X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফারুকীর ‘ডুব’ বিতর্ক

মাসুদ হাসান উজ্জ্বল
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:৪৯আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:০৭

মাসুদ হাসান উজ্জ্বল গরম তাওয়ায় রুটি সেঁকা আমার কাজ নয়, তাই কোনও বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলা এবং গরম তাওয়ায় নিজে কিঞ্চিৎ উষ্ণ হওয়া আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। কিন্তু ফেসবুক খুললেই এই যে ‘ডুব’ নিয়ে হুলুস্থুল! দু'একটা কথা না বলে আর পারা যাচ্ছে না! পৃথিবীর সব নির্মাতারই গল্প বলার নিজস্ব স্টাইল থাকে। স্টাইল আর দৃষ্টিভঙ্গির বিবেচনায় আমি আর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সম্পূর্ণ দুই মেরুর নির্মাতা। সুতরাং আমার বিশ্বাস আমার পক্ষে ‘ডুব’ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ নির্মোহ হয়ে কথা বলা সব থেকে সহজ হবে।
‘ডুব’ আসলে কী? ‘ডুব’ একটা গল্প। ‘ডুব’ এর পরিচালকের বক্তব্য অনুসারে মানুষ, মানুষের সম্পর্কের দ্বন্দ্ব এবং সম্পর্কের অসহায়ত্বই হলো ‘ডুব’ এর মূল উপজীব্য। ১৮ শতকের পশ্চিমা কবি শেলির ওড টু দ্য ওয়েস্ট উইন্ড এর দুটো লাইন –
‘I fall upon the thorns of life! I bleed’; আমি রীতিমত আমার জীবনের ট্যাগ লাইন হিসাবে ব্যবহার করি। ‘ডুব’ এর ইংরেজি নাম ‘No bed of roses’ মানুষ হিসাবে বোধ জন্ম হওয়ার পর থেকেই আমারা জানি জীবন পুষ্পশয্যা নয়। ছবির নাম থেকে সহজেই বোঝা যায় পরিচালক জীবন আর মানবিক সম্পর্ক নিয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির বয়ান করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো এই দৃষ্টিভঙ্গি কি মৌলিক, না কি পরিচালক কোথাও থেকে ধার করেছেন! তাহলে আমাদেরকে পরিচালকের জীবন চক্রকে Rewind করে পেছনে যেতে হয়, প্রশ্ন করতে হয় যেদিন তিনি প্রথম মা ডাকলেন, কিভাবে ডাকলেন, কতখানি মৌলিক ছিল সেই ডাক! আসলেই এসব প্রশ্ন বাতুলতা। যেই অর্থে মৌলিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তাতে গল্পকার বা পরিচালককে জন্মান্ধ এবং জন্ম বধির হতে হয়! কারণ পারিপার্শ্বিকতার ধারণা থেকেই মানুষ জীবনকে জানতে শেখে এবং আমৃত্যু সেই শেখার আর শেষ থাকে না! জীবন এক অদ্ভুত দোদুল্যমান ধারণা! জীবন মানুষকে নানারকম মৌলিক প্রলোভন দেখিয়ে শেষ বিচারে কমবেশি একই ধরনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে নিয়ে যায়, এ এক ধরনের মধু মিশ্রিত বেদনাময় ফাঁকিও বটে! ঠিক এই সংঘাতময় অবস্থান থেকেই শিল্পসাহিত্য বা চলচ্চিত্রর জন্ম হয়। একজন সৃজনশীল মানুষ তার জীবন থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার সাথে তার কল্পনার মিশ্রণটা যখন সঠিক ভাবে ঘটাতে সক্ষম হন তখনই একটা নতুন গল্প একটা নতুন ছবি জন্ম নেয়। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। সুতরাং একটা মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চলচ্চিত্র নিয়ে আগাম মন্তব্য করা কিন্তু রীতিমত গর্হিত অপরাধ!

এবার আসা যাক হুমায়ূন আহমেদ প্রসঙ্গে। বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে হুমায়ূন আহমেদ কে ছিলেন সেটি আমার উল্লেখ না করলেও চলে। তার মৃত্যুর পর থেকে আজবধি একজনও ভক্ত হ্রাস পায়নি, বরং বেড়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। একটা কথা মাথায় রাখা দরকার হুমায়ূন কোনও সমাজ সংস্কারক বা ধর্মীয় নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন প্রচণ্ড জনপ্রিয় একজন ঔপন্যাসিক। সে কারণেই তার ব্যক্তিগত জীবনের কোনও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বা উত্থান-পতনে তার জনপ্রিয়তা একবিন্দুও প্রভাবিত হয়নি। এ রকম প্রাসাদ প্রমাণ জনপ্রিয় ব্যক্তিদের জীবনে তাদের ব্যক্তিগত বিষয়াসয় খুব বেশি যে ভূমিকা রাখে তাও কিন্তু নয়। মানুষ যখন মগ্ন হয়ে কবির সুমনের গান শোনে একবারও কিন্তু মাথায় রাখে না, তিনি হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছেন, বা তিনি কবার বিয়ের পীড়িতে বসেছেন। হুমায়ূন আহমেদ-এর ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম কিন্তু। এখন কেউ যদি একটি ছবি বানাতে গিয়ে কোনভাবে তার জীবনের কোনও ঘটনাবলী দ্বারা প্রভাবিত হয়েও থাকেন তাতে কী উপায়ে হুমায়ূন আহমেদকে অসম্মান করা হয় সেটা ঠিক বোধগম্য নয়! একটা চলচ্চিত্র আর কিইবা বলবে একজন হুমায়ূনকে নিয়ে, তার ভক্তরা এর থেকে ঢের বেশি তার সম্পর্কে জানেন! তবে এক ধরনের পারিবারিক বা ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে মেহের আফরোজ শাওন এর আশঙ্কাকে পরিপূর্ণভাবে ভিত্তিহীন বলে বসলে তার আবেগকে অসম্মান করা হয়। সকল মায়েরই সন্তানের ভবিষ্যৎ, সামাজিক মর্যাদা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে, মা হিসাবে শাওনেরও থাকবে সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু মুশকিল হলো একজন হুমায়ূন আহমেদ যেহেতু কোন মামুলী ব্যক্তি নন, তার পরিবারের সদস্যরা চাইলেই এই খ্যাতির আনন্দ বা বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত নয়। খ্যাতিমান ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদেরকেও সেই পর্যায়ের আধুনিকতা এবং সহনশীলতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এখন একজন নির্মাতা যদি একজন বিখ্যাত মানুষের জীবন নিয়ে বিকৃত কোনও কিছু উপস্থাপন করেন, সেটি নিশ্চয়ই কোন সুবিবেচনার লক্ষন নয়। কিন্তু সেটি যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রমাণিত না হচ্ছে, ততক্ষণ এর দায় তো নির্মাতাকে দেওয়া যাচ্ছে না! বাংলা ট্রিবিউনের একটা অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে দেখলাম ফারুকী নিজেই আনন্দবাজারকে বলেছেন যে তিনি হুমায়ূন আহমেদ এর জীবনের কিছু ঘটনা নিয়ে তার ছবিটি বানিয়েছেন। কিন্তু ফারুকীর বক্তব্য তিনি কারো বায়োপিক তৈরি করেননি। কে সত্য, কে মিথ্যা তার থেকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের দেশে কতখানি বাক স্বাধীনতা রয়েছে সেটির নিশ্চয়তা। একটা কাহিনীচিত্রে দেশের সংস্কৃতি , স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব বিরোধী কিছু না থেকে থাকলে সেই ছবিটি আটকে দেওয়া আসলে কতোটা যৌক্তিক! হুমায়ূন আহমেদ-এর দ্বিতীয় বিবাহ নিয়ে দেখবেন তার নিকটজনদের ভেতরেই পক্ষ – বিপক্ষ রয়েছে। একটি চলচ্চিত্রে যদি সেইরকম কিছু উঠেই আসে তাহলে দেখবেন দর্শকের ভেতরেও দুই রকমের কিংবা মিশ্র প্রতিক্রিয়া হবে। সেই সুযোগটি পাওয়ার অধিকার কিন্তু দর্শকের আছে।
আমার নিজের ক্ষুদ্র একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমি একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছি যার তিনটি প্রধান চরিত্রের একজন হলেন প্রেম এবং বিদ্রোহের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। আমারটা বায়োপিক তো নয়ই, বরং শতভাগ ফিকশনাল। তো আমাদের দেশের একজন বিখ্যাত অভিনেত্রীকে চিত্রনাট্য পাঠান হলো অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে। তিনি চিত্রনাট্য পড়ে একরকম চটেই গেলেন, কারণ চিত্রনাট্যর মাত্র একটি জায়গায় সাকুরা বারে মদ্যপানের প্রসঙ্গ আছে, তাও কেবলমাত্র পান করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে। সেই সম্মানিত অভিনেত্রীর বক্তব্য মদ্য পানের প্রসঙ্গ টেনে রুদ্রর মতো মহান ব্যক্তিকে ছোট করা হয়েছে! এটা শুনে আমি বিস্মিত আর সাবধান দুইই হলাম। আমি কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ভাই সুমেল বরকতকে চিত্রনাট্য পাঠালাম। তিনি চিত্রনাট্য পড়ে কেবলমাত্র ভূয়সী প্রশংসা করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি বলেছেন এই চলচ্চিত্রর জন্য রুদ্র পরিবার সর্বদা আমার পাশে আছেন। মদ্য পানের প্রসঙ্গটা তুলতেই তিনি খুবই স্বাভাবিক কণ্ঠে হাসতে হাসতে বললেন- ‘দাদা যে মদ খেতেন, সেটা কে না জানে! আর এটা বললেই দাদা ছোট হয়ে যাবেন, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র বিশালতা কি এই তুচ্ছ বিষয়ে আটকে আছে!’ তো আমারও কথা সেই একই- আমরা কেন সবসময় ব্যক্তি জীবনে প্রচণ্ড আধুনিক মানুষকে  নানারকম সামাজিক ট্যাবুতে আটকে রেখে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করি, যেই মহিমা তারা নিজেই জীবদ্দশায় স্বীকার করেন নি!

হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে ‘স্পর্শকাতর’ শব্দটাও এই ক্ষেত্রে আমার কাছে গোলমেলে ঠেকছে! বলা হচ্ছে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন আশঙ্কা করছেন যে ‘ডুব’ চলচ্চিত্রটিতে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের কিছু স্পর্শকাতর বিষয় উঠে এসেছে। প্রশ্ন হলো ঠিক কোন বিষয়গুলোকে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের ‘স্পর্শকাতর’ ঘটনা বলা হচ্ছে! আমার দিক থেকে যতটা অনুমান করা সম্ভব সেটি হলো তার দ্বিতীয় বিবাহ সংক্রান্ত। ঘটনাটিকে আমি ‘স্পর্শকাতর’ না বলে আলোচিত ঘটনা বলতে চাই। স্পর্শকাতর বলতে পারছি না এই কারণে যে একজন মানুষ সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় পূর্বের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রচলিত বিবাহ বিষয়ক আইন মেনে আরেকজনকে বিবাহ করে আমৃত্যু সংসার করেছেন, সেখানে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এই ঘটনাকে যদি ‘স্পর্শকাতর’ বলা হয় তাহলে এই সম্পর্ক এবং সম্পর্ক থেকে প্রাপ্ত সন্তানদেরকে অসম্মান করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপের সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে তার লেখা পড়ে এবং তাকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন তাদের সুবাদে যতটুকু জানি তিনি ছিলেন অকুতোভয় এবং স্পষ্টভাষী একজন মানুষ। তিনি জীবনে যা কিছু করেছেন সৎ সাহস নিয়েই করেছেন। তিনি কাউকে লুকিয়ে বিয়ে করেননি, সংসারটিও করেননি লুকিয়ে। সুতরাং তার জীবনের একটা স্বাভাবিক ঘটনা প্রবাহকে স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করার বিষয়টি আমার দৃষ্টিতে অন্তত যৌক্তিক বলে মনে হয় না। এমনতো নয় হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত ঘটনাবলী সম্পর্কে যদি চলচ্চিত্র নির্মিত না হয় তাহলে এই বিষয়গুলো মানুষের অজানা রয়ে যাবে! মনে রাখা দরকার হুমায়ূন আহমেদ কোনও ছাপোষা ব্যক্তি ছিলেন না, নক্ষত্রসম উজ্জ্বল ব্যক্তিদের কোনকিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না।

