‘আমার ঘরে ৫ জন মানুষ। তার মদ্যি আমি একলা ইনকাম করি। ইনকাম না করলি সবাইরে না খাই থাকতি হবি’-কথাগুলো বলছিলেন ভ্যান চালক নাসিরুল।
আরেক অটোচালক বশির বলেন, ‘আমার অটো কিস্তিতে কেনা। কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করতে হয়। লকডাউনে এখন খাবার জন্য টাকা কই পাবো আর কিস্তির টাকা কই পাবো?’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার সামনে এসব কথা বলছিলেন অটো-ভ্যান চালকরা।
লকডাউনের ভেতরে কেন বের হয়েছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, ৮ দিন বসে থাকলে পেট কিভাবে চলবে? তার মধ্যে রোজার ২য় দিন চলছে। সরকার কিংবা অন্য কেউ কোনও সাহায্য-সহযোগিতা করেনি আমাদের। টিভিতে শুনতিছি অনেক ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে কিন্তু আমরা তো পাচ্ছি না।
সন্ধ্যায় মাগরিবের আজান চলছে। তখনও থানার সামনেই শুয়ে বসে অপেক্ষায় চালকরা। ইফতারিটাও সেরে নিলেন থানার সামনে বসেই। কয়েকজন জানালেন, মাগরিবের পর গাড়ি ছাড়তে পারে বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এজন্যই অপেক্ষায় করছি।
কিন্তু সন্ধ্যা পেরোতেও ভ্যান কিংবা অটো ছাড়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি থানা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যেসব ভ্যান বা অটো লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করে মানুষ পরিবহন করছিল তাদের আটক করা হয়েছে। মালামাল পরিবহনকারী গাড়ি আটক করা হয়নি। কখন ছাড়া পাবে এসব গাড়ি জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে জানা নেই। এসপি স্যার যেভাবে নির্দেশ দিবেন সেভাবেই কাজ করা হবে।