ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে রোগীর চাপ কিছুটা বাড়লেও অনেক সিটই ফাঁকা রয়েছে। তবে আইসিইউ সংকট কাটেনি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।
কোভিট-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার (২৭ জুন) ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এর মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মেডিক্যালের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘বর্তমানে রোগীর কিছুটা চাপ বাড়লেও অনেক সিটই ফাঁকা। তবে আইসিইউ সংকট কাটেনি। কয়েক মাস আগের তুলনায় এখন রোগীর চাপ কিছুটা বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত মে মাসে রোগী ভর্তি ছিল প্রায় তিনশ’। জুনের প্রথম সাপ্তাহে সাড়ে তিনশ’ ছাড়ায়। বর্তমানে ঢামেকে রোগী আছে ভর্তি ৪৩৯ জন।’
পরিচালক বলেন, ‘যেহেতু আইসিইউ বেড ক্রাইসিস রয়েছে। এজন্য আমাদের হাই-ফ্লো’র পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে, যা দিয়ে রোগীরা শ্বাসকষ্ট থেকে লাঘব পাবেন। এছাড়া প্রতিটি বেডের পাশে রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন।’
তিনি বলেন, ‘ভেন্টিলেশনসহ আইসিইউ’র বিষয়টি ভিন্ন। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে যখন কাভার হয় না, সেক্ষেত্রে তাদেরকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে রোগী ইমপ্রুভড হলে তাদেরকে এইচডিইউ বা নরমাল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সে ক্ষেত্রে ওই বেডে আরেকজনকে স্থানান্তর করা হয়।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ‘করোনা ইউনিটের আইসিইউতে আগুন লাগার পর পুড়ে যাওয়া ওয়ার্ডটিকে সংস্কার করে আবারও চালু করা হচ্ছে। কাজ প্রায় শেষ। এছাড়াও ডায়ালাইসিস রোগীদের জন্য আরেও ১৩টিসহ মোট ৩৩টি আইসিইউ বেড চালু করা হবে।’ এগুলো চালু হয়ে গেলে আইসিইউতে অনেকটা চাপ কমবে বলেও জানান তিনি।