করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি হেফাজতি সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসকেও রুখে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রমজান ও করোনা লকডাউনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, করোনার ক্ষেত্রে সরকারের এতদিনের পদক্ষেপ ছিল অস্পষ্ট ও দ্বিধান্বিত। হেফাজতের ক্ষেত্রেও তাই। দেশবাসী আশা করে, সরকার এবার উভয় মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। অন্যথায় করোনায় মানুষের যেমন প্রাণ যাবে, তেমনি হেফাজতি সন্ত্রাসের বিস্তার সারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। মাহে রমজান ও বাংলা নববর্ষ উভয়ই এই দুই বিপদকে ঝেটিয়ে বিদায় করবে দেশ থেকে। রমজানে মানুষের চিত্ত হোক শুদ্ধ। আর বৈশাখী ঝড় করোনাভাইরাসকে উড়িয়ে নিয়ে যাক। শুচি হোক ধরা।
মেনন বলেন, লকডাউনে সারাদেশের কলকারখানা বন্ধ থাকলেও, মালিকদের কাছে আত্মসমর্পণ করে সরকার শিল্প-কারখানা খোলা রাখার কথা বলেছে। কিন্তু গতবারের মত এবারও শ্রমিকদের দায় নেয়নি। শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দকৃত গতবারের তহবিলও অব্যবহারিত রয়ে গেছে। আর মালিকরা প্রণোদনার টাকা পাচ্ছে।
মেনন সরকারের পাশাপাশি ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মীদেরও গতবারের মত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, নারী মুক্তি সংসদের নেত্রী শাহানা ফেরদৌসি লাকী, গৃহশ্রমিক নেত্রী মুর্শিদা আখতার নাহার, গার্মেন্টস শ্রমিকনেতা রফিকুল ইসলাম সুজন ও তপন সাহা, রিকশা শ্রমিকনেতা আনোয়ার আলী, রেলওয়ে শ্রমিকনেতা ওমর ফারুক সুমন, হকার নেতা আরিফ চৌধুরী প্রমুখ।