X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তারেকের লঘুদণ্ড এবং ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে কথা

আনিস আলমগীর
১৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৩১আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৪৬

আনিস আলমগীর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলার রায়ে ১৯ জনের ফাঁসি, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আর ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা হয়েছে। অনেকের মুখে একটা হতাশার ভাব দেখেছি এই কারণে যে রায়ে কেন তারেকের লঘুদণ্ড হলো। তিনিই তো ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। যাবজ্জীবনও মৃত্যুদণ্ডের সমান প্রায়। অ্যাটর্নি জেনারেলের মতে এটি ৩০ বছর। বিএনপি প্রচারে নেমেছে এই মামলায় তাদের নেতা তারেক রহমানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জড়ানো হয়েছে এবং একজন নিষ্পাপ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, গত ১০ অক্টোবরের এই রায়ে।
কিন্তু দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মনে করে তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট যে পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিলেন তার দণ্ড যাবজ্জীবন হতে পারে না। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের রায় পর্যন্ত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিশ্বাস করে আসছিল যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা তারেকের একক প্রচেষ্টার ফল। অন্যরা সহযোগী মাত্র। শেখ হাসিনার মৃত্যু হলে, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ বড় বড় নেতারা ওই হামলায় প্রাণত্যাগ করলে পরবর্তী সময়ে দেশে ‘একক’ হতেন তারেক জিয়া, ‘একক’ হতেন খালেদা জিয়া এবং ‘একক’ হতো বিএনপি। এতসব ‘একক’ হওয়ার সৌভাগ্য যিনি ভোগ করতেন তিনিই তো হবেন গ্রেনেড হামলার উদ্যোক্তা। বাবর, পিন্টু, হারিছরা তো বাজনাদার মাত্র।

বিচারক তার রায়ে বলেছেন, রাষ্ট্রের মদতে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। রাষ্ট্র তো ছিল সমগ্র ক্ষমতা নিয়ে তারেকের ‘হাওয়া ভবনে’। সুতরাং যারা লঘুদণ্ডের কথা বলে পেরেশান হয়েছেন তারা তো সঠিক। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায় নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল না করলে মানুষের ক্ষোভ মিটবে না। খুনের শিকার ২৪ জন মানুষ ছিল নিরীহ, নিষ্পাপ। তারেক জিয়ার পিতা জিয়াউর রহমানও ক্ষমতায় থাকতে বিএনপিকে আওয়ামী লীগ বিরোধী একক শক্তি বানানোর জন্য এমন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে খন্দকার মোশতাকের ডেমোক্র্যাটিক লীগের জনসভায় গ্রেনেড মেরে ১৪ জনকে হত্যা করেছিল। জিয়ার পরিণতি জনগণ দেখেছে। একদা রাজপুত্রের দুর্নীতির দায়ে জেল গমন, রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলায়ন এবং পলাতক অবস্থায় খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা, দুর্নীতির দায়ে দুই মামলায় ১৭ বছরের জেলের রায়ও জনগণ দেখেছে। এখন শেষ পরিণতি কী হয় এখন সেটা দেখার অপেক্ষায়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে যদি রাষ্ট্রের মদতে হত্যাকাণ্ড বলা হয় তবে তারাও পিলখানার হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় মদতে হত্যাকাণ্ড বলতে পারেন। মুখ থাকলে অনেক কথা বলা যায়। পিলখানার হত্যাকাণ্ড হয়েছিল ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার ৫০ দিনের মাথায়। ৫০ দিন বয়সী একটা সরকার কি দেশব্যাপী এত বড় একটা গোলযোগের ইন্ধন দিতে পারে। তদুপরি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারই সে বিচার করেছে। জড়িত বিডিআর সদস্যদের মাঝে একজনও বলেনি রাষ্ট্র তাদের এমন হত্যাকাণ্ড পরিচালনার জন্য উৎসাহ দিয়েছিল।

সবচেয়ে বড় কথা, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর সরকার কোনও জজ মিয়া নাটক সাজায়নি। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে কমিশনও গঠন করেনি। বিচারপতিকে দিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট এবং প্রতিবেশী কোনও রাষ্ট্রকে অন্যায়ভাবে এখানে জড়ায়নি। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে পুনঃতদন্তের সব সত্য বের হয়ে এসেছে বিএনপি কীভাবে নিজের কলঙ্ক ঢাকার জন্য ছলনার আশ্রয় নিয়েছিল। আষাঢ়ে গল্প বানিয়েছিল।

