X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
নেত্রকোনা গণপূর্ত বিভাগ

উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০২১, ১৬:২৪আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৫২


নেত্রকোনার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম-এসও) রুকুনুজ্জামান মুসার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) গণপূর্ত বিভাগের ময়মনসিংহ জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করে লিখিত আবেদন করেন জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য কেশব রঞ্জন সরকার।

অভিযোগে বলা হয়, নেত্রকোনা গণপূর্ত বিভাগ ২০১৯-২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের থোক বরাদ্দের প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ নীতিমালা ও পদ্ধতির ধারা অনুসরণ না করে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নিবার্হী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ও কাজের রেট গোপন করে টেন্ডার দিয়ে কাজ বাগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর এসবে জড়িত সংশ্লিষ্ট দফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) রুকনুজ্জামান মুসা। তিনি তার মনোনীত লাইসেন্স দিয়ে নিয়মিত ঠিকাদারি কাজ করে আসছেন। তদন্ত করলে এক বছরে কোন কোন ঠিকাদারি ফার্মকে বেশি কাজ দেওয়া হয়েছে সে সবের নাম বেরিয়ে আসবে।

অভিযাগে আরও বলা হয়, অনেক ঠিকাদারকে তাদের লাইসেন্সের প্রোফাইল ভারী করার কথা বলে না জানিয়ে সেই লাইসেন্স দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। যার নেপথ্যে ওই উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুসা।

এছাড়া নেত্রকোনায় সদ্য প্রতিষ্ঠিত মেডিক্যাল কলেজের অস্থায়ী কার্যালয়ের মেরামতের জন্য থোক বরাদ্দ টাকা থেকে রেট গোপন করে মুসা তার মনোনীত লাইসেন্স দিয়ে কাজ নিয়ে এবং নিজেই প্রকল্পের (এসও) হয়ে বিল ভাউচার করে অর্থ লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ এই এলাকার নির্ধারিত উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে রয়েছেন অন্য একজন কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিবার্হী প্রকৌশলী অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাজের এলাকার দায়িত্ব ভাগ রয়েছে। তবু কীভাবে মুসা সাহেব অন্য একজন এসও’র এলাকার কাজ তদারকি করেন তা বোঝে আসছে না। তবে অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ম্যানেজ থাকলে সবই সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আরও উল্লেখ করেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুসা নেত্রকোনা গণপূর্ত বিভাগে তিন বছরেরও বেশি সময় কাজ করছেন। তবে গত এক বছরে তিনি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য কেশব রঞ্জন সরকার বলেন, সরকারের উন্নয়ন কাজে যারা অর্থ লোপাটের চিন্তায় থাকে, তাদের দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। এরা সরকারের চলমান উন্নয়নকে ব্যাহত করতে চায়। তাই এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাই।

তবে এ বিষয়ে জানতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুকনুজ্জামান মুসার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নানা ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

বক্তব্য পাওয়া যায়নি নেত্রকোনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসিনুর রহমানেরও। তার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। ফোনে কথা বলতে চেয়ে এসএমএস পাঠিয়েও কোনও জবাব মেলেনি।

এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম