X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবার জোরছে ছাপ, টিএমসি সাফ, তৃণমূলের খেল খতম: মোদি

কলকাতা প্রতিনিধি
০৭ মার্চ ২০২১, ২২:০৮আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২১, ২২:১০

এ যেনও কুরুক্ষেত্রের মহারণ। শ্রীকৃষ্ণের মতো পাঞ্চজন্য শঙ্খ বাজিয়ে বাংলার বুকে একুশের ধর্মযুদ্ধে ডাক দিলেন নরেন্দ্র মোদি। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তখন জনতার সুনামি। ‘মোদি মোদি’ ধ্বনির মধ্যে ব্যারিটোনে প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক প্রশ্নবাণে উদ্বেলিত লাখো জনতা। বাংলায় একুশের ভোটের গেরুয়া ঝড়ের আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করে দিদির উদ্দেশে সদর্পে মোদির ঘোষণা, ‘এবার জোরছে ছাপ, টিএমসি সাফ, তৃণমূলের খেল খতম!’

বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সূচনা করে কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে মোদি যেনও স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। এদিন বেলা আড়াইটের কিছু পরে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম থেকেই আক্রমাণত্বক ভঙ্গিমায় একেবারে স্ট্রেট ব্যাটে ঝোড়ো ইনিংসের সূচনা করে মোদি বুঝিয়ে দিলেন সত্যিই এবার খেলা হবে!

এদিন প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে স্বীকার করে নেন তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি এত বড় জনসমাবেশ দেখেননি। আপ্লুত নমো ব্রিগেড থেকে সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বলেন, “বিজেপি যে সরকার গড়বে সেখানে বাংলার মানুষের উন্নয়নই শেষ কথা হবে। বিজেপি সরকারের প্রেরণা হবে ‘আসল পরিবর্তন’-এর মন্ত্র। আসল পরিবর্তন মানে যুবকদের কর্মসংস্থান। আসল পরিবর্তন মানে মানুষ পালাবে না এখান থেকে। আসল পরিবর্তন মানে একবিংশ শতকে আধুনিক পরিকাঠামো। আসল পরিবর্তন মানে গরিব মানুষেরও সার্বিক উন্নতি। আসল পরিবর্তন মানে সব ক্ষেত্রের মানুষের সমান যোগদান। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বা জঙ্গলমহল সবপক্ষের উপরই সমান নজর থাকবে।”
মমতাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাগের মাথায় আমায় কখনও রাবণ, দানব, দৈত্য, গুণ্ডা বলছেন। দিদি এত রাগ কেন? কথায় কথায় গালাগাল, এত রাগ কেন দিদি? আজ বাংলায় পদ্ম ফুটছে কারণ আপনার দল পাঁক ছড়িয়েছে। দিদিকে আমি বহু বছর ধরে চিনি। দিদি এখন সেই দিদি নেই যে দিদি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, এখন দিদির রিমোর্ট কন্ট্রোল অন্য কারও হাতে রয়েছে। বিজেপির লোকদের বহিরাগত বলছে। কংগ্রেস যারা তৈরি করেছিল তারা বহিরাগত ছিল না। বামেরা এতদিন শাসন করেছেন তারাও মার্কস, লেনিনের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। তৃণমূলও কংগ্রেস থেকেই তৈরি হয়েছে, এরাও বহিরাগত। কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তৈরি দল বিজেপি তৈরি হয়েছে বাংলা থেকে। পদ্মে বাংলার মাটির সুবাস রয়েছে। তাই বলা হয়েছিল, লোকসভায় টিএমসি হাফ, এবার পুরো সাফ। লোকসভার ভোটে মন্ত্র ছিল চুপচাপ পদ্মে ছাপ। এবার জোরসে ছাপ, টিএমসি সাফ।’

এবার জোরছে ছাপ, টিএমসি সাফ, তৃণমূলের খেল খতম: মোদি

মোদি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর কিছুদিন বাংলা উন্নয়নের পথে এগোলেও কেন তার পর সব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলায় বিজেপি সরকার এলে ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে তখন ভারতকে নেতৃত্ব দেবে বাংলা। কলকাতাকে দেশের সেরা শহর হিসাবে গড়ে তোলা হবে। কলকাতাকে মুড়ে ফেলা হবে উড়ালপুল দিয়ে। আজ আমাদের মাঝে বাংলার ছেলে মিঠুন দা রয়েছেন। তার লড়াই সবার কাছে দৃষ্টান্ত। অনেকের মতে আজই ২ মে চলে এসেছে। সোনার বাংলার সংকল্প নিশ্চয় পূরণ হবে। আসল পরিবর্তনের জন্য মানুষ আজ ব্রিগেডে এসেছেন। এই ব্রিগেড থেকে আমি আসল পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বাংলার পুনর্নির্মাণ, সংস্কৃতির রক্ষা, শিল্প তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করব। প্রতি মুহূর্তে আপনাদের জন্য বাঁচব, আপনাদের সেবা করব। প্রতি মুহূর্তে কাজের মধ্যে দিয়ে আপনাদের মন জিতব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা চায় উন্নতি, বাংলা চায় শান্তি, বাংলা চায় সোনার বাংলা। আগামী ৫ বছরে বাংলায় যে বিকাশ ঘটবে, তাতে পরবর্তী ২৫ বছরের ভিত তৈরি হবে। বাংলার উন্নয়নের কথা ভেবে ভোট দিন। মাছ হোক বা ভাত, বন্দর হোক বা বাণিজ্য, বাংলার মাটিতে সবকিছু রয়েছে। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে। আমাদের এনডিএ সরকার সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোবে। কলকাতা সিটি অব জয়। কলকাতার কাছে সমৃদ্ধশালী অতীত এবং সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ রয়েছে। কলকাতার সংস্কৃতিকে সুরক্ষিত রেখে তাকে ভবিষ্যতের শহর বানানোর সামনে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই।’

ভাষণে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বাংলার মানুষের কাছে মোদির  আবেদন, ‘এবার বাংলায় আসল পরিবর্তনের লক্ষ্যে ভোট দিন। দিদি বামেদের বিরুদ্ধে যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, সেই পরিবর্তন কি আদৌ এসেছে? বাংলার গরিব মানুষের জীবন কি বদলেছে? বাংলার খুন-খারাপির রাজনীতি কি বদলেছে? আজ বাংলায় মা-মাটি-মানুষের কী পরিস্থিতি সেটা ভালো করেই জানেন আপনারা। একদিকে, মমতা-বাম-কংগ্রেস এদের বাংলা বিরোধী মনোভাব। অন্যদিকে, বাংলার মানুষ কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করতে এসেছেন। বাংলার মানুষের আশীর্বাদে সোনার বাংলার স্বপ্ন সফল হবেই। এখানকার একেক জন মানুষ আজ বাংলায় আসল পরিবর্তনের জন্য এসেছেন। এই ব্রিগেড থেকে আমি আসল পরিবর্তনের বিশ্বাস জাগাতে চাই। আশ্বাস দিতে চাই বাংলার পুনর্নির্মাণের। আশ্বাস দিতে চাই এখানকার উন্নয়নের। আশ্বাস দিতে চাই নারীদের নিরাপত্তার। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে যুব সমাজ থেকে বয়স্কদের জন্যও প্রকল্প। আসল পরিবর্তনের জন্য পঞ্চায়েত স্তরেও উন্নয়ন প্রয়োজন। বাংলায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শেষ করা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পুনরায় গড়ে তোলা হবে।’

বাংলার জন্য বিজেপির আগামী ২৫ বছরের রোডম্যাপ তৈরি তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘যা যা বাংলার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সব আপনাদের ফিরিয়ে দেব। আগামী ২৫ বছরের উন্নয়নের আধার হবে আগামী ৫ বছরের বিকাশ। এবার ভোট দেবেন বাংলাকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ২৫ বছর পর দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পালন করবে, তখন বাংলা যেনও আবার দেশের অগ্রগণ্য রাজ্যগুলির একটা হয়।’

তৃণমূল সরকারের সমলোচনা করে মোদি বলেন, ‘বাংলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কীভাবে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে, সেটি আপনারা ভালো করেই জানেন। বিজেপি সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। রাজ্যের প্রশাসন, পুলিশের উপর মানুষের আস্থা ফেরাবে বিজেপি। আসল পরিবর্তনের মন্ত্র বাংলার সরকারের প্রেরণা হবে, আদর্শ হবে। আসল পরিবর্তন মানে, এমন বাংলা যেখানে মানুষ শিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। আসল পরিবর্তন মানে যেখানে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি হবে, বিনিয়োগ বাড়বে। আসল পরিবর্তন মানে এমন বাংলা যেখানে উন্নতিতে সব ক্ষেত্র, সব বর্গ সমান ভাগীদার হবে। আদিবাসী, দলিত, পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত বা শরণার্থী, সবাইকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস মন্ত্র হবে। উন্নয়ন সবার হবে, তোষণ কারও হবে না। অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া হবে। আমরা ক্ষমতায় এলে প্রতি মুহূর্তে আপনাদের জন্য বাঁচব, আপনাদের স্বপ্নের জন্য বাঁচব। আপনাদের সেবা করব। আপনাদের আশীর্বাদ নেব। প্রতিমুহূর্ত আপনাদের মন জয় করব, নিজেদের কাজের মাধ্যমে, ভালবাসা অর্জন করে নেব।’

