভাবনগুলোকে গ্রহণ করছে। আগামী বছরগুলোতে এজ এআই, কম্পিউটার ভিশন, ডিসিশন ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং বাজারে এক বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

গার্টনারের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার এখন বিবর্তনের পর্যায়ে রয়েছে। ব্যবহারকারীরা এখন এমন প্রযুক্তি চাচ্ছেন যেগুলো বর্তমানে প্রচলিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতার চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হবে।

রেসপনসিবল এআই কী

বিশ্বস্ততা, স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা, মূল্যায়ন ক্ষমতা ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে স্টেকহোল্ডার বা অংশীদারদের কাছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন গার্টনারের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেটলানা সিকিউলার। রেসপনসিবল এআই নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে সহায়তা করে। এমনকি ডাটার মধ্যে পক্ষপাতিত্ব থাকার পরও এটি নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা দেয়। পাশাপাশি বিশ্বাস অর্জন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতেও কাজ করে রেসপনসিবল এআই।

স্মল অ্যান্ড ওয়াইড ডাটা কী

যেকোনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক উদ্যোগের সফলতা নির্ভর করে এর ডাটা গঠনের ওপর। স্মল অ্যান্ড ওয়াইড ডাটা ব্যাপক বিশ্লেষণে সহায়তা করে, বিগ ডাটার ওপর যেকোনও প্রতিষ্ঠানের নির্ভরতা কমায় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও উন্নত ও সম্পূর্ণ সতর্কতা সরবরাহ করে। গার্টনারের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বিগ ডাটা থেকে স্মল ও ওয়াইড ডাটায় গুরুত্ব দিতে বাধ্য হবে।

অপারেশনালাইজেশন অব এআই প্ল্যাটফর্মস

অপারেশনালাইজেশন অব এআই প্ল্যাটফর্মস বলতে বোঝায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যেকোনও ধারণাকে বাস্তবে প্রয়োগ করা। গার্টনার বলছে, পাইলট প্রজেক্ট থেকে পুরোদমে চালু হতে পারে কেবল অর্ধেক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক ধারণা। এক্ষেত্রে তাদের গড়ে ৯ মাসের মতো সময় লাগে।

ইফিশিয়েন্ট ইউজ অব রিসোর্সেস

ডাটার পরিমাণ ও জটিলতার ওপর ভিত্তি করে যাবতীয় কাজ সম্পাদিত হয়। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক উদ্ভাবনের এমন সব রিসোর্সের প্রয়োজন হয় যা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজটি করা যাবে। ব্যবসায়িক অনেক সমস্যা আরও দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করায় বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।

/এইচএএইচ/এমএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হোলি আর্টিজানের ঘটনার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে যা জানালো ডিএমপি
হোলি আর্টিজানের ঘটনার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে যা জানালো ডিএমপি
এনআরবিসি ব্যাংকের অডিট কমিটির সভা
এনআরবিসি ব্যাংকের অডিট কমিটির সভা
কলার চেয়েও বেশি পটাশিয়াম মেলে এই ৪ খাবারে
কলার চেয়েও বেশি পটাশিয়াম মেলে এই ৪ খাবারে
ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা রয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম
ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা রয়ে গেছে: নাহিদ ইসলাম
সর্বাধিক পঠিত
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
ঢাকা সিটি কলেজক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি