X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

মায়া তো মায়াই, যত দূরে যায়...

সালেহা চৌধুরী
২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০১আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০১
নব্বই দশকের অগ্রগণ্য কবি মুস্তাফিজ শফির আজ ৫০ তম জন্মদিন। তিনি ১৯৭১ সালের ২০ জানুয়ারি সিলেটের বিয়ানীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—পড় তোমার প্রেমিকার নামে; দহনের রাত; মধ্যবিত্ত কবিতাগুচ্ছ; কবির বিষণ্ণ বান্ধবীরা; মায়া মেঘ নির্জনতা; ব্যক্তিগত রোদ এবং অন্যান্য।

মনে আছে একবার শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে বলেছিলাম—আপনার ‘উজান’ তো পুরোটাই কবিতা। তিনি বলেছিলেন—না, আমি কবিতা লিখতে পারি না। পরে কলকাতার এক কবিতার ক্যাসেটে দেখি ‘উজানে’র কিছু অংশ কবিতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। মুস্তাফিজ শফির বেলায় ঘটনা অন্যরকম। তিনি গদ্য ভঙ্গিমায় কবিতা বলে যা লিখেছেন তা একেবারে নিটোল নিখুঁত কবিতা। দেখতে গদ্যের মতো কিন্তু টসটসে কবিতার রসে টইটম্বুর। যা বারবার পড়তে ভালো লাগে। সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফিকে চিনতাম। কিন্তু এখন জানছি সাহিত্যিক মুস্তাফিজ শফিকে। কবিতার চেহারা আর গদ্যের চেহারার ভেতরে যে দেয়াল তা তিনি ভেঙে দিয়েছেন। আটত্রিশটি কবিতা আছে ‘দহনের রাত’ কাব্যগ্রন্থে। সবকটা গদ্যের মতো করে লেখা। প্রথম কবিতা চন্দ্রগ্রস্ত, সেখান থেকে একটু তুলে দিলাম—‘আজ তবে দহনের রাত। ধবল জ্যোৎস্নায় গাছের ছায়ায় বাতাসেরা খেলা করে। আর কানে বাজে মায়াহরিণীর অস্ফুট পদধ্বনি, বনমোরগের আর্তনাদ। শৈশবের সেই বেহালাবাদকের কথা মনে করতে করতে এখন টের পাই প্রকৃতির ভায়োলিন। আকাশের নীল ধরবে বলে দিগন্তরেখা বরাবর ছুটত সে। এভাবেই তবে শূন্যতার কাছাকাছি যাওয়া যায়। এভাবেই পুড়ে খাক হয় বধির স্তব্ধতা।’

মনে আছে দিগন্ত ধরব বলে আমার মাঠের ভেতর দিয়ে ছুটে চলা। বোকা ছেলেবেলা। বড় ভাই বলেছিলেন—রুনু এ কথা মনে রাখিস, দিগন্তকে কখনো ধরা যায় না। ও তো চিরকাল ছাব্বিশ মাইল দূর। ভাবতাম দিগন্তের ওপারেই আছে রূপকথার সব রাজারানির বাড়ি। মুস্তাফিজ শফির কবিতায় সেই গভীর আর্তি কিছু একটা ধরতে হবে, কিছু একটা ছুঁতে হবে। কোথায় আছে সেই সীমারেখা? মায়া মেঘ নির্জনতাতেও একই গদ্যভঙ্গি। এখানে উপমা, উৎপ্রেক্ষা, জাদুবাস্তবতার অপূর্ব সমাহার। পড়ো তোমার প্রেমিকার নাম দিয়ে শুরু—তারপর এসেছে দহনের রাত, মধ্যবিত্ত কবিতাগুচ্ছ, কবির বিষণ্ন বান্ধবীরা, মায়া মেঘ নির্জনতা, ব্যক্তিগত রোদ—এসব কবিতাগ্রন্থ। নামেই পরিচয়। কবিতার মতো দেখতে যেসব কবিতা সেগুলোও আছে সার্থকভাবে। আমি কি বলব, তিনি মূলত কবি? তাঁকে প্রশ্ন করে একদিন উত্তর জেনে নেব।

