পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার তার ‘খেলা হবে’ স্লোগান ভারতের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরেছেন। ঘোষণা করেছেন, দেশের সব রাজ্য থেকে বিজেপিকে সরানো না পর্যন্ত ‘খেলা’ হবে। ২১ জুলাই শহীদ দিবসে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভার্চুয়াল ভাষণে তৃণমূল সুপ্রিমো এসব কথা বলেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
এই দিবস থেকে মমতা যে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করার বার্তা দেবেন তা আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যে মমতার সভা দেখানোর আয়োজন, বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ—এসবেই স্পষ্ট হয়েছিল প্রেক্ষাপট। অনেকের মতে, মমতা আসলে বোঝাতে চেয়েছেন বিজপিকে হটিয়ে উন্নততর দেশ গড়তে গেলে তৃণমূলকেই হয়ে উঠতে হবে চাবিকাঠি।
তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা, গুজরাত ও উত্তর প্রদেশে প্রচারিত হওয়া ভাষণে মমতা বলেন, বিজেপি দেশকে অন্ধকারে নিয়ে গেছে। কেন্দ্র থেকে তাদের উৎখাত করার আগ পর্যন্ত খেলা হবে।
ভাষণে তৃণমূল প্রধান ১৬ আগস্টকে খেলা দিবস হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। দিনটিতে দরিদ্রদের মধ্যে ফুটবল বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, বিজেপিকে দেশ থেকে সরানোর আগ পর্যন্ত সব রাজ্যে খেলা হবে। আমরা ১৬ আগস্ট খেলা দিবস উদযাপন করবো। আমরা দরিদ্র শিশুদের ফুটবল বিতরণ করবো।
ভাষণের শুরুতেই মমতা বলেছেন, ‘আমাকে গোটা দেশ কভার হতে হবে। তাই বাংলা, হিন্দি, ইংরাজিতে বলবো’। তাই-ই করেছেন মমতা। জাতীয় স্তরে বিরোধী নেতাদের ঐক্য গড়ে তোলারও বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এখনই বিরোধী ফ্রন্টের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তার কথায়, সময় নষ্ট করলেই নষ্ট হবে। কেউ মারা গেলে তারপর ডাক্তার ডেকে লাভ নেই। সময় থাকতে থাকতেই তা করা ভালো।
এদিন পেগাসাস নিয়েও নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। হাতে তুলে দেখিয়েছেন, নিজের ফোনে টেপ লাগিয়েছেন তিনি। আড়ি পাতা রুখতেই এমন কৌশল নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। অভিযোগ করেছেন, তিনি, প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মিটিং করেছিলেন, টেলি কনফারেন্সে সেটাও রেকর্ড হয়ে গেছে।
সার্বিকভাবেই মমতার বক্তৃতার সিংহভাগজুড়ে ছিল জাতীয় রাজনীতির বিষয়। তবে জোর দিয়ে বলেছেন, এ জন্য তৃণমূলকে শক্তিশালী সংগঠন করতে হবে। মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিদিন আধঘণ্টা করে মিছিল করার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা।