X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর: যা যা হলো

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৪৮আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১২

গত কয়েক দিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক কর্মসূচি। দেশের প্রধান দুই দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ-কর্মসূচি ঘিরে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, এ নিয়ে ছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে শঙ্কাই সত্যি হলো। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, প্রাণহানি ও হরতাল ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ২৮ অক্টোবর।

রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকে ঘিরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বিক্ষিপ্ত সংর্ঘষ হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ হলেও মূল সংর্ঘষটা হয়েছে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে। দলটির নয়া পল্টনের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় দিনের অর্ধেকের বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ হয়। এ সময়ে বেশকিছু গাড়ি-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ বিএনপিকর্মীরা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন দেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন যুবদলের এক নেতাও।সমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক পুলিশ ও প্রায় ৩০ জনের মতো সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসমাবেশ শেষ পর্যন্ত পণ্ড হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষ চলে কয়েক ঘণ্টা (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

এদিকে কোনও অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করতে গিয়ে জামায়াত শুরুতে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখোমুখি হয়। তবে পরে শান্তিপূর্ণভাবেই তারা সমাবেশ শেষ করে এবং সন্ধ্যার আগেই ফিরে যায়। অপরদিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।

বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হন (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

‘শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে’ পুলিশ হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি রবিবার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীও পৃথকভাবে হরতাল ডেকেছে। অপরদিকে বিএনপির হরতাল কেউ মানবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ একই দিনে দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় শান্তি সমাবেশ পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে দলটির নেতাকর্মীরা শনিবার ভোর থেকেই জড়ো হতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা উভয়ই শুরুতে বিবাদ এড়িয়ে নিজ নিজ সমাবেশে যোগ দিচ্ছিলেন। তবে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। মগবাজারের দিক থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিকআপে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে নিজেদেরে সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল মোড়ে পৌঁছানোর আগে সেখানে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীদের কারণে পিকআপটি গুলিস্তানের দিকে যেতে পারেনি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা দেখা যায়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে এ উত্তেজনা চলে। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

পুলিশের পাশাপাশি মাঠে ছিল অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

অন্যদিকে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের কয়েকদফায় সংঘর্ষ হয়। বিএনপির কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায়। তারা কাকরাইলে পুলিশবক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ব্যাপকভাবে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে রাখা দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। সংঘর্ষের জেরে কাকরাইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীদের উল্লাস করতেও দেখা যায় (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় এবং শান্তিনগরেও ছড়িয়ে পড়ে। বিজয়নগর ও শান্তিনগরে থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় প্রায় দুপুর ২টা পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। সেখানে বিএনপি-জামায়াতকর্মীরা চেয়ার ছোড়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ সেখানে তাদের টিয়ার শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পরে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা একেক দিকে চলে যান। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের কিছু অংশ আরামবাগ থেকে নয়া পল্টনের দিকে যাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেখানেও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে সড়কটি ফাঁকা করে দেয় পুলিশ।

রাজপথ ছাড়িয়ে অলিতে গলিতেও পুলিশ ও বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষ চলে (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের জেরে বিএনপির নয়া পল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। সেখানে পুলিশ অবস্থান নেয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে পুলিশের অবস্থানের খবর পাওয়া গেছে। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুরনো পল্টন মোড়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

লাঠি নিয়ে ভাঙচুর, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে বিএনপিকর্মীদের (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

এদিকে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালের ফটকে ও হাসপাতাল চত্বরে রাখা পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয় বিএনপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এ সময় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের দুটি ও খিলগাঁওয়ের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি ছিটিয়ে বিকাল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ায় সমাবেশ পণ্ড হওয়ার আগ মুহূর্তে তিনি ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য দলটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হরতালের কথা জানানো হয়।

রাজধানীতে বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয় (ছবি: ফোকাস বাংলা)

প্রাণহানি-জখম
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকাল ৪টার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম পারভেজ। তিনি কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটরী গ্রামে। তিনি দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় দায়িত্বরত অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন বলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন।

এ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের প্রায় ৭০ জন সদস্য এবং ৩০ জনের মতো গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

যুবদলকর্মী নিহত

নয়াপল্টন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত শামীম মিয়া রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। রাত এগারোটার দিকে শামীমের লাশ পল্টন থানা পুলিশ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে নিয়ে যান।

এছাড়া সংঘর্ষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয় বলে দলটি দাবি করেছে। গণঅধিকার পরিষদ দাবি করেছে, তাদের দলের ৫০ জনের মতো কর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে এলডিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় দলসহ কয়েকটি দলের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।

আরামবাগে জামায়াতের সমাবেশ (ছবি: ফোকাস বাংলা)

অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করেছে জামায়াত
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি না মিললেও রাজধানীতে সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সকালেই মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন দলটির নেতাকর্মীরা। শুরুতেই তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মারমুখী হয়। পরে দলটির নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে পুলিশ কিছুটা পিছু হটে।

আরামবাগে জামায়াতের সমাবেশস্থল ঘিরে রাখে পুলিশ

জামায়াত ঘোষিত কর্মসূচি সামনে রেখে সকালে আরামবাগ মোড়ে একটি ও মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে নটর ডেম কলেজের দিকে যাওয়ার পথে আরেকটি ব্যারিকেড দেওয়া হয়ছিল। বেলা পৌনে ১টার দিকে আরামবাগ মোড়ের পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পরে আরামবাগ মোড় থেকে নটর ডেম কলেজ পর্যন্ত এলাকার সড়কে তারা অবস্থান নেন। দলটি শাপলা চত্বরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা না করেই তাৎক্ষণিক মাইক জোগাড় করে খোলা পিকআপকে মঞ্চ বানিয়ে বেলা আড়াইটার কিছু আগে নটর ডেম কলেজের সামনে সমাবেশ শুরু করে। দলটির সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ হয় ৩টা ১০ মিনিটে। সমাবেশ শেষ হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই সমাবেশস্থল ফাঁকা হয়ে যায়।

জামায়াতের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়

শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করলেও সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত ইসলামী। দলটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, জামায়াত ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সারা দেশে এ সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতালের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ডিএমপির শর্ত মেনে শান্তিপূর্ণভাবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করেছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দলটির শান্তি সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে সকাল থেকে রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে জড়ো হতে থাকেন। তাদের প্রায় সবার হাতে জাতীয় পতাকা বাঁধা লাঠি ও লগি-বৈঠা দেখা গেছে।

প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। এতে দেশাত্মবোধক, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গান ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। সমাবেশের একপর্যায়ে গান গেয়ে শোনান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও লোকসংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম।

আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থল (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

বেলা ১টার পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়। প্রথমে মহানগরের নেতারা বক্তব্য দেন। ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য শুরু করেন। ওবায়দুল কাদের ছাড়াও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের বক্তব্যে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন। পুলিশের অভিযানের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়া পল্টন এলাকায় ছেড়ে যায় বলে দাবি করে টিপ্পনীও কাটেন তারা। রবিবার বিএনপির হরতাল মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার জন্য নির্দেশনা দেন।

আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থল (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

দলটির সমাবেশ দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও বেলা ৩টার আগে পল্টন মোড়ে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের খবরে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কিছু নেতাকর্মীদের জিরো পয়েন্ট থেকে সচিবালয়ের সামনের (আব্দুল গণি রোড) রোড হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়। জিরো পয়েন্ট থেকে গুলিস্তানের দিকেও ছুটতে দেখা যায় আরেকটি অংশকে। এ সময় সমাবেশ মঞ্চ থেকে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (ছবি: ফোকাস বাংলা)

সারা দেশে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা
বিএনপির নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না উল্লেখ করে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হরতাল হলো ভোঁতা অস্ত্র। এই অস্ত্র ভোঁতা গেছে। ওই ভোঁতা অস্ত্রে কাজ হবে না। আমরা আবারও শান্তির পথে। এ সময় কাদের রবিবার মহানগর, থানা, জেলা, উপজেলা, সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তিনি দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের নির্দেশনা দেন।

/ইএইচএস/এফএস/
টাইমলাইন: ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর
৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০৭
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৪৮
ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর: যা যা হলো
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:১৪
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৫১
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৪১
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:১৭
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৫৭
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৩৬
সম্পর্কিত
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
আইপি টিভি চালু করতে চায় ডিএমপি!
গুলিস্তানে দুই জনের মৃত্যু, সন্দেহ ‘হিট স্ট্রোক’  
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