X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার পদক্ষেপ নেয় জনগণ নিঃস্ব হওয়ার পর: হাইকোর্ট

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:২৫আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:১৫

সরকার পদক্ষেপ নেয় কিন্তু সেটা জনগণ নিঃস্ব হওয়ার পরে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

এহসান গ্রুপ, ই-ভ্যালিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এ সময় দেশের গ্রাম পর্যায়ে সুদ কারবারিদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক।

শুনানিকালে আদালত বলেন, সরকার তো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কিন্তু সেটা কখন? যখন আমি (গ্রাহক) নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমার রেমিডিটা (প্রতিকার) কোথায়। আমার টাকাটা নিয়ে গেলো, আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। সে থানায় যাবে, জেলে যাবে, যাক। কিন্তু আমার টাকাটা যে নিয়ে গেলো সেটা কোথায়? আমরা মামলা করার পর চোর ধরা পড়ছে। চুরি তো ঠেকানো যাচ্ছে না।

আদালত বলেন, আমার বাড়ি কেন অরক্ষিত? আমার বাড়ি মানে বাংলাদেশ। দেশের মানুষ দরজা-জানালা বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাবে কিন্তু আমার ঘর কেন অরক্ষিত। মানুষের টাকা কেন লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে? এগুলো বন্ধ করা কাদের দায়িত্ব? এটা আমরা দেখতে চাই। আমরা এটা পরীক্ষা করতে চাই।

তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। এহসান গ্রুপের ওই লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে, ই-ভ্যালির ওই লোককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আদালত বলেন, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, তাদের আইনের শাসন, সবকিছু সুপ্রতিষ্ঠিত করা সরকারের দায়িত্ব। সেখানে সরকার ঠিকমতো কাজ করছে কিনা আমরা দেখবো।

পরে মামলাটি শুনানির জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে বিভিন্ন গ্রাম-অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রত্যেকটি এলাকায়, প্রতিটি গ্রামে সমবায় সমিতির নামে সুদের ব্যবসা চলছে। আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ঋণ দেওয়ার নামে উচ্চ হারে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ব্যবসার কোনও নিবন্ধন নেই। সাধারণ মানুষ এসব সুদ কারবারিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে আদায় করা সুদের পরিমাণও আকাশছোঁয়া। ১০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহের সুদ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা বা মাসে সুদ হিসেবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন তারা।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনিবন্ধিত এসব সমবায় সমিতি ও সুদকারবারি থেকে ঋণ নিয়ে সুদের বোঝা টানতে টানতে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখের সামনে তারা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাই সারা দেশের অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।

/বিআই/এমএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক 
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
সর্বশেষ খবর
তাপ কমাতে সড়কে প্রতিদিন ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
তাপ কমাতে সড়কে প্রতিদিন ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
ঢামেকে কারাবন্দি হাজতির মৃত্যু
ঢামেকে কারাবন্দি হাজতির মৃত্যু
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
রানা প্লাজায় নিহতদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
রানা প্লাজায় নিহতদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…