কোনও প্রমাণ সরবরাহ ছাড়াই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দেশটির ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সিস্টেমে জালিয়াতি হওয়ার সুযোগ আছে বলে অভিযোগ তোলার পর এর প্রমাণ দিতে গত সোমবার পর্যন্ত বলসোনারোকে সময় বেঁধে দেয় আদালত। তবে ব্যর্থ হওয়ায় বুধবার তার বিরুদ্ধে আদালত সম্পর্কে ‘ফেইক নিউজ’ ছড়ানোয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্রাজিলে আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। আর এদিকে দুর্নীতি এবং করোনা মহামারি মোকাবিলার অভিযোগে নাকাল প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। তিনি এখন চাইছেন নির্বাচনি ব্যবস্থা বদল করে প্রত্যেক ভোটারকে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট বক্সের প্রিন্টেড রিসিট প্রদান করা হোক। যাতে করে ভোটগুলো আলাদা করে গণনা করা যায়। বলসোনারোর দাবি ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সিস্টেমে জালিয়াতির সুযোগ রয়েছে।
গত শুক্রবার সরকারি টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো বলেন, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে কিনা তা প্রমাণের কোনও উপায় নেই। এছাড়া রবিবার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাগজে ভোটের রিসিট দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে আগামী বছর নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও কোনও দরকার নেই।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে ডে মোরাইসের লেখা সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে ১১ ধরনের সম্ভাব্য অপরাধ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, মানহানি, অপমান করা, অপরাধে উস্কানি, অপরাধে সহযোগিতার অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ধারণা করা হচ্ছে আগামী নির্বাচনে বলসোনারো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে বামপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডি সিলভা ২০২২ সালের নির্বাচনে বলসোনারোকে হারিয়ে দেবেন।