পর্যটকের দেখা নেই বান্দরবানে। সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) জেলায় পর্যটকের দেখা মেলেনি। শুক্রবার (২০ আগস্ট) ছুটির দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটককে দেখা গেছে। বলতে গেলে ফাঁকা রয়েছে সবগুলো পর্যটন কেন্দ্র।
শুক্রবার নীলাচল, মেঘলা, চিম্বুক, নীল দিগন্ত, নীলগিরি, বগালেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে চিম্বুক, নীলাচল ও নীলগিরিতে স্থানীয় কয়েকজন পর্যটককে দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলে দেওয়ার প্রথম দিন পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা। দ্বিতীয় দিন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। তবে সংখ্যা উল্লেখ করার মতো নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলো বুকিং দিতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। এখনও পর্যটকরা এসে পৌঁছাননি। আগামী সপ্তাহে আসবেন পর্যটকরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার সংক্রমণের কারণে পর্যটকদের মনে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্ক কিছুটা কমলে পর্যটকরা আসতে শুরু করবেন। দীর্ঘদিন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে পর্যটক এলে কিছুটা হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা জান্নাতুল আফরোজ সুমি বলেন, আমি বিভিন্ন দেশের পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে গেছি। সবগুলো পর্যটন কেন্দ্র থেকে বান্দরবানের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো আমার কাছে অন্যরকম মনে হয়। নীলাচল এত সুন্দর, দেখে আমি মুগ্ধ।
বান্দরবানে প্রথমবার বেড়াতে আসা মো. মুজিবুল হক বলেন, বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুবই সুন্দর। এতদিন শুনেছি, সুন্দরের কথা। কিন্তু দেখার পর মনে হলো, যা শুনেছি তার চেয়েও সুন্দর।
আবদুর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন পর এখানে এসে বেশ ভালো লাগছে। তবে মনে করোনার ভয় কাজ করছে। পর্যটকরা না আসায় বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।
জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সংখ্যক পর্যটক যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলোতে অর্ধেক সংখ্যক পর্যটকদের আসন বরাদ্দ দেওয়া যাবে। তবে সবক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।