বোকা লাটিম
একদিন ঈশ্বর খুঁজে নেবে
মানুষের নরম আঙুল
জং পড়া ঠিকানার নাম ধরে
লুকিয়ে পড়বো দেওয়ালের ভাঁজে।
তবুও মানুষ বেঁচে থাকবে
বুকে টুকরো টুকরো আগুন নিয়ে।
অন্ধকারে পথ বদলাতে থাকে
আলো এসে সে পথ
আমাকে তোমার মুখের নামতা
পাঠ করাতে থাকে।
বালক ভাবে বোকা লাটিম
ঘুরতে থাকে তার হাতের তালুতে,
লাটিম ভাবে বোকা বালক
তোর বয়স চুরি হয়ে যায়
বৃদ্ধ সময়ের কাছে।
মন খারাপের ভেজা উঠোনে
একদিন ঈশ্বর আর মানুষ
কানামাছি খেলায় মেতে উঠবে
সেদিন ঈশ্বরের কাছে মানুষের
এবং মানুষের কাছে ঈশ্বরের
প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে।
দীর্ঘ মুখোশ
গোপনে গোপনে
জমিয়ে রাখি রোদ
জানালা বন্ধ করে
বৃষ্টিতে ভিজি একলা খুব।
শিউলি ভোরের শুভ্রতা
দু’চোখে মেখে নিয়ে
ভুলে যাই গতজন্মের অভিমান।
ঠিকানার কাছে স্থির হয়ে
শুনি ব্যর্থ চিঠির বয়ান।
সেইসময়, সেইসব অন্ধকার
ফিরে আসে গোল হয়ে
পাথর হয়ে অচেনা
দীর্ঘ মুখোশ হয়ে।
এই শহরে শিখেছি মায়াময়
প্রাচীন জাদুর ডুবসাঁতার,
আকাশের নীল খুঁজে খুঁজে
কতবার মেপেছি
তোমার দীর্ঘ ব্যাসহীন দূরত্ব।
আমাদের হাঁটার পথ
ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে
তবুও তুমি পূর্বের মতো
আবারও চলে যেতে দিলে
দিনের শেষ ট্রেনটি।
নষ্ট নক্ষত্র সমান বয়স
এক জীবনে এর জন্মদিনটা
মাছির মতো গুন গুন করে কেঁদে ওঠে
আমাদের শহরে রাত নেমে আসে
অনেকটা বাসিমুখের দীর্ঘশ্বাস নিয়ে,
ভয়ের ঠিকানা পালিয়ে যায়
আকাশের সব নক্ষত্র চুরি করে
আমার যাওয়ার কোথাও নেই বলে
মানুষের কাছে গোল হয়ে বসে পড়ি
মিছিল সমান রাজপথ হয়ে।
ক্ষমা হয়তো কেউ করে
আঙুলের ফাঁকের সমস্ত দূরত্ব
দখল করে;
আমি তখন নষ্ট জীবন
নষ্ট সময়
নষ্ট নক্ষত্র
হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি একলা হয়ে।