পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার পর রাজ্যের রাজনৈতিক সহিংসতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের গভর্নরকে ফোন করে এই উদ্বেগ জানান তিনি। এদিকে সহিংসতার বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস—উভয় দলের লোকজনই রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকা এবং রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে সহিংসতার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন তিনি। অন্যদিকে রক্তপাতের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করে বুধবার মমতা শপথের দিন পশ্চিমবঙ্গে ধিক্কার দিবস এবং দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
মঙ্গলবার গভর্নর জগদীপ ধনগড় এক টুইট বার্তায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ‘ভয়াবহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা প্রকাশ করেছেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে ওই টুইট বার্তায় তিনি আরও লেখেন, ‘নিরবিচ্ছিন্ন হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর নিয়ে আমিও চরম উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’
পশ্চিমবঙ্গে চলমান সহিংসতার ঘটনা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে খতিয়ে দেখার আদেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন এক বিজেপি নেতা। ওই আবেদনে বলা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চলছে, হত্যা করা হচ্ছে আর নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে দুই দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফর শুরু করেছেন বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা। সহিংসতায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎন করবেন তিনি।
সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করোনা মহামারি মোকাবিলার ওপর মনোযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছে তার দল তৃণমূল কংগ্রেস।