X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিভ্রান্তির মেঘ আড়াল করতে পারে না সত্যের সূর্যকে

প্রভাষ আমিন
১৩ আগস্ট ২০২০, ১৬:৩৫আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২০, ১৬:৪৫

প্রভাষ আমিন বারবার বললে একটা মিথ্যা কথাও সত্যের মতো শোনায়। ঠিক সত্য না হলেও বারবার বললে একটা বিভ্রম তৈরি হয়, একটা ধারণা তৈরি হয়। হিটলারের তথ্যমন্ত্রী গোয়েবলস এটা জানতেন সবচেয়ে ভালো করে। তাই তিনি হিটলারের সব অপকর্ম, নিষ্ঠুরতা আড়াল করে দিনের পর দিন মিথ্যা বলে গেছেন। মিথ্যাকে সত্যের মতো করে বলে একটা ধারণা তৈরির কৌশলের জন্য কিংবদন্তি হয়ে আছেন গোয়েবলস। বাস্তবতা হলো, ইতিহাসের দীর্ঘ মেয়াদে এই ভ্রান্ত ধারণা বা বিভ্রম টেকে না। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এই মিথ্যা ধারণা দিয়ে অনেককে বিভ্রান্ত করা যায়। সমকালে ধারণা কখনও কখনও সত্যের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে যায়। রাজনীতিতে ভ্রান্তি দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখার প্রবণতা বিশ্বজুড়েই। বাংলাদেশও এই প্রবণতার বাইরে নয়। ধারণার সঙ্গে সত্যের এই সংঘর্ষ চিরকালীন। তবে আমি জানি এবং বিশ্বাস করি, সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধারণা আর সত্যের সংঘাত বহু পুরনো। বাংলাদেশের দুই প্রধান নেত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া। দুইজন দুই ধারার নেতৃত্ব দেন। প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, অগ্রসর ধারার নেতৃত্ব শেখ হাসিনার হাতে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া। দুই নেত্রীর জীবনাচরণের কথাই আমরা কমবেশি জানি। শেখ হাসিনার দিন শুরু হয় তাহাজ্জুদের নামাজ আর কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে। কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রচারণা হলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মসজিদে আজানের বিরুদ্ধে উলুধ্বনি শোনা যাবে। অভিযোগটা করছেন কারা? বিএনপি-জামায়াত এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি। শোনা যায় এই ধারার নেত্রী খালেদা জিয়ার ঘুম দুপুরের আগে ভাঙে না। এই হলো ধারণা আর সত্যের সংঘাত। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও মসজিদে উলুধ্বনি বাজেনি। আর এই ধারণার বিভ্রান্তি দূর করতে আওয়ামী লীগ নিজেদের আরও বেশি মুসলমান প্রমাণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে যেই হেফাজতে ইসলাম বিএনপির সঙ্গে মিলে সরকারের পতন ঘটাতে শাপলা চত্বরের দখল নিতে চেয়েছিল, তারাই এখন সরকারের ‘পোষা’। শাপলা চত্বরের সেদিনের ঘটনার সঙ্গে মিশে আছে ধারণা আর সত্যের সংঘাতের আরেকটি ক্ল্যাসিক উদাহরণ ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থান। ৫ মে সকাল থেকেই হেফাজত ঢাকার দখল নিতে থাকে। আস্তে আস্তে তারা শাপলা চত্বরে জড়ো হয়। দিনভর নানাস্থানে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন মারাও যান। আস্তে আস্তে খবর রটে সরকার পতন না ঘটিয়ে হেফাজত ঘরে ফিরবে না। এরমধ্যে অনেকে মন্ত্রিসভাও বানিয়ে ফেলেন। সরকার তখন বেকায়দায়। তাদের থাকতে দেওয়াও মুশকিল আবার হুজুরদের সরানোও ঝুঁকিপূর্ণ। আওয়ামী লীগের তখনকার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ঠান্ডা মাথায় হুমকি দিলেন। মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠান্ডা মাথায় বিনা রক্তপাতে শাপলা চত্বর খালি করে ফেলে। শাপলা চত্বর অভিযান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্লাসে পড়ানোর মতো একটি সফল অভিযান। সে রাতে আহত একজন পরে হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু ছড়িয়ে দেওয়া হয় শাপলা চত্বরে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এই ধারণাটি খুব দ্রুত সত্যের মতো করে উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনও হাজার হাজার মৃত্যুর বায়বীয় অভিযোগ নিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি শুরু করে। সরকার না হয় হাজার হাজার মানুষ মারলোই, তাহলে লাশ কই? এই প্রশ্নেরও জবাব তৈরি অপপ্রচারকারীদের হাতে– সিটি করপোরেশনের ময়লার ট্রাকে নাকি লাশ গায়েব করা হয়েছে। হাজার হাজার লাশ না হয় গায়েব করা হয়েছে, কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা কই, তারা কেউ তো অভিযোগ করছে না। এত যুক্তির পরও কিছু মানুষ এখনও বিশ্বাস করেন, শাপলা চত্বরে হাজার হাজার লোক মেরে ফেলা হয়েছে। 

এমনকি গুগল সার্চে ‘শাপলা চত্বর’ লিখলে সাজেশনে ‘শাপলা চত্বর গণহত্যা’ও আসে।

বাংলাদেশে এই ধারণার সবচেয়ে নির্মম শিকার শেখ কামাল। আমি বলি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে মিসআন্ডারস্টুড বা ভুল বোঝা চরিত্র। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা যখন হামলা চালায়, তখন সবার আগে বীরের মতো প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিলেন শেখ কামাল এবং মারাও গেছেন সবার আগে। ১৫ আগস্টের পর থেকে অপপ্রচারকারীরা নির্মমভাবে শেখ কামালের চরিত্র হনন করে। তখন সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না, গণমাধ্যমেরও এত বাড় বাড়ন্ত ছিল না। আমরা তখন গ্রামে থাকতাম। কিন্তু আমাদের কানেও ‘মজিবরের পোলায় নাকি ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়া ধরা খাইছে’, ‘আরে শেখ কামালে ডালিমের বউরে তুইলা নিছে বইলাই তো ডালিম পুরা ফ্যামিলিরে মাইরা ফেলছে’, ‘হইতে পারে, শেখ কামাল তো জোর কইরা সুলতানা কামালরে বিয়া করছে, তার চরিত্রই এমন’। ২১ বছর ধরে এই অপপ্রচার চালিয়ে শেখ কামাল সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে, যার সঙ্গে সত্যের দূরতম কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ দেশের অনেক মানুষ বিশ্বাস করেছেন, শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত, শেখ কামাল নারীলোভী। অথচ ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগ যে ঘটনায়, সেই গাড়িটি ছিল বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর, যিনি নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। সেই গাড়িতে ছিলেন বর্তমানে জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদও। ভুল করে সেই গাড়িতে গুলি করা এসপি মাহবুব এখনও বেঁচে আছেন। কেউ ব্যাংক ডাকাতির কথা বলেননি। অথচ সুকৌশলে শেখ কামালকে ‘ব্যাংক ডাকাত’ বানানো হয়েছে। মেজর ডালিমের বউকে তুলে নেওয়ার যে ঘটনায় শেখ কামালকে অভিযুক্ত করা হয়, ডালিমের নিজের লেখা বইয়ে সেই ঘটনায় শেখ কামালের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। ক্রীড়ানুরাগী শেখ কামাল ক্রীড়াবিদ সুলতানাকে ভালোবেসেছিলেন, বিয়ে করেছেন পারিবারিক সম্মতিতে, তুলে নিয়ে নয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভুল বোঝা চরিত্র বললাম, কারণ তিনি মানুষটা যেমন ছিলেন, তাকে চিত্রিত করা হয়েছে ঠিক উল্টোভাবে। শেখ কামাল শুধু ক্রীড়ানুরাগী নন, ছিলেন ক্রীড়াবিদও। ভালো ক্রিকেট খেলতেন, বাস্কেটবল খেলতেন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্র। শুধু খেলা নয়, সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় তার আগ্রহ ছিল, বিচরণ ছিল। রাষ্ট্রপতির ছেলে বলে ধরে নিয়ে কোনও ক্লাবের উপদেষ্টা বানিয়েছে, ব্যাপারটা তেমন নয়। তিনি নিজে অংশ নিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। তিনি ছায়ানটে সেতার বাজানো শিখতেন, বাসায় বেহালা-সরোদ বাজাতেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। আবার বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড ‘স্পন্দন’ও তার হাতেই গড়া। তিনি মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন, রিহার্সেল করতেন, বিতর্ক করতেন। স্বাধীনতা পরবর্তী উত্তাল, অস্থির সময়ে জাতির সাংস্কৃতিক মানস গঠনের নেতৃত্বটা ছিল শেখ কামালের হাতে। যুব সমাজ যাতে বিপথে না যায়, তাই তো তিনি খেলাধুলা, গান-বাজনা, নাটক-বিতর্কে মন দিয়েছিলেন। আর তাকেই কিনা আমরা ব্যাংক ডাকাত বানাতে চেয়েছি। ডলি জহুরের স্মৃতিকথায় পড়েছি, সুলতানাকে তিনি ভালোবেসেছিলেন বটে, কিন্তু কখনও অসম্মান করেননি। রিহার্সেল শেষে ডলি জহুরকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে যেতেন শেখ কামাল। ডলি জহুরের উজ্জ্বল সেই সময়। শুধু সুলতানা নয়, কোনও নারীকেই কখনও অসম্মান করেননি শেখ কামাল। এটা তার পারিবারিক শিক্ষা। অথচ এই শেখ কামালকে বাংলাদেশের গোয়েবলসরা ‘ব্যাংক ডাকাত’ বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিভ্রান্তির মেঘে ঢাকা যায় না সত্যের সূর্যকে। সময় সেই মেঘ সরিয়ে দিয়েছে, শেখ কামাল এখন সত্যের আকাশে ঝলমলে তারা। অপপ্রচারকারীরা আস্তাকুঁড়ে।

অপপ্রচারের সবচেয়ে বড় টার্গেট অবশ্যই বঙ্গবন্ধু। তিনি ভাষণ ভালো দিলেও শাসন ভালো করতেন না, প্রশাসক হিসেবে দক্ষ ছিলেন না। তাঁর মৃত্যুতে ‘ইন্নালিল্লাহ...’ পড়ার লোক ছিল না, কেউ চোখের জল ফেলেনি; এমন কথা আমরা শুনেছি ২১ বছর ধরে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীন করেননি, আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুই। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা তো বটেই, স্বাধীনতার পক্ষের অনেকেও জাসদের আবরণে বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের সংগ্রামকে পদে পদে বাধা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় শক্তি–তিনি বাংলার মানুষকে অন্ধের মতো ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসাকেই আমরা তার দুর্বলতা বানিয়েছি। যারা বঙ্গবন্ধুর শাসন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা কি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আইয়ুব-ইয়াহিয়ার মতো নিষ্ঠুরতা আশা করেছিলেন? সবচেয়ে বড় অপপ্রচার হলো, শেখ মুজিবের মৃত্যুতে কাঁদার লোক ছিল না। ২১ বছর ধরে বারবার এই ভাঙা রেকর্ড বাজানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের মধ্যেও প্রতিবাদ হয়েছে, প্রতিরোধ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সরকারের অনেকেই খন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে, এটা যেমন সত্যি; আবার বর্তমান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক বঙ্গভবনে মোশতাকের মুখের ওপর বলেছিলেন, তুমি খুনি। তোমাকে আমরা রাষ্ট্রপতি মানি না। 

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু সেই বিক্ষোভকে সংগঠিত করার লোক ছিল না। নেতারা হয় আপসকামী, নয় পলাতক। তবুও ছাত্রলীগ-ছাত্র ইউনিয়ন অসম সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ সংগঠিত করেছে। মুজিব হত্যার বিচারের দাবি উচ্চকিত হয়েছে দেয়ালে। ’৭৫-এর ৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গেছে। এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে; কাঁদো বাঙালি কাঁদো স্লোগান কাঁপিয়েছে আকাশ, কাঁদিয়েছে বাংলার মানুষকে। 

নির্মলেন্দু গুণ তার কবিতায় সেই রাতের নির্মমতাকে ধারণ করেছেন। হাসান মতিউর রহমান লিখেছেন, যদি রাত পোহালেই শোনা যেতো, বঙ্গবন্ধু মরে নাই…। এসবই সামরিক সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ভাত খাবেন না, জুতা পরবেন না; এমন অনেক পাগল বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক এখনও বাংলাদেশে বেঁচে আছেন।

শেখ মুজিবের জন্য কাঁদার লোক ছিল না, এই অপপ্রচারের সবচেয়ে বড় জবাব প্রতিরোধ যোদ্ধারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কয়েক হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধু হত্যার সশস্ত্র প্রতিবাদ করেছিলেন। তারা পাশের দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়ে তখনকার সামরিক শাসকদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। ’৭৭ সালের জুলাই পর্যন্ত তারা এ লড়াই চালাতে পেরেছিলেন। ’৭৫-এর প্রতিরোধ যুদ্ধে অন্তত ২০০ জন শহীদ হয়েছেন। এরা কিন্তু স্রেফ বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে নিজের জীবনের মায়া না করে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। কিশোর বিশ্বজিৎ নন্দীর ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধীর অনুরোধে, আন্তর্জাতিক চাপে তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। স্মার্ট হাইব্রিডদের ভিড়ে সেই বিশ্বজিৎ নন্দী এখন টাঙ্গাইলে নিভৃত জীবনযাপন করেন। স্কুলশিক্ষক স্ত্রীর টাকায় চলে তার সংসার। শুধু বিশ্বজিৎ নন্দী নয়, আরও কয়েকশ’ প্রতিরোধ যোদ্ধা এখনও বেঁচে আছেন অবহেলায়, অনাদরে।

তবে এই প্রতিরোধ যোদ্ধারা আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন, এক বড় গ্লানি থেকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ হয়নি, তাঁর মৃত্যুতে কাঁদার লোক ছিল না; এসবই মিথ্যা, গোয়েবলসীয় অপপ্রচার। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে শুধু শারীরিকভাবে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি; তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকেই ইতিহাস থেকে মুছে দিতে, তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে। কর্নেল তাহেরের পরামর্শ মেনে বঙ্গোপসাগরে না ফেললেও খুনিরা বঙ্গবন্ধুর মরদেহ কবর দিয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার অজপাড়াগাঁয়। সেই টুঙ্গিপাড়া আজ বাংলাদেশের তীর্থ। অপপ্রচার আর বিভ্রান্তির মেঘ কেটে গেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ ইতিহাসের আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।

 

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
তুর্কি মিডফিল্ডারের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
তুর্কি মিডফিল্ডারের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