সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসের কর্মীদের আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার হতো এলাইট পরিবহনের একটি বাস। তবে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি সেবায় নিয়োজিত স্টিকারের সুবিধা নিয়ে সাধারণ যাত্রী পরিবহনের কাজ করতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এমনই তথ্য দেয় বাসটির কর্মীরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, গাড়িটি অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির কর্মীদের আনা-নেওয়ার জন্য ভাড়া করা। এলাইট ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ড্রাইভার এবং হেলপার জরুরি সেবার সুযোগ নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিআরটিসির আরও একটি বাস আটকানো হয়। বাসটি জরুরি মেডিক্যাল সেবা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে মিরপুর-১ নম্বর থেকে আজিমপুর এর দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় বাসটি থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কেউ মেডিক্যাল সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন বলে জানা যায়। প্রায় ২০ জন যাত্রীর মধ্যে তিন জন ছিলেন মেডিক্যাল স্টাফ। বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছিলেন তারা।
সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে এসব অসঙ্গতি পায় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আকতার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বেশকিছু গণপরিবহন জরুরি সেবার নাম ব্যবহার করে যাত্রী পরিবহন করছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গণপরিবহন পরিচালনার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পরিবহন, চালক ও হেলপারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি বাসকে অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেড কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে যাত্রী পরিবহনের অভিযোগে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিআরটিসির আরেকটি বাসের স্টাফদেরও জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।