লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম উৎসবের মেজাজে সেজেছে।ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে সমাপনি অনুষ্ঠানও হয়েছে। মাঠেই ট্রফি ঘিরে নেচে-গেয়ে দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা ছিল দেখার মতোই। এরপর স্বাগতিক ইংল্যান্ড এরপর মাঠে নেমেই বড় চমকই দেখালো। ইতালির বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটে এগিয়ে গেলো! বিরতি পরযন্ত ১-০ গোলের স্কোরলাইন রেখেই দুই দল ড্রেসিংরুমে গেছে।
ইংল্যান্ড দলে একটি পরিবর্তন। কোচ সাউথগেট ট্রিপিয়েরকে একাদশে ফিরিয়েছেন। সাকার জায়গা হয়েছে সাইড বেঞ্চে। ৩-৪-২-১ ছঁকে নেমে ইউরোর প্রথম ফাইনাল খেলতে নেমে গোল পেয়েছে। বিপরীতে ১৯৬৮ চ্যাম্পিয়ন ইতালি আগের একাদশেই ভরসা রেখে খেলেছে। ৪-৩-৩ ছঁকে বল দখলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু গোল শোধের জন্য মানচিনির দল চেষ্টা করেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
ম্যাচ ঘড়ির ২ মিনিটে ইংল্যান্ড প্রথম গোল করে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের চমকে দেয়। ট্রিপিয়েরের ক্রসে বক্সে ঢুকে লুক শ বা পায়ের জোরালো ভলিতে গোলকিপার দোনারুম্মাকে পরাস্ত করেন। বল পোস্ট ঘেঁষে জাল কাঁপায়। ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে এটাই দ্রুত সময়ে গোল হলো। এর আগে স্পেন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ম্যাচে প্রথম গোল হয়েছিল, ৫ মিনিটে।
হঠাৎ এমন গোলে পিছিয়ে পড়ে ইতালি শোধ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু স্বাগতিকদের গোলকিপার পিকফোর্ডকে বড় পরীক্ষায় সেভাবে ফেলতে পারেনি।
৮ মিনিটে ইনসিনিয়ের ফ্রি-কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।৩৫ মিনিটে চিয়েসার শট দূরের পোস্ট দিয়ে গেলে হতাশই হতে হয়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তাদের আরও একটি প্রচেষ্টা ইংল্যান্ডের রক্ষণে বাধা পেলে আর গোল পাওয়া হয়নি। প্রথমার্ধে পিছিয়েই থাকতে হয় আজ্জুরিদের।