X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়ঙ্কর টেলিফোন সংলাপ!

রেজানুর রহমান
১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:২১আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:২৩

রেজানুর রহমান আজকাল রাস্তার মোড়ে ছোট্ট চায়ের দোকানের সামনে কিছুক্ষণ বসে থাকলেই আপনি দেশের হালচাল কেমন তা সহজেই বুঝতে পারবেন। চায়ের কাপ হাতে থাকলে আপনারই সুবিধা। চা খেতে খেতে কান খাড়া রাখবেন আশে-পাশে যারা বসে, দাঁড়িয়ে আছে তাদের মূল্যবান ভাষণ শুনবেন। খবরদার, ভাষণ শুনতে গিয়ে নিজেই আবার ভাষণ দিতে যাবেন না যেন। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপনি ন্যায্য কথা বললেও কোনও না কোনও পক্ষের কাতারে আপনাকে দাঁড় করানো হবে। আপনি যদি সেটা চান, তাহলে তো সমস্যা নেই। আর যদি নিরপেক্ষ থাকতে চান, তাহলে মুখ বন্ধ রাখাই ভালো। কথায় বলে না বোবার কোনও শত্রু নেই। কী বললেন? আজকাল বোবারও শত্রু আছে? হ্যাঁ, কথা ঠিক। এই তর্কটা আজ  থাক। আসল কথায় আসি।
বসে আছি ব্যস্ত রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকানের সামনে ছোট্ট বেঞ্চের ওপর। আমার দুই পাশে ঠাসাঠাসি করে বসে আছে আরও তিনজন। দু’জন যুবক। একজন বয়স্ক। দোকানের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আরও পাঁচ জন। তিনজন বয়স্ক। দু’জন যুবক। বেঞ্চে বসে থাকা বয়স্ক ব্যক্তিটির বক্তব্য শুনছে সবাই। বয়স্ক ব্যক্তিটি বলছেন, ‘আমারে একটা কথার জবাব দেন তো সবাই। এই যে কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব, বি চৌধুরী ও তার ছেলে মাহী বি চৌধুরী। তিনি কথা বলেন ভালো। কিন্তু ভোটে খাড়াইলে কি ৫০০ ভোট পাইবো? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হইলো, তারা ভিড়ছে কাগো সঙ্গে? স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে। ডাক্তার (ডক্টরকে ‘ডাক্তার’ উচ্চারণ করেছেন) কামাল হোসেন কী বললেন? তিনি নাকি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য লড়াই করবেন। এইটা কি ভাই বিশ্বাসযোগ্য কথা? বর্তমানে তিনি যাদের সঙ্গে যুক্ত হইছেন, তারা তো বঙ্গবন্ধুর কোনও অবদানকেই স্বীকার করে না। অথচ কামাল সাব তাদের সঙ্গেই হাত মিলাইলেন? এইটা ভাই কেমন রাজনীতি?’

বয়স্ক লোকটিকে এবার থামিয়ে দিল সামনে দাঁড়ানো একজন যুবক। রাজনৈতিক নেতাদের মতো দুই হাত নেড়ে নেড়ে সে বলতে শুরু করলো, ‘মুরুব্বি আপনি এবার থামেন। আমারে একটু বলতে দেন। আপনি কি মাহমুদুর রহমান মান্না ও মাহী বি চৌধুরীর টেলিফোন সংলাপটা শুনেছেন? একটু আগে বক্তৃতারত বৃদ্ধ লোকটি অবাক হয়ে বললেন– তারা আবার কী করলেন? কিসের সংলাপ? বৃদ্ধের কথা কেড়ে নিয়ে যুবকটি বললো, মুরুব্বি আপনি তো দেখি আসল ঘটনাই জানেন না। দুই নেতা নিজেদের মধ্যে কী কথা বলছেন শুনবেন? যুবকের কথা শুনে বৃদ্ধ উৎসাহী হয়ে বললেন, শোনাও তো দেখি। যুবক তার মোবাইল ফোন অন করে একটি অডিও সংলাপ শোনাতে শুরু করলো। চায়ের দোকানের সামনে ভিড় জমে গেলো অডিও সংলাপ শোনার জন্য। প্রথমে শোনা গেলো মাহী বি চৌধুরীর গলা।

মাহী: মান্না ভাই

মান্না: হ্যাঁ ভাই

মাহী: আপনি আব্বার সাথে কথা বইলা আপনি গিয়া ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন মান্না ভাই?

