যশোরের ঝিকরগাছায় নিজ ঘর থেকে ইমরুল কায়েস পরাগ (২৩) নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন।
ইমরুল কায়েস ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের বিশেহরি গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানায়, মায়ের কাছে ডিএসএলআর ক্যামেরা চান ইমরুল কায়েস। ক্যামেরা কিনে দিতে দেরি হওয়ায় তিনি অভিমান করেন। গতরাতে খাবারও খাননি। রাত ২টার দিকে তার মা ঘরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছেন।
গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ছেলেটা কেন যে আত্মহত্যা করেছে, তা জানতে পারিনি। তার মা একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করেন। শুনেছি ছেলেটি একটি ক্যামেরা কিনে দিতে বলেছিল। ক্যামেরা দিতে দেরি হওয়ায় অভিমানে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
কিছু দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকদিন ধরে হতাশা আর আত্মহত্যা নিয়ে পোস্ট করেন ইমরুল কায়েস।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।