বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ‘ই’ গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলো হচ্ছে কাতারের দোহাতে। করোনাভাইরাসের প্রকোপে সেখানে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য নিয়ম-কানুন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জৈব বলয়ের মধ্যে থেকে সবগুলো দল ম্যাচ খেলছে। এমন বিধি নিষেধে কিছুটা হাঁপিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ দল। গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের কাছে মনে হয়েছে, ফাইভ স্টার হোটেলে একধরনের জেলে আছেন তারা!
বাংলাদেশ দল দোহায় পৌঁছায় গত ২৮ মে। এর পর সেখানে দুটি ম্যাচ খেলেছে জেমি ডের শিষ্যরা। এই সময়ে অবশ্য মাঠ ও হোটেল ছাড়া কোথাও যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। তাই কড়া এই বিধি-নিষেধে অনভ্যস্ত গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেল নিজেদের অভিজ্ঞতা এভাবেই বলছিলেন, ‘এখানে আসার পর হোটেলেই অবস্থান করছি। আসার পর দেখি হোটেল আর মাঠ ছাড়া কোথাও বের হতে দিচ্ছে না। শুরুতে কোয়ারেন্টিনের মধ্যে ছিলাম। কিছু দিন ধরে সুইমিংও করতাম। ৫ দিন ধরে সেটাও করতে পারছি না।’
এর পরই নিজের ক্ষোভ ঝারেন এই গোলকিপার, ‘মনকে সতেজ রাখার জন্য কোথাও যেতে পারছি না। শুধু ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি, প্র্যাকটিসে যাচ্ছি, হোটেলে অবস্থান করছি। মনে হচ্ছে, একধরনের ফাইভ স্টার হোটেলের জেলে আছি। আমার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে এমনটি দেখিনি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ওমান ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।’
এর ওপর আবার ওমান ম্যাচে তিন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কেও পাচ্ছে না বাংলাদেশ। নতুন যারা সুযোগ পাবেন, একাদশে তাদের জন্য পারফরম্যান্স দেখানোটা চ্যালেঞ্জিং-ই। মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহও স্বীকার করেছেন সেটা, ‘নতুন যারা আছি, তাদের জন্য বিষয়টা বড় চ্যালেঞ্জের। পজিটিভ ফুটবল খেলতে পারলে ভালো হবে। ভারত ম্যাচ ভুলে যাচ্ছি, কোচও সেভাবে কাজ করছেন। আমাদের জায়গা থেকে ভালো খেলতে পারলে লড়াই হবে।’