ব্যক্তিগত রোদ এবং অন্যান্য কবিতা বইয়ের কয়েক পঙক্তি—

১. ওপারে পুড়ছো তুমি এপারে আমার ঘর

        মাঝখানে অন্ধকার, শব্দহীন নিভৃত বালুচর।

২. দৃশ্যে অদৃশ্যে থাকো তুমি আত্মার চিৎকারে

        করুণার বালুচরে খুঁজে নিও আহত পাখিটারে।

৩. বল কত আর দুঃখ পুষে রাখি

        লোকে যাকে দুঃখ বলে, আমি বলি পাখি।

ব্যক্তিগত রোদের কয়েক পঙক্তি। পুরো বইটাই আমি দিতে চেয়েছিলাম। কী সব সুন্দর কবিতা! মনে আছে একদিন গোলাম সারওয়ারকে বলেছিলাম—সারওয়ার, একদিন শীতের দুপুরে, রোদের ভেতরে, তোমার বাড়ির ব্যালকনিতে এক কাপ চা পান করতে ইচ্ছে হয়। অবশ্যই! উত্তর দিয়েছিল ও। কিন্তু সেই ব্যক্তিগত ভালো লাগার ব্যালকনিতে রোদের ভেতর বসা হয়নি। জীবনে তো কত কিছুই হয় না। আর তাই তো দলছুট শব্দেরা কবিতায় সে খেদ লিখে রাখে। কবি তাই প্রশ্ন করেন—‘তুমি কি নীল ঘাসফুল, মৌন তৃণ/হিমালয় থেকে নেমে আসা রহস্য নদী/নক্ষত্রের শেষে মাঠের শরীরে, শস্যের চিহ্নরেখা/তুমি কী/,আসলেই বলো তুমি কী/হিংস্র সময়ের ভিড়ে তুমি কি তবে আশা/নদী নয় নক্ষত্র নয়, একঝাঁক রহস্য আধার।’ সেই প্রশ্ন তুমি বলো তুমি কে? কেন তুমি স্বপ্নে আসো কেন কাঁদাও, কেন তোমাকে ধরতে চাই আমি? সেই একই প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথের—হে জীবন দেবতা তুমি বলো তুমি কে? কবির প্রশ্ন কি কোনো উত্তর পায়? পায় না।’ তারপর কবি একসময় সমঝোতায় আসেন।

কবির ‘বিষণ্ন বান্ধবীরা’র পাঁচ নম্বর কবিতায় যেন বুঝে ফেলা আসলে তুমি কে? তারপর কত রহস্য—‘শালিকের ডানায় তুমি/বেঁধেছো শাড়ির আঁচল/আমি শুধু বরুণের ডালে/দুপুরের চঞ্চল রোদ।’ আহা, কবি নিজেই তখন রোদ হয়ে এক প্রকার সমঝোতা করেন। এই পাওয়া-না পাওয়ায় মৌন-মুখর কবিতা মুস্তাফিজ শফির। আবার দহনের রাতে কবি বলেন—‘পূর্বজন্মে তুমি নদী ছিলে আর আমি তরঙ্গে ভাসা/ কচুরিপানা/হাজার বেদিনীর দাঁতে ঝিলিক দেওয়া/হাসিতে রাতের নির্জনতা ভেঙে এখনও তুমি দুলে দুলে/ওঠো, আর আমি হাবুডুবু খেতে খেতে/ভালোবাসার নামে পাঠ করি কোন এক আশ্চর্য আখ্যান।’ সেই পাঠ রূপ পায় কবিতায়।

‘কবির বিষণ্ন’ বান্ধবীরা, মায়া মেঘ নির্জনতা, বিরহসমগ্র, পড় তোমার প্রেমিকার নামে, ব্যক্তিগত রোদ এবং অন্যান্য, মধ্যবিত্ত কবিতাগুচ্ছ, দহনের রাত—সবকটাই এমনি মনোহর হৃদয় জাগানিয়া কবিতায় সমৃদ্ধ। সবকটাই সুখপাঠ্য হৃদয়ে কোথায় যেন ব্যথা জাগায়। পাতায় লেগে থাকা এক ফোঁটা শিশিরের মতো আবার জানান দেয়, আমি আছি। সহৃদয় হৃদয় সংবাদী হয়ে পত্রছত্রে কাঁপন তোলে। কেমন এক কান্নার মতো আনন্দ মেঘের মতো ছেয়ে ফেলে পাঠককে।

যদি আমি এখানে থামি তা হলে কবিতা নিয়ে একটু আলোচনা হয় বটে তবে তাঁর পুরো সাহিত্য নিয়ে নয়। আমি আর কিছু বলার আগে এবার বলতে চাই তাঁর সেই বিশেষ বইয়ের কথা, যার নাম ‘নির্বাচিত অনুসন্ধান’। বিবিধ সিরিজ প্রতিবেদন। মাদক, হাসপাতালের অপরাধী চক্র, ময়নাতদন্ত, রক্ত ব্যবসা, এইডস পরিস্থিতি, অ্যাসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, টানবাজার ট্র্যাজেডি ইত্যাদি বিষয়ে নিবিড় অনুসন্ধান। প্রতিটি বিভাজনে অনেকগুলো পর্ব। জানতে পেরেছি, তাঁরই কলমের জোরে অ্যাসিডদগ্ধ মেয়েরা প্রথমবারের মতো বিদেশে যেতে পেরেছিল চিকিৎসা করাতে। সাংবাদিকতার শ্রেষ্ঠ ফসল এই গ্রন্থ। তাঁর পুরস্কারপ্রাপ্ত নানা সব প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহায়ক পাঠ্য। আমি মোটেই অবাক হইনি। তাঁর সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান ‘রূপকথা’ পেয়েছে জাতিসংঘের ‘গোল্ড সিল্ড অ্যাওয়ার্ড’। যে অ্যাসিডসন্ত্রাস নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো জনমত সৃষ্টি করেছিল, তারই অন্যতম রূপকার তিনি। বাংলাদেশের অ্যাসিড নিক্ষেপের ওপর প্রথম সিরিজ প্রতিবেদন করেন মুস্তাফিজ শফি। তখন তিনি কাজ করতেন আজকের কাগজে। এ কারণে তিনি পান—ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পুরস্কার। আর যেসব নারী এই জ্বালা মুক্তি পেতে দেশে-বিদেশে চিকিৎসা পেয়েছেন তাদের প্রাণভরা দোয়া। এর পর যখন প্রথম আলোতে কাজ করতে আসেন, লিখতে শুরু করেন হাসপাতালের অপরাধী চক্র। এই সিরিজটি লেখার ফলে আর একটি পুরস্কার পান তিনি। সেই পুরস্কারটির নাম ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ (টিআইবি) অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার। ২০০৩ সালে তাঁর কলম আবার পুরো দেশকে বিশেষ প্রবন্ধে জাগিয়ে তোলে। ওই বছর এপ্রিল মাসে তিনি লেখেন ‘মরণ নেশা মাদক’ নামের বিশেষ সিরিজ প্রতিবেদন। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয় প্রথম আলোর মাদকবিরোধী কর্মসূচি। ‘নির্বাচিত অনুসন্ধান’ বইটির একটি মূল্যবান ভূমিকা লেখেন আবেদ খান। প্রবন্ধের প্রথমে তিনি লেখেন—মরণ নেশা মাদকের পেছনে বছরে ব্যয় হয় কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। আসক্তের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে গেছে সমস্যা। বইটিতে আটটি পর্ব আছে। আবার পর্বের ভেতরে আরও পর্ব। যেমন মরণ নেশা মাদক—পাঁচ পর্ব। হাসপাতালের অপরাধী চক্র—সাত পর্ব। ময়নাতদন্ত—পাঁচ পর্ব, রক্ত ব্যবসা—চার পর্ব, এইডস পরিস্থিতি—পাঁচ পর্ব, অ্যাসিড নিক্ষেপ—পাঁচ পর্ব, ধর্ষণ—চার পর্ব এবং টানবাজার ট্র্যাজেডিতে আছে চার পর্ব। আমি এখন ভাবছি এই বইটির কি ইংরেজি ভার্সন হয়েছে এবং বইটি কি দেশে-বিদেশে গেছে? আশা করি, পৃথিবীর সকলেই এই বইটি হাতে পাবে।

কয়েকটি উপন্যাসের ভেতর ‘ঈশ্বরের সন্তানেরা’ আমার খুব মনে পড়ছে। সেখানে আছে আর এক সমস্যা। বৈধ আর অবৈধ সন্তানের কথা। ২০১৭ সালে ‘ঈশ্বরের সন্তানেরা’ গ্রন্থটিতে এমন একটি ব্যাপার—সোমা নামের এক নারী ভাবছে—‘এ কোনো পাপের ফসল নয়, ভালোবাসার পরিণতি।’ অবিবাহিত সোমা সিদ্ধান্ত নেয়—গর্ভের সন্তানটিকে রেখেই দেবে। তাকে সে পৃথিবীর আলো দেখাবে। এ ক্ষেত্রে হার মানবে না। নিজেকে শুনিয়ে বলে সোমা—‘তুমি বাঁচবে, অবশ্যই বাঁচবে। তোমার ভেতরে বেড়ে ওঠা প্রাণটিও বাঁচবে।’ সোমার সংগ্রাম নিয়ে আর একটি ভাবনার বিষয়। আমরা কি পশ্চিমের দাবিতে একটি শিশুকে পৃথিবীতে আসতে দেবো? না মায়ের বিয়ে হয়নি বলে তাকে শিকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলব? মুস্তাফিজ শফি এসব নিয়েও ভাবেন। তারই কলমে লেখা হয় একজন সাহসী নারীর সংগ্রাম।

