বুধবার থেকে চালু হচ্ছে গণপরিবহন। বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণার পরপরই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরিবহন মালিকরা। এজন্য বাস, ট্রেন ও লঞ্চের টার্মিনালগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ধোয়া-মোছার কাজ করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন পর কাজে নামতে পেরে তারাও আছেন খোশমেজাজে। সকাল থেকে নগরীর টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেলো এমনটা।
সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রী পরিবহনের জন্য এরইমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে রেল। জীবাণুনাশক ছিটিয়ে টার্মিনাল পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। বগিগুলোও ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত করছেন কর্মীরা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখা গেছে তদারকি করতে। যাত্রীদেরও দেখা গেছে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সব প্রস্তুতি নিয়েছি। কাল ভোর থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ও ২০ জোড়া কমিউটার ট্রেন চলবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে যত আসন তত টিকিটি দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিনই ধোয়া-মোছার পাশাপাশি জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে বগিতে। আজ ভোরে স্টেশন এলাকায় জীবাণুনাশক দেওয়া হয়েছে। কোনও যাত্রীকে মাস্ক ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হবে না। আইন না মানলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একই চিত্র দেখা গেছে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে। সেখানেও সাজ সাজ রব। পরিবহন শ্রমিকরা পরিষ্কার করছেন বাস। মিডওয়ে পরিবহনের সহকারী ইয়াছিন আরাফাত বলেন, কাল থেকে বাস চলবে। মালিকরা বাস রেডি রাখতে বলেছেন। ইঞ্জিন, ব্যাটারি, গিয়ার, চাকা সব ঠিক আছে কিনা চেক করছি।’
কমলাপুর টার্মিনালের সামনে বিআরটিসি ডিপোতেও দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ঠিক করতে দেখা গেছে কর্মীদের।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘কাল থেকে গণপরিবহন চলবে। দীর্ঘদিন বসে থাকায় অনেক চাকা ফেটে গেছে, অনেক ব্যাটারি ডাউন হয়েছে। সেগুলোর মেরামত চলছে।’
একই চিত্র লঞ্চেরও। লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘কাল থেকে সব স্বাস্থ্যবিধি মেন লঞ্চ চলাচল করবে। প্রতিদিন যাত্রা শুরু ও শেষে লঞ্চ পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মালিকদের।’