মান্না: হ্যাঁ

মাহী: হ্যাঁ...

মান্না: না না না এইটা এইটা... এই মিস-আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা হয়েছে, আমারও হয়তো ভালো করে ভাবার দরকার ছিল কারণ হলো যে রব ভাই কথা বলেছেন স্যারের সাথে। এবং স্যার বলেছেন হ্যাঁ আমি এইটা চিন্তা করছি আধা ঘণ্টার মধ্যেই জানাচ্ছি। তো আমি ভাবছি উনি তো আসবেন...

মাহী: না না না। আব্বা আমার পাশে বসেই রব চাচার সাথে কথা বলছেন, উনি (রব চাচা) যদি এটা বলে থাকেন তবে এই কথাটি সত্য নয়। আর আব্বা তো আপনার সাথে নিজেই কথা বলছে মান্না ভাই।

মান্না: না না আমার সাথে কথা বলেছেন কি? কথাতো সব ঠিকই আছে এবং যেগুলো ভুলভাল ব্যাপার ছিল সেগুলো আলাপ হয়েছে। কারণ আমি অনেস্টলি বলি আজকের মানে সামগ্রিক বিষয়ের ওপর অনেক কথা আছে সামনা-সামনি বলবো। ফোনে সব বলতে পারবো না। কিন্তু একটা সিচুয়েশন হয়েছে যে সিচুয়েশনটা আমি এভয়েড করতে পারিনি। আমি যদি করতে পারতাম যদি এই ঘটনাটা যদি না হতো। রব যদি স্যারের সঙ্গে কথা না বলতো এবং এই রিপ্লাই যদি না পেতাম। কারণ অলসো আই সেইড নো, অ্যান্ড ইট ওয়াজ ট্রলড। তারপরে এইটা শোনার পরে, আবার সবার... কথাবার্তা বলছি তখন আমি এগ্রি হয়েছি কিন্তু তখনও ঘোষণা পড়ার কথা হয় নাই। সেটা হয়েছে পরে। ... ঠিক আছে যাও। আমি তো প্রথমে বলেছি যাবই না।

মাহী: না, কিন্তু সকাল থেকে মঈনুল হোসেন সাহেব কামাল হোসেন সাহেবকে সরিয়ে নিয়ে গেলেন ওনার বাসা থেকে। এবং চিন্তাটা আগেই ছিল মওদুদ হোসেন সাহেবের যে বি চৌধুরী এবং কামাল হোসেনকে একলা বসতে দেওয়া যাবে না। এজন্য সরায় নিয়ে গেলেন। এবং বি চৌধুরী সাহেবকে সম্পূর্ণভাবে একটু অপমান করে দেওয়া এই যে একটা পরিকল্পনা, এই একটা চক্রের মধ্যে তো আপনারা পড়ে গেলেন মান্না ভাই।

মান্না: না না না এই চক্রের মধ্যে পড়বো কেন, এটারতো বাইরেই থাকবো, এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না, এটার বাইরে থাকবো এবং আনাও যাবে। কিন্তু আপনাকে বা আপনাদের ব্যাপারটাও আমার একটু বোঝা দরকার। আচ্ছা, আপনি আমাকে কেন দোষারোপ করলেন মিছেমিছি? আমি কী বেঈমানি করলাম?

মাহী: না না না। আমি আমি এই ওয়ার্ডটাই উচ্চারণ করি নাই। বাট আমি বলেছি, আপনাকে আব্বা যখন নিজে কথা বলেছে আপনি বলেছেন ঠিক আছে, আপনি আমাদের প্রেস কনফারেন্সেও থাকবেন না, ওখানেও থাকবেন না। আমরা সেটা আশা করেছিলাম। সেখানে আপনি যখন ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন তখন আব্বা ওয়াজ আ লিটারালি শকড। যে আমি তো মান্নার জন্য বরং কামাল হোসেনের সঙ্গে আমি ফাইট করেছি।

মান্না: আই আই আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট। আমি আমি আমি...

মাহী: সেখানে আজকে কামাল হোসেন হয়ে গেল মান্নার এত কাছের লোক। আমাকে অপমান করলো। আর সে ওখানে চলে গেলো ঘোষণাপত্র পাঠ করতে?

মান্না: না না এটা আপনি খুব রাইট কথা বলেছেন। যে অ্যাকচুয়ালি আমাকে তো ধাক্কা দিয়ে, আই ওয়াজ পুশড… দ্যাট টাইম ইউর ফাদার সেভড মি। সেটা তো আমি ভুলছি না। এটা বলছি যে সেটাও ঠিক বলছেন। কিন্তু তার মানে কি ডিড ইউ ... মানে এই যে এই কি বলে গ্রেটার ইউনিটি থটের (চিন্তা) বাইরে চলে গেছে নাকি? তা তো না।

মাহী: কিসের গ্রেট? কার কার সাথে গ্রেটার ইউনিটি,যে লোক ভদ্রতা জানে না তার সাথে? কার সাথে গ্রেটার ইউনিটি?

মান্না: ... এইরকম পলিটিক্সে অজস্র হয়।

মাহী: না আমি আমিতো এরকম পলিটিক্স আমরা করি না।

মান্না: ...সইতেও পারবো না।

মাহী: মান্না ভাই, এ রকম পলিটিক্স আমরা করি না। আমি মনে করি আপনি আর রব চাচা, আপনারা সবাই মিলে একটা কন্সপিরেসির শিকার হয়ে গেলেন। আল্লাহর রহমতে আমরা সেখান থেকে বাঁইচা গেলাম।

মান্না: মানে বেঁচে গেলেন মানে কী? এইটা থেকে বেরিয়ে গেলেন?

মাহী: না আমরা পুরা,  আমরা বেরিয়ে যাইনি, আমাদেরকে বের করে দিলেন আপনারা। আপনারা মিটিং করলেন, আমাদের ডাকলেন না।

মান্না: না না প্রশ্নই আসে না...

মাহী: আপনারা... তো আপনারা আমাদের ডাকেনই নাই। তো আজকে আপনারা ঘোষণা দেবেন আমাদের বলছেন? বি চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন? কামাল হোসেন সাহেব ওনার বাসায়...

মান্না: ...যে এইরকম যে...

মাহী: আপনি আমাকে বলেন, বি চৌধুরী সাহেব কামাল হোসেনের সাহেবের বাসায় যাবেন উনি বাসায় ছিলেনই না, একটা ফোন করেও দুঃখ প্রকাশ করলেন না। আপনারা প্রেস কনফারেন্স করবেন, যৌথ ঘোষণা দেবেন আমাদেরকে বলছেন? আমাদেরকে জানায়ছেন? আমরা কিন্তু বেরিয়ে যাইনি ঐক্য থেকে। ঐক্য কে চায় না, তা জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

মান্না: আচ্ছা এখন ঐক্য যদি চায় যে আপনারা আসেন তাহলে কী করবেন?

মাহী: ঐক্য যদি...?

মান্না: চায় যে আপনারা আসেন

মাহী: ঐক্য তো চায় না, আজকে তো বলেই দিলেন। আপনারা তো বলেই দিলেন।

মান্না: প্রেস কনফারেন্সে আপনাদের কথা বলা হয়েছে, যে ওদের আসার কথা ছিল। উনি (বি চৌধুরী) হয়তো যোগ দেবেন কিছুক্ষণের মধ্যে...

