অর্থ এখন কোনও উদ্বেগের বিষয় নয়। আমাদের এখন প্রবৃদ্ধি-ঘাটতি নিয়ে কম চিন্তা করা প্রয়োজন। করোনার টিকা এখন আমাদের মূল উদ্বেগের বিষয়।
রবিবার (৬ জুন) বিকেলে ‘বাজেট অ্যান্ড বিজনেস আউটলুক ডিউরিং ২০২১-২২ : স্ট্র্যাটেজিক প্রাইওরিটিজ’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের এখন দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন, কীভাবে দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়া যায়, যা মানুষকে প্রশান্তি দেবে এবং অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করবে।
জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘বাজেট ২০২১-২২ : ইনসেনটিভাইজিং বিজনেস টু বোলস্টার এমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক আলোচনায় আতিউর রহমান উল্লেখ করেন, ‘পর্যাপ্ত তারল্য থাকায় ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া ঝুঁকির নয়।’
তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিকাশ ও রকেটের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) ক্ষেত্রে করপোরেট কর ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব সঠিক হয়নি। এদিকে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাও কমানো উচিত। তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর একই রাখা হয়েছে, এটা বাড়ানো প্রয়োজন।
পরিবর্তনশীল করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষ বরাদ্দ এসব এলাকায় করোনা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।’
অনলাইন আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আরও ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আফতাব-উল-ইসলাম এবং ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর।