ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ কিনতে দেশটির রাজ্য সরকারগুলোর খরচ পড়বে ডোজ প্রতি ৬০০ রুপি। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে এক একটি ডোজের দাম ধরা হয়েছে ১২শ’ রুপি করে। শনিবার হায়দরাবাদভিত্তিক ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর এক একটি ডোজের দাম আগেই জানিয়েছিল ভারতে ওই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)। রাজ্য সরকারের জন্য তাদের তৈরি করোনার টিকার একটি ডোজের দাম ধার্য করা হয়েছিল ৪০০ রুপি। অন্য দিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে তা কিনতে হবে ৬০০ রুপিতে। এই দাম নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছে সংস্থাটি। তবে শনিবার রাতে ভারত বায়োটেকের টিকার দাম ঘোষিত হতেই দেখা গেলো, তা সেরামকেও ছাপিয়ে গেছে।
‘কোভ্যাক্সিন’-এর দাম এতো বেশি কেন হলো? এ নিয়ে নিজেদের যুক্তিও দিয়েছে ভারত বায়োটেক। সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এম ইল্লার দাবি, কোভিডের টিকা তৈরিতে যে খরচ হয়েছে, তার ব্যয়ভার তুলতেই এতো দাম রাখা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই টিকা উৎপাদনসহ তার পরীক্ষা নিরীক্ষার খরচও মূলত সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এসেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি টিকাদান কর্মসূচিতে ‘কোভ্যাক্সিন’ এবং ‘কোভিশিল্ড’-এর ডোজই দেওয়া হচ্ছে। তবে ভারতে সেরামের টিকার ডোজের দাম নিয়ে ইতোমধ্যে সংস্থাটিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০ রুপিতে এক একটি ডোজ বিক্রি করলেও রাজ্য সরকারগুলোকে তা কেন ৪০০ রুপিতে কিনতে হবে অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য সে দাম কেন ৬০০ রুপি— সে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সেরামের শীর্ষকর্তা আদার পুনাওয়ালার মন্তব্য, ‘এই মুহূর্তে যে দুইটি টিকা ভারতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার মধ্যে কোভিশিল্ড-ই সবচেয়ে সস্তা।’
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালে অত্যন্ত নগণ্য সংখ্যক টিকা বিক্রি করা হবে। সেই সঙ্গে কোভিড বা অন্যান্য মারণ রোগের টিকা অথবা চিকিৎসার খরচের তুলনায় এই দাম এখনও অনেক কম।’ সূত্র: আনন্দবাজার।