মাহী: সেটা তো মিথ্যা কথা। সেটা তো জাতির সঙ্গে মিথ্যা কথা বলা। সেইটা তো সেইটা তো জাতির সাথে প্রতারণা করা, ওনার তো প্রেস কনফারেন্সে আসার কথা না। ওনাকে তো কেউ প্রেস কনফারেন্সে আসার কথা কেউ বলে নাই।

মান্না: ...  পরে এটাও বলা হয়েছে, যে এটা যেকোনও কারণেই হোক, ভুলের কারণেই হোক উনি এখানে নাই। কিন্তু আমরা তাকে এই ঐক্যের মধ্যেই ধরে আছি। উনি আছেন আমাদের সাথে...

মাহী: কাদের সাথে? কাদের সাথে? কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আপনারা ঐক্য করছেন। কামাল হোসেন সাহেব প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন। ওনার ওনার নেতৃত্বে জামাতের সাথে গোপনে আঁতাত হবে, সেগুলোর সঙ্গে আমরা থাকতে চাই না তো, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। বাট প্রশ্ন তো সেটা না। মানে এই জিনিসগুলো আপনারা জাতির সামনে পরিষ্কার করেই বলতেন যে উনাকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই। উনাকে না বলে আমরা চুরি করে মিটিং করছি। এগুলো বলল না কেন? এগুলো বলল না কেন?

মান্না: এরকম প্রশ্নোত্তর কেউ করে নাই তো…করলে

মাহী: না না বাট আপনারা নিজেরাই বলতেন যে কামাল হোসেন সাহেব উনার বাসা থেকে পালায় গিয়া আবার গিয়া উনার অফিসে বসে মিটিং করে ওনাকে বাদ দিয়ে আমরা একটা ঐক্য করতে চাই। গোপনে গোপনে জামাতের সাথে... বলতেন।

মান্না: ভাই এরকম বলেন কেন?

মাহী: তাইলে যেইটা করতেছেন সেইটাই বলতেন।

মান্না: যা হইছে সেইটা ভালো কাজ হয়নি সেটা আমি একশবার  মানছি। তার মানে এই না যে আমরা রেগে গিয়ে বলবো আমরা খুব অন্যায় কাজ করেছি। তাহলে প্রেস কনফারেন্সে আসছেন কেন? ওইটা তো হয় না। যেহেতু ঐক্যটা করতে চাই এইজন্য করেছি। কিন্তু আমি মানে একটা হলো যে, আপনার কথার পরে আমি বলবো যে একটাতো বিভ্রান্তির মধ্যেই ছিলাম।...

মাহী: মান্না ভাই, আমি আপনাকে আজকে আল্লাহর কসম বলি। আমি আপনাকে বলি, আমি আপনাকে পছন্দ করি দেখেই বলতেছি। মান্না ভাই আমি জানি আপনি হান্ড্রেড পার্সেন্ট আন্তরিক ঐক্যের ব্যাপারে। আমিও হান্ড্রেড পার্সেন্ট ঐক্যের ব্যাপারে আন্তরিক। বাট ঐক্যের নাম দিয়ে এখানে কোনও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র হইতেছে, আপনাকে দিয়ে ঘোষণা পাঠ করাইতেছে, আমাকেও ঢুকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকের এই কথাটা শুধু মনে রাইখেন। আর কিছু বলবো না।

মান্না: চিন্তা করবো, আরও কথা বলবো সামনা-সামনি।

মাহী: জ্বি। আমার মনে হয় একটা চক্রান্ত্রের মধ্যে আপনারা ভিক্টিম হয়ে যাচ্ছেন মান্না ভাই। আমি আপনাকে একদম...  আমার মনের বিশ্বাস থেকে বললাম যে, এইখানে আসলে ঐক্য প্রক্রিয়ার নামে একটা চক্রান্ত একটা ষড়যন্ত্র  হইতেছে । এবং এবং এইটার মধ্যে আমাদেরকে জড়ায় ফেলানোর চেষ্টা করা হইছিলো। আল্লাহর রহমত ছিল আমি বাঁইচা গেছি। আপনাকে দিয়ে আজকে ঘোষণাপত্র পাঠ করাইলো। এইটা দিস ইজ নাথিং বাট অ্যা কন্সপিরেসি, এখানে কোনও জাতীয় ঐক্যের বিষয় নাই একটা কন্সপিরেসি হচ্ছে চক্রান্ত হচ্ছে।