‘দিদি ভয় পেয়ে বলছেন খেলা হবে’ এমন মন্তব্য করে মোদি বলেন, ‘বাংলার সরকার আটকে দিচ্ছে, কিন্তু কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চাই। আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে বাংলার মানুষের সেবা করতে চাই। দিদি ঠিক করে নিয়েছেন, কাজ করবও না, করতেও দেব না। এবার বলুন, বন্ধুত্ব চান, না তোলাবাজি। আমার বন্ধুত্বে ভয় পেয়ে বলতে শুরু করেছেন খেলা হবে। সত্যিই আপনারা অনেক বড় খেলোয়াড়। বাংলার মানুষকে লুঠ করেছেন। মানুষের জীবন নিয়ে আপনারা খেলা করেছেন। এত দুর্নীতি করেছেন যে দুর্নীতির অলিম্পিক হয়ে যাবে। সবদিক থেকেই একটা আওয়াজ উঠছে, তৃণমূল কংগ্রেসের খেলা শেষ। বিকাশ শুরু।’

মোদি আরও বলেন, ‘বাংলায় আজও জলকষ্ট, কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রয়োজন। আজও বাংলায় দেড় কোটি মানুষের ঘরে জল পৌঁছায় না। গরিবদের নিয়েও রাজনীতি করতে হবে! কিন্তু আফশোস তৃণমূল সরকার গরিবদের নিয়েও রাজনীতি করে। কেন্দ্রের টাকা আজ পর্যন্ত খরচ করতে পারেনি তৃণমূল সরকার। আমরা যা বলি তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করি। বিরোধীরা বলেন, আমি নাকি বন্ধুদের জন্য শুধু কাজ করি। আমার বন্ধু গরিব মানুষ, আমি তাদের জন্য কাজ করি। করোনার সময় গরিব বন্ধুদের রেশন দিয়েছি, গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছি। করোনার ভ্যাকসিন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করে দিয়েছি। ঝুপড়িতে জন্ম নেওয়া শিশুও আমার বন্ধু। বাংলায় আমার এই বন্ধুদের জন্য আরও কাজ করব। রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতি বাংলায় প্রণয়ন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বাংলা ভাষায় পড়ানো হবে।’

রবিবারের বক্তব্যে দিদির স্কুটি চালানো নিয়ে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আপনি স্কুটি চালাচ্ছিলেন। ভালো হয়েছে আপনি পড়ে যাননি, তাহলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে সেই রাজ্যকেই শত্রু ভেবে বসতেন। কিন্তু আপনার স্কুটি ভবানীপুরের বদলে নন্দীগ্রামের দিকে ঘুরে গেলো। কিন্তু স্কুটি নন্দীগ্রামে পড়ে গেলে আমি কী করব! মাটির নামে এখন বাংলায় সিন্ডিকেট চলছে।

তিনি বলেন, বাংলা এখন এক স্বরে বলছে ‘আর নয় অন্যায়’। দিদি শুনতে পাচ্ছেন, এটা বাংলার আওয়াজ। বাংলার মানুষ একটাই প্রশ্ন করছে, তারা আপনাকে দিদির ভূমিকায় দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনি কেন নিজের একজন ভাইপোর পিসি হয়ে থাকলেন? বাংলার লক্ষ লক্ষ ভাইপো-ভাইঝির আশাপূরণ না করে নিজের ভাইপোর শুধু উন্নতি কেন করলেন? কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের পথেই আপনি কেন হাঁটলেন। আপনি শুধু বাংলার নয়, গোটা ভারতের মেয়ে।’

মোদি আরও বলেন, ‘বাংলায় মা-মাটি-মানুষের কী অবস্থা আপনারা জানেন। ঘরে ঢুকে মায়েদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা দেশ দেখছে। ৮০ বছরের মায়ের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা দেশ দেখেছে। গত ১০ বছরে বাংলার প্রত্যেক মা চোখের জল ফেলেছেন। তবে বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাবো যে তারা এখনও পরিবর্তনের আশা ছাড়েননি।’

 

/এএ/
সম্পর্কিত
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
সর্বশেষ খবর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
উপজেলা নির্বাচন: ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচন: ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম