X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনকে মোকাবিলায় জাপানে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মন্ত্রীরা

বিদেশ ডেস্ক
০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৫৯আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২০, ০২:৩৫

জাপানের রাজধানী টোকিওতে মঙ্গলবার থেকে দুই দিনের বৈঠকে বসছেন চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। দেশ চারটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। দৃশ্যত চীনকে মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যেই টোকিওতে মিলিত হয়েছেন তারা। অন্যভাবে বলা যায়, বেইজিংয়ের ডানা ছাঁটতে জাপানে মিলিত হয়েছে এশিয়ায় মার্কিন বলয়ের চার দেশ। চীনকে মোকাবিলায় জাপানে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মন্ত্রীরা

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন’ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে 'কোয়াড' নামে এক সংলাপের সূচনা হয়। মঙ্গলবার থেকে টোকিওতে শুরু হওয়া দুই দিনের সম্মেলন ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতা মাত্র।

১০ বছর হিমঘরে থাকার পর ‘কোয়াড সংলাপ' ২০১৭ সাল থেকে নতুন করে জীবন ফিরে পায়। তবে এবারের বৈঠক নিয়ে তাই বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আর এই আগ্রহের প্রধান কারণ, বৈঠকটি হচ্ছে সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে প্রায় চার মাস ধরে চলা বিপজ্জনক উত্তেজনার মধ্যে।

চীন তাদের প্রধান বৈরী এই চারটি দেশের মধ্যে এই বৈঠক নিয়ে যে একইসঙ্গে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। মঙ্গল ও বুধবার টোকিওতে কোয়াডের এই বৈঠক চলার সময় একইসঙ্গে তিন থেকে চারটি নৌ ও বিমান মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।

কোয়াডের চারটি সদস্য দেশের মধ্যে ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু চীনকে আটকাতেই যে এই জোটবদ্ধ উদ্যোগ, পরিষ্কার করে তা কখনও বলা হয়নি।

এমনকি এসব বৈঠক নিয়ে এই চারটি দেশের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে জনসমক্ষে যেসব ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বা যেসব নথিপত্র চালাচালি হয়েছে, তার কোথাও চীন শব্দটির উল্লেখ নেই। তবে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, টোকিও বৈঠকে তা বদলে যেতে পারে। কারণ, যে দেশটি এই প্ল্যাটফর্মকে প্রকাশ্যে ‘চীনবিরোধী‘ তকমা দিতে সবচেয়ে বেশি কুণ্ঠিত ছিল, সেই ভারত তাদের অবস্থান অনেকটাই বদলে ফেলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা র‌্যান্ড করপোরেশনের সাম্প্রতিক এক প্রকাশনায় এ বিষয়ে কথা বলেছেন সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যাস। তার মতে, পরিস্থিতি এখন অন্য রকম। কেননা, এই চারটি দেশের সবগুলোই এখন চীনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের প্রশ্নে একমত।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে কোয়াড প্ল্যাটফর্মকে একটি প্রতিরক্ষা জোটে রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল চীনকে নিয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার আড়ষ্টতা। চীনকে কতটা কোণঠাসা করা উচিত, তা নিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে দ্বিধা ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, তারা সবাই এ ইস্যুতে একমত।

ডেরেক গ্রসম্যাস বলেন, ‘বিশেষ করে আমার সব সময় মনে হয়েছে, কোয়াডে ভারত ছিল উইক লিঙ্ক। কিন্তু ভারত মনে হয় তার অবস্থান বদলে ফেলছে, এখন দৃশ্যত চারটি দেশই চীনের প্রশ্নে একমত।’

২০১৭ সালে ডোকলাম সীমান্তে বিরোধ এবং জুন মাস থেকে লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে দিল্লির চীনবিরোধী অবস্থান কট্টর রূপ নিয়েছে। ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কোয়াডের ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে বেশ উৎসাহী। চীনের সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য রাখা নিয়ে ভারতে যারা সব সময় সোচ্চার ছিলেন, তারাও তাদের অবস্থান শক্ত করছেন।

সামরিক শক্তিতে ভারতের নতুন আস্থা

দিল্লিতে জওহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদোয়াজ। তিনি মনে করেন, ভারতের বর্তমান সরকারের মধ্যে এখন এমন বিশ্বাস দিন দিন দৃঢ় হচ্ছে যে, কেবল সামরিক শক্তির ভয় দেখিয়েই চীনকে সামলানো সম্ভব। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘ভারতের বর্তমান সরকার মনে করছে, চীন ভারতের ভৌগোলিক সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলছে। তারা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের স্বার্থ-প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করছে। এ থেকে বেইজিংকে বিরত রাখতে হলে শক্তির ভয় দেখানো ছাড়া বিকল্প নেই।’

অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদোয়াজ বলেন, অন্য দেশের সঙ্গে কোনও সামরিক বা প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে ভারত এখন প্রস্তুত। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ভরদোয়াজ গত সপ্তাহে কোয়াড সম্পর্কে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টানেন।

বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় জেনারেল রাওয়াত বলেন, ‘ভারত মহাসাগর অঞ্চলে এবং আশপাশের অন্যান্য মহাসাগরে আতঙ্ক-উসকানি ছাড়া চলাফেরা, অন্য কোনও দেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ করতে কোয়াডের গুরুত্ব অনেক।’

তিনি বলেন, ‘সাগরে এবং আকাশে অবাধ গতিবিধি নিশ্চিত করতে ভারত উদগ্রীব।’ তবে ভারতের এই অবস্থান যে রাতারাতি বা গত জুন মাস থেকে তৈরি হয়েছে তা নয়।

গত দশকের মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার একটি বন্দরে চীনা সাবমেরিনের উপস্থিতি তাদের জন্য চরম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পাকিস্তানকে চীনের অব্যাহত সামরিক সাহায্য, পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরে চীনের নিয়ন্ত্রণ, কাশ্মিরের ভেতর দিয়ে তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের সড়ক নির্মাণে চীনের পরিকল্পনা—এসব নিয়ে ভারতে উদ্বেগের পারদ বাড়ছে।

অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন যে ২০১৪ সাল থেকে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে যে অনাস্থা-অবিশ্বাস বাড়ছে, তাতেই ১০ বছর পর আমেরিকার পক্ষে কোয়াডের পুনর্জন্ম নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

এশিয়ান ন্যাটো

কোয়াড কি তাহলে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে চীনবিরোধী একটি সামরিক জোটের রূপ নিতে যাচ্ছে? বেশ কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওয়াশিংটন চীনকে কোণঠাসা করতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রদের নিয়ে একটি সামরিক জোট গড়তে আগ্রহী।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ইউরোপের সামরিক জোট ন্যাটো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কমেছে। তবে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব-প্রতিপত্তির জবাব দিতে এশিয়ায় ন্যাটো ধাঁচের একটি জোট গঠনে ওয়াশিংটন উদগ্রীব হয়ে পড়েছে।

অধ্যাপক ডেরেক গ্রসম্যান মনে করেন, মূলত ভারতের অবস্থানের মৌলিক পরিবর্তনে সে সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। তবে শুধু ভারত নয়, কোভিড মহামারি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক তদন্তের এক প্রস্তাব দেওয়ার পর তাদের সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার গরুর মাংস এবং বার্লির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। অস্ট্রেলিয়ান মদ এবং আরও পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের কথাও বিবেচনা করছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র কোয়াডের বাকি দেশগুলোকে গুয়ামে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে যৌথ একটি বিমান মহড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া, আন্দামানের কাছে গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ভারতের যে নৌ-মহড়া হচ্ছে, তাতে সামনের বছর অস্ট্রেলিয়াও যোগ দেবে।

ভারতের সরকার চাইলেও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এ ধরণের সামরিক জোটের অংশ হওয়ার পরিণতি নিয়ে এখনও দেশটির অনেকের ভেতরেই গভীর উদ্বেগ রয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক ভরদোয়াজ।

তিনি বলেন, সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে চীনের মোকাবিলা করা নিয়ে ভারতে বিতর্ক শেষ হয়নি। কৌশলগত এবং বৈদেশিক নীতির যে স্বাধীনতা এখন ভারতের রয়েছে, তা ক্ষুণ্ণ হবে বলে অনেকে ভয় পাচ্ছেন।

অধ্যাপক ভরদোয়াজ বলেন, ভারত আমেরিকার তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে পড়ে কি-না, তা নিয়ে অনেকে সন্দিহান। অর্থনীতির উন্নয়ন হুমকিতে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রবল

চীন কী ভাবছে

চীন ২০০৭ সাল থেকে এই চারটি দেশের মধ্যে দহরম-মহরমকে গভীর সন্দেহের চোখে দেখছে। ওই বছরের মার্চে ম্যানিলায় আসিয়ান জোটের বৈঠকের সময় এই চারটি দেশ প্রথম যখন একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়‌, সঙ্গে সঙ্গেই ওই দেশগুলোর কাছে প্রতিবাদ জানায় চীন। কী নিয়ে কথা হবে, তাও জানতে চায় তারা।

টোকিওর বৈঠক নিয়ে দু'দিন আগে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনও একটি দেশকে টার্গেট করে কোনও জোট তৈরি একেবারেই কাম্য নয়।

চীনা সরকারের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, অন্য একটি দেশকে টার্গেট করে, তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না করে, আঞ্চলিক দেশগুলোর বরঞ্চ উচিৎ নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস, বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা করা।

কুয়ালালামপুরে মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব চায়নার অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বিবিসি-কে বলেন, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে চীনারা জানে যে অদূর ভবিষ্যতে তাদেরকে হয়ত ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সংঘাতের মোকাবেলা করতে হবে।

১৯৯৩ সালেই যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে চিহ্নিত করেছে চীন। এখন বৈরি দেশের তালিকায় যোগ হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।

সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরের মত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের পুরনো মিত্রদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এই দেশগুলো এই বিরোধে জড়াতে অনিচ্ছুক। তাদের মনোভাব অনেকটা এমন যে, তাদের অঞ্চলে বৃহৎ শক্তিদের লড়াই তারা অতীতে দেখেছে, তার পরিণতিও তারা দেখেছে। দোরগোড়ায় আর তেমন কোনও সংঘাত তারা চায় না, যাতে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হুমকিতে পড়ে।

এমনকি গত বছর সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি মন্তব্য করেন যে, ভারত মহাসাগরে উত্তেজনার জন্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই সমানভাবে দায়ী। মিত্র একটি দেশের কাছ থেকে এই বিবৃতি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অস্বস্তিকর ছিল।

ড. আলী বলেন, চীনারা জানে চাপ আসছে। তাদের ভেতর মনোভাব অনেকটা এমন যে 'আমরা সংঘাত শুরু করবো না, কিন্তু যদি কোনও সংঘাত চাপিয়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য আমরা প্রস্তুত।' চীন এখন অপেক্ষা করবে, প্রতিপক্ষ কী করে তার জন্য।

তিনি বলেন, চীন যেটা বলার চেষ্টা করছে তা হলো ঐতিহাসিকভাবে যেসব জায়গা বা অঞ্চলের ওপর তাদের দাবি রয়েছে, সেটা তারা ছেড়ে দেবে না।

সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, তারা কতগুলো রেড লাইন টেনে রেখেছে, যেমন তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর। আমেরিকানদেরও তারা পরিষ্কার বলেছে যে, এই রেড লাইন অতিক্রম করা হলে তারা বরদাস্ত করবে না। সেই সংকল্প জানান দিতেই চীন গত ছয় মাসে দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীতে কমপক্ষে ৩০টি সামরিক মহড়া চালিয়েছে।

ড. আলী মনে করেন, দুই পক্ষ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলেও সত্যিকারের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আগে ১০ বার ভাববে। একটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার - চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-পাকিস্তান, এরা সবাই পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশ। ১৯৪৫ সালের পর পৃথিবী পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার দেখেনি। কোনও যুদ্ধ বাধলে হঠাৎ কেউ সেই অস্ত্র ব্যবহার করবে কি-না, করলে তার পরিণতি কী হবে, কে সেই যুদ্ধ থামাবে - তা নিয়ে সবার মধ্যেই গভীর শঙ্কা রয়েছে। ফলে যুদ্ধ করতে কেউই হয়তো সাহস পাবে না।

সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, এসব দলাদলির ভেতর দিয়ে দেশগুলো এক ধরনের ডেটারেন্স তৈরি করতে চাইছে যাতে শত্রুপক্ষ তাকে ঘাঁটানোর সাহস না পায়। একে অন্যের জন্য রেডলাইন টেনে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

/এমপি/
সম্পর্কিত
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের দাবিব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!