বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গণতন্ত্র যেভাবে ধ্বংস করেছে, সেভাবে পরিবেশেরও ধ্বংস করেছে। তারা ক্ষমতায় আসার পর রাস্তার পাশে যে বড় বড় গাছ ছিল, তা সব ধ্বংস করেছে। আপনারা দেখতে পারেন। জেলা পরিষদের যত গাছ ছিল সব নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর বেরাইদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে, পরিবেশ ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক পরিবেশও ধ্বংস করেছে। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের মানুষকে তারা চরম বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আমাকে তো বলতে হয় না— আপনারা নিজেরাই সব দেখেন, পত্রিকায়ও দেখেন। এই যে তুরাগ নদী, সব দখল হয়ে যাচ্ছে।’
কারা দখল করছে প্রশ্ন করে ফখরুল বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখেন, সব আওয়ামী লীগের নেতারা দখল করছে। কারা সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করছে, পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হচ্ছে কার? আওয়ামী লীগের এমপি। এরপর ক্লাব তৈরি হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয়ে। রূপগঞ্জের দিকে যদি যান দেখবেন, আওয়ামী লীগের নেতা, এমপি ও মন্ত্রীরা সব দখল করে ফেলেছে। এসব দখল করে একটা বিরূপ প্রকৃতি তৈরি করছে।’
বিএনপির মহাসচিবের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে দুর্নীতির মহোৎসব শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড নিয়েও তারা ব্যবসা করছে। মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। পরিবেশ উন্নয়নের জন্য এই সরকার কত ভাগ বরাদ্দ দিয়েছে, আপনারা কি বলতে পারবেন? খুব সামান্য।’
বক্তব্যে ফখরুল উল্লেখ করেন, এই পরিবেশের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনেক বেশি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকায় গাছ লাগানোর জন্য লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে বৃক্ষায়ন কর্মসূচি শুরু করেছি। এটাকে আমরা একটা সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে চাই।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম নকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-পরিবেশ ও বন সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক জি এম শামসুল হক, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, দপ্তর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ।