ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয় রোগী ভর্তি হলেও বর্তমানে দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার (১ আগস্ট) হাসপাতালের পরিচালক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভর্তি হওয়া ছয় রোগী হলেন- হাসপাতালটির সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বেগমের কন্যা তন্নী আক্তার, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর পুত্র সাব্বির হোসেন, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার নেছারাবাদ গ্রামের মো. আলী, মুলাদী উপজেলার বালিয়াতলি গ্রামের রহিম হাওলাদারের পুত্র আসাদুজ্জামান, বানারীপাড়া উপজেলার ধারালিয়া গ্রামের আলী সরদারের পুত্র আব্দুল হাই ও ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সন্দীপ মিস্ত্রীর পুত্র সুব্রত মিস্ত্রী।
তারা সবাই ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাইর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে চারজন চলে গেলেও বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন আব্দুল হাই ও সুব্রত মিস্ত্রী।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চারটি মেডিসিন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা কয়েছে। সন্দেহজনক রোগীদের পরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রায় একই হওয়ায় শুরুতে দ্বিধায় পড়ছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে এ ধরনের রোগীদের করোনা ও ডেঙ্গু উভয় পরীক্ষা করানো হচ্ছে।’
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ‘বিভাগের জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সরকারি ৪৭টি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত কোনও রোগী ভর্তি হলে তাদের করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’