X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে রংপুরের দুদক কার্যালয়

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
০৫ মার্চ ২০২১, ১৯:৩২আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২১, ১৯:৩২

প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে রংপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের কার্যক্রম। একজন উপ-পরিচালক ও দুই জন সহকারী পরিচালক দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে চার জেলা নিয়ে গঠিত কার্যালয়ের কার্যক্রম। তবে বিভাগীয় দুদক কার্যালয়টি প্রথম শ্রেণির কার্যালয় হওয়ার কথা ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে তৃতীয় ক্যাটাগরিরর কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রংপুর দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা কার্যালয়ের অধীনে রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলার সব ধরনের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত হয় এই কার্যালয় থেকে। দীর্ঘদিন ধরে এ কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় জনবল সংকট রয়েছে। বর্তমানে একজন উপ-পরিচালক ও দুই জন সহকারী পরিচালক ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধে জোরালো কোনও কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছে না জানিয়েছেন বলে খোদ কর্মকর্তারা। ফলে বিভিন্ন কার্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে অভিযান, বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান, মামলার তদন্ত কার্যক্রম এসবের কিছুই হচ্ছে না। অন্যদিকে যে সব কর্মকর্তা কর্মরত আছেন তাদের কারও পরিবার রংপুরে অবস্থান না করায় সপ্তাহের দু'দিন সরকারি ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে কর্মকর্তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে সেই সব জেলায় অবস্থান করেন। বাস্তবে তিন-চার কার্যদিবস কাজ হয়।

অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পড়ে থাকা হাজার হাজার অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করার কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে বিভাগীয় নগরী রংপুরে শতাধিক সরকারি অফিস রয়েছে এর মধ্যে বেশ কিছু অফিসে চলছে ফ্রি স্টাইলে দুর্নীতি এসব প্রতিরোধে দুদকের কোনও বাস্তব কর্মকাণ্ড নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদক কার্যালয়ের কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন যে সব অভিযোগ আসে সে সব অভিযোগের খাম খুলে দেখা হয় না দিনের পর পর দিন। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দূর্নীতির তথ্য পাওয়ার পর সেগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে অনুসন্ধান করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয় হাতে গোনা কয়েকটি। অন্যদিকে চার জেলার যে সব অভিযোগ অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে, বেশির ভাগ অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া নেই বললেই চলে। মোট কথা রংপুর দুদকের দৃশ্যমান কোনও কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে রংপুর দুদক কার্যালয়ের কোনও কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি হননি।

তবে দুদকের সহযোগী সংগঠন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দুদক সমন্বিত কার্যালয়ে জনবল প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে স্বীকার করে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে কথা বলেও কোনও সমাধান পাইনি।

তিনি বলেন, দুদকের রংপুর কার্যালয়টি প্রথম শ্রেণির ক্যাটাগরি অনুযায়ী জনবল থাকার কথা থাকলেও এখন তা 'সি' ক্যাটাগরিতে চলে এসেছে। ফলে রংপুর বিভাগীয় নগরী হওয়া সত্বেও রংপুরসহ এর অধীনস্থ চার জেলায় তেমন কোনও কার্যক্রম নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। দ্রুত প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য দুদকের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান তিনি।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা