X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ছাড়ালো

সঞ্চিতা সীতু
১২ জুলাই ২০২১, ১৮:১৯আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ২১:০৬

দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ছাড়িয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র এই খবর নিশ্চিত করেছে।

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করছে সরকার। এখন দেশের ৯৯ ভাগ মানুষের ঘরে সরকার বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। সব মানুষের ঘরে চলতি বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। শতভাগ বিদ্যুতায়নে সেবা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এই প্রথম চার কোটি মানুষের আঙ্গিনায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার খবর জানা যায় বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র থেকে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ২০০৯ সালে ১ কোটি ৮ লাখ। এখন যা ৪ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যার ছিল ৪৭ ভাগ, এখন যা ৯৯ ভাগের উপরে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট থেকে এখন ৫১২ কিলোওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে শহরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া খুব সহজ হলেও গ্রাম ও দুর্গম জনপদে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া চ্যালেঞ্জিং ছিল।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, এরমধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-আরইবির গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ১৬ লাখ। ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তারা ২ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। এই সময়ে তারা ৩ লাখ ৩৯ হাজার কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন নির্মাণ করেছে, ৬৪২টি নতুন সাব-স্টেশন করেছে। দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে আরইবি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ২০০ মেগাওয়াট একাই সরবরাহ করে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪ কোটিতে পৌঁছে গেছে। শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে দিয়ে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। অনেক সাহসী পদক্ষেপও আমাদের নিতে হয়েছে। কারণ আমাদের লক্ষ ছিল মুজিববর্ষের মধ্যেই যাতে সব মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া যায়। তিনি জানান, বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ দিতে পারলেও দুই তিনটা জায়গায় বাকী আছে, এরমধ্যে কুতুবদিয়া, হাতিয়া, রাঙ্গাবালি ও মনপুরায় এখনো বিদ্যুতায়ন করা যায়নি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কুতুবদিয়া ও রাঙাবালিতে সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা কয়েক বছর আগে চিন্তা করা যায়নি। আমরা এখন তা করছি। আর হাতিয়া ও মনপুরায় আলাদা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে সেখানে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর রাঙাবালি উপজেলায় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। আর কুতুবদিয়ার সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার কাজ চলমান আছে। এদিকে হাতিয়ায় একটি আলাদা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। যা চলবে ফার্নেস অয়েল দিয়ে। কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম বছরে এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হবে সাড়ে ৭ মেগাওয়াট,  এরপরের বছর ১২ মেগাওয়াট। এর পরের বছর ১৫ মেগাওয়াটের একটি আইসোলেটেড বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে সেখানে।

এদিকে ভোলার মনপুরায় হাইব্রিড সোলার করা হচ্ছে। পাশাপাশি আবহাওয়া খারাপ হলে ব্যাকআপ হিসেবে একটি ডিজেলভিত্তিক কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।

/এসএনএস/এমএস/
সম্পর্কিত
বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার তাগিদ
বিদ্যুতে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা, লোডশেডিং নেমেছে শূন্যে
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা