X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশীয় ক্রেতাদের সন্তুষ্ট রেখেই বিশ্ববাজারে জায়গা করতে চায় সারা

সূবর্ণ আসসাইফ
১৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:১৬আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:২৪

দেশীয় পোশাকশিল্পে আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ড  ‘সারা’। পোশাকশিল্পে রফতানিমুখী ব্র্যান্ড ‘স্নোটেক্স’-এর সিস্টার কনসার্ন ‘সারা লাইফ স্টাইল লিমিটেড’। ২০১৮ সালের ১২ মে যাত্রা শুরু করে স্বল্প সময়েই দেশের পোশাকশিল্পে নির্ভরযোগ্য নাম ‘সারা’। নান্দনিক ও স্বল্পমূল্যে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য প্রতিষ্ঠানটিকে পৌঁছে দিয়েছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। প্রতিষ্ঠানটির পথচলা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা বলেছেন পরিচালক শরীফুন্নেছা রেবা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করেছেন তিনি।  সাংবাদিকতা করেছেনও। পরবর্তীতে যুক্ত হন স্বামী স্নোটেক্সের প্রতিষ্ঠাতা এস.এম খালেদের ব্যবসায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সূবর্ণ আসসাইফ। দেশীয় ক্রেতাদের সন্তুষ্ট রেখেই বিশ্ববাজারে জায়গা করতে চায় সারা

বাংলা ট্রিবিউন: স্নোটেক্স দেশের প্রথম সারির ও প্রতিষ্ঠিত একটি ব্র্যান্ড । তারপরও স্নোটেক্স থেকে কেন সারা লাইফ স্টাইল লিমিটেডের যাত্রা?

শরীফুন্নেছা রেবা: স্নোটেক্সের প্রোডাক্টগুলো আমরা দেশের বাইরের জন্যই তৈরি করি। আমরা যখন বাইরের দেশগুলোতে ঘুরতে যাই, ওখানকার মলগুলোতে যাই, দেখি আমাদেরই তৈরি জিনিস-মেড ইন বাংলাদেশ। সেগুলোর দামও অনেক বেশি। কিন্ত আমাদের দেশের সবাই তো দেশের বাইরে যায় না। আবার যারা যায়, সবাই এত দাম দিয়ে সবাই কিনতে পারে না। সেই জায়গা থেকেই আমরা এই চিন্তাটি করি। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই যেহেতু মধ্যবিত্ত, মূল্য কম রাখলে সবাই কিনতে পারবে। যেগুলো এক্সপোর্ট করি সেগুলোর দাম অনেক বেশি হয়ে যায়, এই প্রোডাক্টগুলো যাতে মানুষের নাগালে থাকে। আবারা মানুষ যাতে বলতে না পারে ওয়ান টাইম জিনিস। এককথায় কম দামে ভালো জিনিস। এভাবেই স্নোটেক্স থেকে সারার যাত্রা।

বাংলা ট্রিবিউন: বর্তমানে পোষাকশিল্পের বাজারে সারা একটি নির্ভরযোগ্য নাম। এতো অল্প সময়ে এই অবস্থানে পৌঁছানো কিভাবে সম্ভব হলো?

শরীফুন্নেছা রেবা: সারা স্নোটেক্সের তুলনায় একেবারেই বাচ্চা। মাত্র ২ বছর। স্নোটেক্সের হাত ধরেই সারার যাত্রা শুরু। স্নোটেক্স ১৯৯৮ সালে বায়িং হাউজ হিসেবে যখন যাত্রা শুরু করে। সে সময় আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করতেন তাদের প্রায় তিন-চারশ জন ২০-২২ বছর ধরে এখনও আছেন। তাদের অভিজ্ঞতাটাই আমরা কাজে লাগিয়েছি। এছাড়া সারা’র যাত্রা যেহেতু স্নোটেক্সে থেকে, স্নোটেক্সের অভিজ্ঞতাটাই আমরা কাজে লাগিয়েছি। এর বাইরেও আমাদের কিছু আইডিওলজি ছিল। আমাদের টার্গেটই হচ্ছে ভালো জিনিস একটু কম মূল্যে দেবো। অনেকেই বলেন, এত কম মূল্যে কিভাবে দিচ্ছি? কিন্তু আমরা তো জানি কম খরচে একটা ভালো জিনিস কিভাবে বানানো যায়। আমরা তো এটা নিয়েই আগে থেকে কাজ করে আসছি। মানুষ একটা ভালো জিনিসের পাশাপাশি দামের দিকটাও বিবেচনা করে। আমাদের কথা সবাই যেনো কিনতে পারে, অল্প প্রাইস কিন্তু ভালো জিনিস। আমার ধারণা অল্প সময়ে সারার অবস্থান করে নেওয়ার এটাই প্রধান কারণ। মানুষ প্রশাংসা করছে, কিনতে চাচ্ছে।

বাংলা ট্রিবিউন: সারার শুরুর গল্পটা শুনতে চাই

শরীফুন্নেছা রেবা: ২০১৮ সালে সারা লঞ্চ করা হয়। তার আগে ২০১৫ সাল থেকেই আমরা চিন্তা করে আসছিলাম, কিভাবে করবো। যেহেতু স্নোটেক্সের সিস্টার কনসার্ন সেই স্ট্যান্ডার্ডটাও ধরে রাখতে হবে। সবকিছু ভেবে, গবেষণা করে, গুছাতে কিছু সময় লেগেছে। তারপর ২০১৮ সালের ১২ মে মিরপুরে আমাদের প্রথম স্টোর শুরু করি। তারপর বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, বারিধারাতে স্টোর হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন: ঢাকার বাইরে কবে যাত্রা শুরু করবে?

শরীফুন্নেছা রেবা: ঢাকার বাইরে এখনই আমরা যেতে চাই না। ঢাকার ভেতরে আরও কিছু স্টোর করে তারপর ঢাকার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছুই তো আটকে গেছে। ঢাকাতে এ বছর আমাদের আরও ৭টি স্টোর নেওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে সম্ভব হয়নি। স্বপ্ন’র সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। স্বপ্ন’র রংপুর, বগুড়া, সিলেট, রাজশাহীসহ ঢাকার বাইরের শপগুলোতে সারা'র জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে।

বাংলা ট্রিবিউন: শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কি ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে?

শরীফুন্নেছা রেবা: চ্যালেঞ্জ বলতে আমাদের রিটেইল ব্র্যান্ডটা একেবারেই নতুন। তবে যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল, সেটা কাজে লেগেছে। অনেক প্লানিং-এর বিষয় ছিলে, এটা আসলেই করবো কি না, কিভাবে করবো, এমন কিছু বিষয়। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো কিভাবে কাজ করছে সেটা অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে। আমাদের যে টিম বা সারা পরিবার সবাই এগুলো নিয়ে কাজ করছিলাম। খুব অল্প সময়েই সবাই সবার কাজটা বুঝে নিয়েছেন। স্নোটেক্সে সিনিয়র যারা ছিলেন তারাও যথেষ্ট হেল্প করেছেন। খুঁটিনাটি কিছু বিষয় ইন্টেরিয়র ডেকোরেটিং বলেন কিংবা কাপড় কিভাবে ভাজ করে রাখবো, এমন অনেক কিছুই প্ল্যানের বিষয় ছিল। ঠিক চ্যালেঞ্জ না, ভয় ভয় কাজ করেছিল। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যারা ছিলেন তারা অল্প সময়েই কাজটা ধরে ফেলছেন। যেমন প্রথম দিকের তুলনায় ডিজাইনেও এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। এক দিনে তো কিছু হয় না, স্নোটেক্সের এতো বছর লেগে গেলো আজকের অবস্থানে আসতে। আসলে শেখার তো শেষ নেই, আমরাও শিখছি। চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত কিভাবে পণ্যটি মানুষের জন্য সহজলভ্য করা যায়।

বাংলা ট্রিবিউন: বিশ্ববাজারে সারাকে প্রতিষ্ঠিত করতে কোনও পরিকল্পনা আছে?

শরীফুন্নেছা রেবা: অবশ্যই। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা কি? তাহলে বলবো স্নোটেক্স যেমন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, সারাকেও সে অবস্থানে দেখতে চাই। তবে এখনই না,  আরও ৫-১০ বছর পর। দেশের বাইরে গেলে, বিশ্বের বড়-বড় মলগুলোতে সারার প্রোডাক্ট, স্টোর দেখতে চাই। স্বপ্ন দেখতে তো আর মানা নেই। স্নোটেক্সও সারার মতো এক সময় ছোটো ছিল। স্নোটেক্স যদি আন্তর্জাতিকভাবে জায়গা করে নিতে পারে, তাহলে সারাও পারবে।

সারা বাংলা ট্রিবিউন: আপনি সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী। সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। এখন সম্পূর্ণ ভিন্নক্ষেত্রে আছেন। কোন জায়গাটা এখন বেশি উপভোগ্য মনে করেন, সাংবাদিকতা না ব্যবসা?

