দাদার কবরের পাশে মুক্তামনিকে কবর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার বাবা ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আজ (বুধবার) জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে ওর (মুক্তামনি) দাফন হবে। ওর দাদার কবরের পাশেই কবর দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই ওর শরীরের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আজ সকালে ও চলে গেলো। আপনারা ওর জন্য দোয়া করবেন। এখন আপনাদের দোয়াটাই ওর কাজে লাগবে।’
মুক্তামনির মৃত্যুতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মুক্তামনির মা আসমা খাতুন কোনও কথাই বলছেন না। মেয়ে হারানোর শোকে অঝোরে কাঁদছেন বাবা ইব্রাহীম হোসেন। তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন স্বজনরা।
শেষবারের মতো মুক্তামনিকে দেখতে শত শত মানুষ তাদের বাসায় ভিড় জমাচ্ছেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ জামিন মুক্তামনির বাসায় এসে পরিবারকে সমবেদনা জানান।
সম্প্রতি মুক্তামনির শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে পড়েছিল। ডান হাতটি আরও ফুলে গিয়েছিল। তাকে নিয়ে চিন্তায় ছিল পরিবার। কয়েকদিন থেকেই জ্বরেও ভুগছিল সে। মঙ্গলবার রাত থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বুধবার (২৩ মে) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার কামারবাসা গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যায় মুক্তামনি।
আরও পড়ুন:
‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি একরাশ প্রশ্ন রেখে গেলো মেয়েটি’
‘ইচ্ছে ছিল বোন সুস্থ হলে একসঙ্গে স্কুলে যাবো’
ক্রমেই খারাপ হচ্ছে মুক্তামনির অবস্থা!
মুক্তামনির কী অসুখ জানেন না চিকিৎসকরাও!