মান্না: না আপনি যেরকম মনে করছেন আমি ওইরকম মনে করছি না। আজকের ঘটনার জন্য আমি মর্মাহত।

মাহী: আপনি মনে করছেন যে, আজকের ঘটনাটা এমনি এমনি ভুলে ভুলে হয়ে গেছে আপনার মনে হয়? আপনার মনে হয়, এর এর বাইরে এর পেছনে কোনও জাতীয়-আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নাই?

মান্না: ভুলে ... হোক মনে করছি না কিন্তু ওতো বড় জিনিসও ভাবছি না।

মাহী: অনেক বড় জিনিস হয়েছে। একটুখানি নজর দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন কারা কারা জড়িত। কারা কারা কি করছে। কারা কারা বি চৌধুরী ও কামাল হোসেনকে আজকে একসাথে বসতে দিলো না। কিভাবে ষড়যন্ত্র করে প্রেস কনফারেন্সটা হইলো? কিভাবে আপনাকে দিয়ে ঘোষণা পাঠ করাইলো? আপনিই বিবেচনা করে দেখেন আপনারা কীসের মধ্যে ঢুকতেছেন, আমি কিছু বলবো না।

মান্না: আচ্ছা, আলাপ করবো।

মাহী: জি, ইনশাল্লাহ।

মান্না: ওকে

অডিও সংলাপ শেষ। সঙ্গে সঙ্গে সবার মধ্যে প্রতিবাদের একটা গুঞ্জন শুরু হয়ে গেলো। কেউ কেউ মাহমুদুর রহমান মান্নার ভূমিকা নিয়ে নানান মন্তব্য করতে থাকলেন। আবার কেউ কেউ মাহী বি চৌধুরীরও সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে উঠলেন।

বেরিয়ে এলাম ওই চায়ের দোকান থেকে। রাস্তায় হাঁটছি আর নানান কথা ভাবছি। এই টেলিফোন সংলাপকে আমার কাছে ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে। কারণ এই সংলাপের মাধ্যমে রাজনীতির একটা ভয়ঙ্কর দিক ফুটে উঠেছে। একটা ছবি চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কয়েকদিন আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে ছবিটি তুলেছিলেন। এই ছবি তোলার কয়েকদিন পরই কামাল হোসেনের সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন। এটা কেমন রাজনৈতিক শিষ্টাচার? মাহমুদুর রহমান মান্না ও মাহী বি চৌধুরীর টেলিফোন সংলাপ শুনে সহজেই মনে হতে পারে, মান্না হয়তো তার মতের বাইরে সরকারবিরোধী জোট গঠনের চূড়ান্ত বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। যদি তাই হয়, তাহলে তো অনেক প্রশ্নই থেকে যায়। আপনি সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে কার পক্ষে দাঁড়ালেন? শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকেই সাপোর্ট করছেন না তো?

যে যাই বলুক, একথা তো সত্য, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বোধকরি আমাদের এমন ভুল করা ঠিক হবে না, যাতে  ভবিষ্যতে দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয় অথবা থেমে যায়। তাহলে দেশেরই ক্ষতি হবে। দেশ প্রেমিক সবার জন্য রইলো শুভ কামনা।

লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, সম্পাদক আনন্দ আলো

/এসএএস/এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
ঘোড়াঘাটে মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত
নির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
শনিবার জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভানির্বাচনের সময় জাপায় কী হয়েছিল, জানাবেন জিএম কাদের
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