জানা যায় তিনি যখন ‘প্রথম আলোর’ জন্য পোস্টমর্টেম নিয়ে তাঁর আলোচিত সিরিজটি লেখেন তখনই মাথায় আসে ‘জিন্দা লাশ অথবা রমেশ ডোম’ উপন্যাসের প্লট। প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে তিনি পোস্টমর্টেম পরীক্ষার কথা জানতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে একই নামের দুই ডোম রমেশের কাছে যা শুনেছিলেন, সেসব নিয়েই ‘জিন্দা লাশ অথবা রমেশ ডোম’ নামের এই উপন্যাস। এখানে কল্পনা আছে। সে কল্পনা বাস্তবের। সে যাই হোক রমেশ ডোম ওর নিজের ভাষায় বলেছিল— ‘লাছের বুকে ছুরি চালাইতে চালাইতে আমরা হালায় তো জিন্দা লাছ হইয়্যা গেছি। এই মর্গই আমাগো ঘর, আমাগো ছংছার।’ এই ঘর-সংসারের গল্প পাঠক নিজে পড়ে নেবেন। বইটি বাজারে আছে। আমার এসব আলোচনা কি বলে না মুস্তাফিজ শফি কবিতায় একজন আর ছোটগল্প, প্রবন্ধ আর উপন্যাসে অনবদ্য আর একজন। যখন তিনি পত্রিকা সম্পাদনা করেন তখন? উপরোক্ত এই দুই গুণাবলিতে চমৎকার। বেশ একটু ভালো লাগা মিষ্টি স্বভাব তাঁর।

কবিতার কথা বললাম। প্রবন্ধের কথা জানালাম। উপন্যাস-গল্পের একটুখানি স্বাদ দিলাম। এখন বাকি থাকল কী? বাকি শিশুসাহিত্য। তিনি শিশুসাহিত্যে বলে দেন কোন বয়সের ছেলেমেয়েরা এগুলো পড়বে। তাঁর শিশু-কিশোর বইগুলোর নাম—ভূতের সঙ্গে পদ্য, মাথাকাটা ভূত বাহিনী, মায়াবী সেই ভূতকন্যা, ভূত কল্যাণ সমিতি ইত্যাদি। আমি বইগুলো পড়িনি। তাই বলতে পারলাম না কেমন। তবে এ কথা বলতে পারি, ভূত নিয়ে লেখা বইগুলো শিশু-কিশোররা পাঠ করে আনন্দ পাবে। প্রশ্ন, ভূত ছাড়া তিনি কি অন্য বিষয় নিয়ে লিখছেন বা লিখবেন? আশা করি, লিখবেন। বা আমার জানার বাইরে লিখে ফেলেছেন।

‘বিলেতের বাঙাল’ নামে তাঁর একটি বই আছে। বইটি পড়া হয়নি। দীর্ঘদিন বিলেতে থেকে বাঙালি-মানস খানিকটা জানি। আর আছে একাত্তরের বিজয়িনী। নামেই বোঝা যায়, এরা কারা। এবং আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব চে গুয়েভারার জীবন ‘চে’।

পুরস্কারের কথা আগেই বলেছি। রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, লায়ন্স ক্লাব, ইউনেস্কোর মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড—এসবও তিনি পেয়েছেন।

মুস্তাফিজ শফির জন্ম সিলেটের বিয়ানীবাজারে। ১৯৭১ সালের ২০ জানুয়ারি। স্ত্রীর নাম নূরজাহান আক্তার। দুজন সন্তান তাঁর—রূপকথা আর ঋদ্ধ।

সমকালে তিনি সম্পাদক হিসেবে আছেন। আমার বন্ধু গোলাম সারওয়ারের মৃত্যুর পর তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও ব্র্যাকেটে এখনো লেখা রয়েছে অ্যাকটিং। আশা করি অ্যাকটিং করতে করতে তিনি পুরোপুরি সম্পাদক হবেন।

আমি এই প্রবন্ধ শেষ করছি তাঁর কবিতার লাইন দিয়ে। ‘মায়া তো মায়াই, যত দূরে যায় তত তার দীর্ঘ হয় ছায়া।’ আজ লন্ডনের জীবনযাপনের ফাঁকে এমনি কোনো মায়ায়ই এত কিছু লেখালেখি।

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিলো কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলচালক নিহত
ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিলো কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলচালক নিহত
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!