এবারে আসা যাক ‘ডুব’ এর পরিচালক এর বক্তব্য প্রসঙ্গে। তিনি কিন্তু বারবার স্পষ্ট ভাষায় বলছেন এটা কারো বায়োপিক নয়। তার চলচ্চিত্র’র পাত্রপাত্রীর নাম জাভেদ হাসান, সাবেরি, মায়া এবং নিতু। এই বিষয়ে ছবির শুরুতে তিনি ডিসক্লেইমারে উল্লেখ করেছেন এটা একটা ফিকশনাল গল্প, এর সঙ্গে জীবিত বা মৃত কারো কোনও সম্পর্ক নাই। তিনি বারবার বলছেন তার ছবিটি দেখাতে কোনও ভয় নাই, তাহলে দেখতে কিসের ভয়! তাহলে কিসের আশঙ্কায় এই চিঠি চালাচালি! তারপরেও কথা থাকে, এই ক্ষেত্রে ফারুকী যদি কোনও মিথ্যাচার করে থাকেন তাহলে সেই দায়ও তিনি এড়াতে পারবেন না। কোনও দেশের দর্শকই প্রতারিত হতে পছন্দ করেন না। সুতরাং চলচ্চিত্রটি যদি আমাদের সেন্সর বোর্ডের কোনও নীতিমালা লঙ্ঘন করে না থাকে, তাহলে সেটি হলে মুক্তি পাক। দর্শকই সব থেকে বড় বিচারক, বিচারের ভার তাদের উপরেই ন্যস্ত থাক।

একজন নির্মাতা হিসাবে নানা বিষয়ে শঙ্কিত হয়েই এই লেখাটা লিখতে বসা। এমনিতেই বছরের পর বছর আমাদের চলচ্চিত্র ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযোজক, শিল্পী, সরকার, হল মালিক, দর্শক কেউই এই শিল্পটি নিয়ে খুব বেশি আন্তরিক নয়। জীবন ক্ষয় করে একজন নির্মাতাকে একজন অর্থ লগ্নিকারিকে জোগাড় করতে হয়। সেই ছবি যদি সামান্য সন্দেহ বা আশংকার বশবর্তী হয়ে আটকে দেওয়া হয়, তাহলে কোন সাহসে লগ্নিকারিরা চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করবে!  এযাবৎকালে যৌথ প্রযোজনার নামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘আলতু ফালতু’ ছবি তৈরি হয়েছে। যা বিশ্ববাজারে আমাদেরকে প্রচণ্ড হেয় করেছে!

ইরফান খানের মতো বলিউড হলিউড কাঁপানো একজন অভিজ্ঞ অভিনেতার ডুব চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে রাজি হওয়া এবং নিজেই অন্যতম প্রযোজক হওয়ার ঘটনা আমাকে আশাবাদী করে। আবার কোনও কারণে এই ছবিটি যদি অসফল হয় তাহলে সেটিও আমাদের জন্য ঘোর অশনি! আমি বলি কী ছবি দেখার পরে আমরা মূল্যায়ন করবো ফারুকী কতোটা পেরেছেন। তিনি আমাদের প্রাণপ্রিয় হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কোনও মিথ্যাচার করেছেন কিনা! একজন নির্মাতা হিসাবে আমি এইটুকু বলতে পারি যেই কাহিনী সকলের জানা হুবহু প্রতিবেদনের মতো সেটি তুলে ধরলে সেই ছবির পক্ষে সফল হওয়া বেশ কঠিন। ফিকশনটা সেখানে উপস্থিত থাকতেই হবে। ফারুকীর মতো অভিজ্ঞ একজন  নির্মাতা এই ভুলটি নিশ্চয়ই করবেন না! আর যদি ভুল করেই বসেন সেই মাশুল তাকেই গুনতে দিন না!

মুক্তবাজার অর্থনীতির এই ক্রান্তিকালে বহির্বিশ্বের কাছে যদি আমাদের চলচ্চিত্র এবং আমাদের নির্মাতারা গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন তাহলে সেটা আমাদের চলচ্চিত্রের নিভুনিভু আলোতে আশার সঞ্চার করে। একটি মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবিকে নিয়ে অনুমান নির্ভর যেকোনও মন্তব্য বা সিদ্ধান্তই সেই চলচ্চিত্র তথা আগামীর চলচ্চিত্রর জন্য ক্ষতিকর। একজন নির্মাতা হিসাবে আমিও নিশ্চয়ই চাইব না কারও একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমার কোটি টাকা লগ্নিকৃত ছবিটি আটকে যাক। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমারা আরও বেশি দায়িত্বশীল হবো, সেই প্রত্যাশা রইল ।

লেখক: কবি, শিল্পী, নির্মাতা

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
কবিগুরুর  ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী: গঠিত হলো সোসাইটি, দেশজুড়ে বর্ণিল আয়োজন
কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী: গঠিত হলো সোসাইটি, দেশজুড়ে বর্ণিল আয়োজন
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