সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে ক্যাপ নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেছেন শামীম হোসেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে দলকে জেতাতে না পারলেও দলের সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংসে আভাস দিয়ে রাখলেন, তিনি কী করতে পারেন! ব্যাটিং-বোলিং-তিন বিভাগেই দারুণ দক্ষ এই ক্রিকেটার আজ ১ ওভার বোলিং করেছেন। ৭ রান খরচায় উইকেট শূন্য ছিলেন যদিও। তবে আগের ম্যাচে বদলি ফিল্ডার হয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচও নিয়েছিলেন। এমন অলরাউন্ডারকে পেয়ে স্তুতি ঝরেছে মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই অলরাউন্ডারকে প্রশংসায় ভাসাতে ভুললেন না অধিনায়ক, ‘শামীম বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দারুণ প্রতিভা। আজকে অভিষেকে ভালোই করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা জিততে পারিনি। তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে ও দারুণ করেছে, হয়তোবা শেষ করতে পারলে আরও ভালো হতো। ওর (শামীম) ভালো লাগতো, আমাদের দলের জন্যও ভালো হতো। একটা ওভার বোলিং করেছে, ফিল্ডিটা অসাধারণ। সবমিলিয়ে মিলিয়ে ও দারুণ অলরাউন্ডার।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসার পর বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট ও সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন শামীম। যেমন আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে তো সেরা ফিল্ডার হয়ে মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে ব্যাটই উপহার পেয়েছিলেন। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে সর্বশেষ ঢাকা লিগে ব্যাট কিংবা বোলিংয়ে খুব একটা সুযোগ না পেলেও ফিল্ডিংয়ে নিজের কাজটা ঠিকই করে গেছেন। পেয়েছেন সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার। এই কারণেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে তার ওপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।
প্রসঙ্গত, ৮-৯ বছর বয়সে স্থানীয় টিভি-টুর্নামেন্টে নাম লিখিয়েছিলেন শামীম। ঠিকাদারি পেশায় ব্যস্ত বাবা ছেলের ক্রিকেট-প্রেমের কথা জানতেন। কিন্তু অন্য অনেক বাবার মতো বাগড়া দেননি। তবে ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পথে বাবার চেয়ে চাচা আনোয়ারের সমর্থনকেই বেশি স্মরণ করেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই অলরাউন্ডার। সব সময়ই শামীমের পাশে ছিলেন চাচা। পাশাপাশি চাচাতো ভাইদেরও সহযোগিতা পেয়েছেন। স্থানীয় ক্রিকেটে শামীমের আশা জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখে তারাই তাকে ভর্তি করে দেন ক্লেমন ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। সেখান থেকে শামীমের ঠিকানা হয় দেশের ক্রিকেটের সূতিকাগার বিকেএসপিতে।