শরীফুন্নেছা রেবা: যদি মানুষের সিস্টেমে গোন্ডগোল হয়ে যায় তাহলে আগের পথে ফেরা কঠিন। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখনই কন্ট্রিবিউটিং করতাম। কিছু টাকা পেতাম, স্টুডেন্ট হিসেবে তখন সেটা অনেক টাকা মনে হতো। একটা আত্মতৃপ্তি হতো আয় করছি। সেটা খুব মজার ছিল। আয়ও করছি আবার শিখছিও। এরপর সাংবাদিকতায় ঢুকি। এই সময়টাতে অনেক কিছু শিখেছি যা এখন কাজে লাগছে। কনসেপ্টের পর আমি জব ছেড়ে দিই। এরপর বাচ্চা বড় হলো স্কুলে গেলো। তারপর ছেলে হলো, এভাবে একটা গ্যাপ তৈরি হয়ে গেলো। পরিকল্পনা ছিল সাংবাদিকতায় ফেরত যাওয়ার। কিন্তু এই গ্যাপ তৈরি হওয়ার পর সাংবাদিকতায় ফিরে মানিয়ে নিতে পারবো কিনা ভয় ছিল। কিন্তু বসে তো থাকা যায় না, তারপর সারার সঙ্গে যুক্ত হলাম। তবে সাংবাদিকতার সময়টা মিস করি। আমার কলিগরা এখনও সাংবাদিকতায় আছে। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই আমার সাছন্দ্যবোধ হতো, সময়টা খুব মজার ছিল। তবে এখন ব্যবসাটাও উপভোগ করছি। ব্যবসায়ে শতভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি।

বাংলা ট্রিবিউন: তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা এখব বাড়ছে, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?

শরীফুন্নেছা রেবা: করোনার মধ্যেও অনেকে অনলাইনে ব্যবসা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে। এগুলো খুবই ভালো। আমি এমন অনেক মহিলাকে চিনি যাদের দেখে মনে হতো তারা কিছুই করতে পারবে না। পুরোদমে গৃহিনী, কিন্তু তারাও এখন অনেক ভালো ব্যবসা করছে। আমার পরামর্শ কোনও কাজকে, ব্যবসাকেই ছোটো মনে করা যাবে না। ছোটো থেকেই তো মানুষ বড় হয়। আমি এই কাজটা করবো না, এটা ছোট কাজ, এমন মনে করা যাবে না। শুরুতেই টার্গেট অনেক বড় রাখতে হবে এমন না। ছোট কাজ থেকে শুরু করে কাজের প্রতি যদি মনোনিবেশ থাকে, সৎ থাকা যায় , আমি এটা করবোই মানসিকতা থাকলে সফলতা আসবেই।

বাংলা ট্রিবিউন: একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মজীবী নারীদের কর্মক্ষেত্রে কেমন পরিবেশ পাওয়া উচিত বলে মনে করেন?

শরীফুন্নেছা রেবা: কর্মক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে সবার জন্যই অনুকূল পরিবেশ দরকার। আমি যখন জব করতাম তখন ভালো পরিবেশ পেয়েছি। আমাদের এখানে যারা কাজ করছে তারা তো অন্যদের সঙ্গে দুপুরের খাবার পাচ্ছে। পাশাপাশি গর্ভবতীদের জন্য স্পেশাল কেয়ারের ব্যবস্থা করি, সবার জন্য ন্যাপকিন সরবরাহ করি। বাচ্চাদের জন্য চাইল্ড কেয়ার আছে, ৩ মাসের বাচ্চারও খাবারের ব্যবস্থা করছি। এখন অনেক অফিসেই এ ধরণের ব্যবস্থা থাকছে। শুনেছি আপনাদের অফিসেও বাচ্চারা মায়ের সঙ্গে অফিসে থাকে। আমি মনে করি আমাদের মতো বা অন্য যারা এ ধরণের সুবিধা দিচ্ছে, সকল কর্মক্ষেত্রেই এই সুযোগ-সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে কর্মজীবী মহিলাদের কাজ করা সহজ হবে। তখন তারা নিশ্চিন্ত মনে কাজ করতে পারবে। কাজের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

বাংলা ট্রিবিউন: সারা লাইফ স্টাইল নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা কি?

শরীফুন্নেছা রেবা: সারা লাইফস্টাইল নিয়ে প্রত্যাশা হচ্ছে, আগামীতেও ক্রেতাদের সন্তুষ্টি ধরে রাখা। এখন যেমন ক্রেতারা আমাদের প্রোডাক্ট নিয়ে তৃপ্তি প্রকাশ করছেন। ক্রেতাদের খুশিটা ধরে রাখতেই পরিশ্রম করে যাচ্ছি। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কিছু বছর পর দাম বাড়িয়ে দেবো কি? কিন্তু আমাদের যেন এটা না করতে হয়, আমাদের ক্রেতারা এখন যেমন প্রশাংসা করেন, সবসময় এই প্রশাংসাটা পেতে চাই। ক্রেতারা যাতে সবসময় বলতে পারেন, সারা লাইফস্টাইল ভালো ব্র্যান্ড, ভালো প্রোডাক্ট কম দামে পাচ্ছি। তাহলে আমরা অনেক দূর যেতে পারবো। বিশ্ববাজারেও জায়াগা করে নিতে পারবো। আগে ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে হবে তাহলেই সামনে এগোতে পারবো। 

/আরআইজে/এফএএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