মুফতি হান্নানের ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দি আর মামলার তদন্তে যখন প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসে, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কীভাবে অস্বীকার করার চেষ্টা করেন ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্রীয় মদতে হয়নি। ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাম্প্রতিককালে এমন সব উদ্ভট কথা বলছেন যে অচিরেই জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো অসত্য তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার জন্য হয়তো করজোড়ে ক্ষমা চাইতে হবে।

মুফতি হান্নানকে বিএনপি সরকার গ্রেফতার করেছিল। তারা তাকে দীর্ঘ সময় রিমান্ডেও রেখেছিল। তখনও মুফতি হান্নান ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছিল তাতে পিন্টু, বাবর আর তারেকের সম্পৃক্ততার কথাই বলেছিল। বিএনপি সরকার এসব গোপন করে রেখেছিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে প্রকাশ পেয়েছে। তিনজন আইজিপি ও তিনজন পুলিশের এসপির শাস্তি হলো ২১ আগস্টের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া এবং তার যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে বিচার প্রক্রিয়াকে বিভ্রান্ত করার অজুহাতে। তখন বিএনপিই ক্ষমতায় আর এই কাজ তো অন্য কেউ করতে আসেনি। এই ঘটনার জন্য শুধু যে আসামিরা দায়ী তা নয়, এই ঘটনার দায় খালেদা জিয়ার সরকার এবং বিএনপিও এড়াতে পারবে না।

মন্ত্রিসভার সব মন্ত্রীই তখন হাওয়া ভবনের কথাকে সমীহ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। কোন ব্যবসা কে পাবে আর সরকারি আমলাদের কার কার পদন্নতি হবে, পোস্টিং কোথায় হবে–তা থেকে শুরু করে সব রাষ্ট্রীয় কাজের নিয়ন্ত্রণ হতো তারেকের অফিস থেকে। সেই হাওয়া ভবন অফিসে বসেই ২১ আগস্টের হামলার পরিকল্পনা নিয়ে হুজি নেতাদের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন তারেক।

৩০ জন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তখন হাওয়া ভবন এবং তারেকের ভূমিকা সম্পর্কে সাড়ে তিন ঘণ্টা আলোচনা করে তার আর তারেকের দ্বৈত শাসনের অবসানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও তিনি তার অবসানের কোনও উদ্যোগ নেননি বা পুত্রের প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করেছিলেন। খালেদা জিয়ার সরকার বিএনপির সরকার, সুতরাং দল হিসেবে তাদের সরকারের কুকর্মের দায়িত্ব বিএনপিও এড়াতে পারে না।

২০০৪ সালের গ্রেনেড মেরে ২৪ জনকে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলনরত ১৭ জন কৃষক হত্যা, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে পেট্রোলবোমা মেরে ৩১৯ জন নিরীহ সাধারণ মানুষ হত্যা, ২০১৫ সালের প্রথম ৯৩ দিনে ১৫২ জন মানুষ হত্যার দায় বিএনপি এড়াবে কীভাবে? সব মিলে এটা একটা গণহত্যার মতো। মির্জা ফখরুল, মওদুদ, ড. মোশাররফ গংও এসব হত্যাকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কথা নয়।

বহির্বিশ্বের আদালতও এখন (কানাডা) বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অবহিত করেছে। তারেককে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো বহু আগেই প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। পাকিস্তান ও কাশ্মিরের কিছু আন্তর্জাতিক দুনিয়া কর্তৃক স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে বিএনপির তখনকার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বিদ্যমান ছিল। তারাই পাকিস্তানে তৈরি আর্জেস গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাতুল জেহাদ (হুজি), জেএমবি, জামায়াতে ইসলামিসহ বহু ক্ষুদ্র বৃহৎ সংগঠনের সঙ্গেও তারেক জিয়া এবং বিএনপির যোগাযোগ ছিল। তারেক জিয়া ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদলকে এক মায়ের সন্তান বলে অবহিত করেছিলেন। বিএনপির এক মন্ত্রী বাংলাভাই ও শায়েখ আব্দুর রহমানের মতো সন্ত্রাসীকে মিডিয়ার সৃষ্টি বলে অবহিত করেছিলেন। তখন সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে খালেদা জিয়াতো বাংলাভাইয়ের অস্তিত্বই অস্বীকার করেছেন।

বিএনপির শাসনকালেই তো এই জেএমবি ৬৪ জেলায় একই দিনে একই সময়ে বোমা হামলা করে শক্তি পরীক্ষা করেছিল। জেএমবিকে বিচারবহির্ভূত কাণ্ড চালাতে বিএনপির নেতা আলমগীর কবীর, নাদিম মোস্তফা এবং আমিনুল হক মদত দিয়েছেন। বিএনপি আমলে ৩০ এপ্রিল ১৯৯২ সালে হুজি প্রকাশ্যে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই হুজিরাই ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গোপালগঞ্জে ৭৬ কেজি বোমা পুঁতেছিল।

বিনা বাক্যব্যয়ে এ কথা স্বীকার করতে হবে যে তারেক রহমান সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক। বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান তার ইন্ধনে হয়েছে। সুতরাং সন্ত্রাসকে নিরুৎসাহিত করতে বিএনপির উচিত অবিলম্বে তারেক রহমানকে পার্টি প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা। অবশ্য ভিন্ন কোনও দেশ হলে বিএনপিকেই বে-আইনি ঘোষণা করতো।

সাম্প্রতিক সময়ে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে বিএনপি নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে। তারা এখন ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে জোট গঠন করে সে সংকট থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। গত ১৩ অক্টোবর তারা প্রেসক্লাবে যৌথ প্রেস কনফারেন্স করে গণফোরামের ড. কামাল হোসেন, জেএসডির আ. স. ম.  রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছেন। ওই সম্মেলনে বিএনপির মির্জা ফখরুল, মওদুদ আহমদ, আর খন্দকার মোশাররফ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। দল ছাড়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ওই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।

মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদের মতো ড. কামাল বিএনপিকে নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছেন তা কতটুকু সফল হয় বলা মুশকিল। মাহাথির মোহাম্মদ আর আনোয়ার ইব্রাহিম পরস্পর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, একসঙ্গে এক দলের রাজনীতি করেছেন, মন্ত্রিত্ব করেছেন। আনোয়ার ইব্রাহীমের স্ত্রী আজিজা বহু সাধনা করে মাহাথিরকে পুনরায় মাঠে নামিয়েছিলেন। মাহাথিরও তার সময়ে দুর্নীতি ও সমকামিতার অভিযোগে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া তার সাবেক ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার আনোয়ার ইব্রাহিমকে মৃত্যুর আগে কারাগার থেকে মুক্ত করার একটা দায়িত্ববোধ অনুভব করছিলেন।

কিন্তু ড. কামাল ও বিএনপির মাঝে এমন কী বন্ধন আছে? ড. কামাল অন্য কোনও দল করেননি, আওয়ামী লীগেই তার রাজনীতির হাতেখড়ি। বঙ্গবন্ধুই তার নেতা। প্রেস কনফারেন্সেও বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি দশবার বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কথা বিএনপি ঘরনার কাছে খুবই বৈরী বিষয়। এদের নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে’ সফল হতে চাওয়া, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন’ করার কথা বলা হাস্যকর। এমন পরিস্থিতিতে ড. কামাল এবং বিএনপির এই সম্পর্ক কতদিন টিকে বলা খুবই কঠিন।

ইতিহাসের নানাবিধ আরম্ভ আছে, আবার সমাপ্তিও আছে। ইতিহাসের বহু মুহূর্ত আছে যেখানে স্বর্ণালি ভবিষ্যতের ইঙ্গিত আছে। আবার অতীতকে নিয়ে হতাশাও আছে। আমরা দেখার অপেক্ষায় রইলাম ড. কামাল হোসেন গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের সার্বভৌমত্ব, দুর্নীতিহীন প্রশাসন ইত্যাদির কথা বলে বিএনপির সঙ্গে যে জোট করে মাঠে নামলেন তা দিয়ে তিনি তার কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারেন। নাকি শিব গড়তে গিয়ে তিনি বানর গড়বেন।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