নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রাজনীতি এখন পাল্টাপাল্টি হামলা, মামলা, হানাহানি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য নির্ভর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া এসব লাইভ বক্তব্য ও লিখিত স্ট্যাটাস স্থানীয় রাজনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এসব কর্মকাণ্ডে শান্তি এবং স্বস্তিতে নেই এ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। বুধবার (৬ মে) দিবাগত রাত ১টায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এর এক ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর পাল্টা স্ট্যাটাস দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল।
কাদের মির্জার স্ট্যাটাস:
‘আমার ছেলে তাশিক মির্জাকে তৎকালীন ওসি (তদন্ত) রবিউলের উপস্থিতিতে থানার সামনে সন্ত্রাসীরা পাইপগান দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফটিয়ে চৌচির করে রক্তে রঞ্জিত করেছে। ওই সব সন্ত্রাসী হলো– ১. কিলার বাদল, ২. কিলার রাহাত, ৩. কিলার আকরাম উদ্দিন সবুজ, ৪. কিলার রুমেল, ৫. কিলার রিমন, ৬. কিলার কচি, ৭. কিলার মঞ্জু। তাদের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিল। ওইদিন একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারকে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে বলছে, মির্জার ছেলেসহ তার কোনও লোককে চিকিৎসা দেবে না। সন্ত্রাসীরা ডাক্তারদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে আমরা অন্য স্থান থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। অন্যদিকে ওসি রনি ওই মুহূর্তে আমার অফিসে এসে আমার নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে যেন কেউ বাইরে না যেতে পারে। আমার ছেলেকে আহত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও আসামি গ্রেফতার হয়নি। আমার ছেলেকে যারা রক্তাক্ত করেছে ওই সব সন্ত্রাসী আজ রাত ১০টার সময় থানার সামনে এবং পুরো বাজারে অস্ত্র নিয়ে সুসজ্জিত হয়ে অস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা আমার নেতাকর্মীদের মারার জন্য বাজারে অবস্থান নেয়। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি যারা আমার ছেলেকে রক্তাক্ত করছে তাদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য আমি দায়ী থাকবো না।’
এর পরপরই দেওয়া বাদলের স্ট্যাটাস:
‘আ কা মির্জার এই পোস্ট থেকে আমি নিশ্চিত হলাম সে এখন Exit চাচ্ছে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। এছাড়া অবশ্য আর কোনও উপায়ও নেই। একটা অঘটন সে ঘটাবে আর জেলে যাবে এবং সেখান থেকে মুক্তি নিয়ে সে আমেরিকায় তার দ্বিতীয় আবাসস্থলে চলে যাবে। নতুবা তার সঙ্গে থাকা যাদের দিয়ে সে যত অপকর্ম করেছে, তারা তো তাকে যেতে দেবে না। তাই আমি বলবো, তোমরা দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করো নতুবা গণরোষের শিকার হতে পারো।’