ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার মোবাইল ফোন নম্বর পরিবর্তন করেছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ফাঁস হওয়া ডাটাবেজে ম্যাক্রোঁর নম্বর পাওয়ার পর তা পরিবর্তন করা হয়েছে। সম্প্রতি পেগাসাস কেলেঙ্কারির ঘটনায় এটিই প্রথম সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
ফরাসি সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আট্টাল বলেন, প্রেসিডেন্টের বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর রয়েছে। এর অর্থ এই না যে তার ওপর গোপন নজরদারি চালানো হয়েছে। এটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা মাত্র।
মুখপাত্র আরও জানান, পেগাসাস কাণ্ডের পর প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা প্রটোকল হালনাগাদ করা হয়েছে।
পেগাসাস অভিযোগ নিয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের আট্টাল বলেন, অবশ্যই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লি মন্ডে মঙ্গলবার জানায়, মরক্কো কর্তৃক সম্ভাব্য নজরদারির টার্গেটের তালিকায় ম্যাক্রোঁর মোবাইল ফোন নম্বর রয়েছে। ম্যাক্রোঁর ফোন পরীক্ষার সুযোগ না পাওয়ায় তারা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে তার ফোন হ্যাক করা হয়েছে কিনা।
মরক্কোর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মরক্কোর একজন ফরাসি আইনজীবী ওলিভিয়ের বারাতেল্লি জানিয়েছেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ফরবিডেন স্টোরিজ-এর বিরুদ্ধে প্যারিসে একটি মামলা দায়েরে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘দ্য পেগাসাস প্রজেক্ট’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে নজরদারির বিষয়ে অনুসন্ধানের কথা প্রকাশ হয়েছে। এতে উঠে এসেছে দুনিয়াজুড়ে নজরদারির শিকার হয়েছেন মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সদস্যরা। বিশ্বজুড়ে ৫০ হাজার ফোন হ্যাক করে সেগুলোতে নজরদারি চালানোর বিষয়টি। সিএনএন, আল জাজিরা এবং নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ১৮০ জনেরও বেশি সাংবাদিকের নাম এই তালিকায় রয়েছে। ফাঁস হওয়া ডাটাবেজে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার মোবাইল ফোন নম্বর চিহ্নিত করা হয়েছে।