উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে চাপ বাড়ছে দূরপাল্লার বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের। সেই সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার সড়কের ঢাকাগামী লেনে প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে। অন্যদিকে জেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা এলাকাতেও প্রায় ছয় কিলোমিটার জুড়ে যানজট রয়েছে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল গনি ও হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী জানান, টাঙ্গাইলের টোল প্লাজা বন্ধ থাকায়, নলকার পুরনো সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এবং মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজের কারণে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাড় থেকে ঢাকামুখী লেনে মফিজ মোড়ের কাছাকাছি এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার যানজট রয়েছে। এছাড়া বাগবাড়ি এলাকা থেকে নলকা সেতু হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে। চান্দাইকোনা এলাকাতেও প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে যানজট ও ধীরগতি রয়েছে।
এ সময় মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু পরিবহনের যানবাহন। এছাড়াও মহাসড়কে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে।
মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল গনি জানান, ভোরে টাঙ্গাইলের টোল প্লাজা বন্ধ থাকার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এখন ঢাকাগামী মহাসড়কে কিছুটা যানজট থাকলেও উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়ক অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ির প্রচুর চাপ বেড়েছে। ওদিকে কড্ডা এলাকার যানজট এবং নলকা সেতু এলাকার যানজট কখনও কখনও এক হয়ে যাচ্ছে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে সেখানে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এসব কারণে নলকার পূর্বপাশ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।’ তবে ভোরের তুলনায় এখন যানজট কম বলেও জানান তিনি।